২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৮:৪০:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


ক্যাঙ্গারুর বাহিনীর সিংহ বধের কাহিনী
সালেক সুফী, অস্ট্রেলিয়া থেকে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-১০-২০২২
ক্যাঙ্গারুর বাহিনীর সিংহ বধের কাহিনী ব্যাট হাতে ঝড় তোলা মার্কাস স্ট্যায়নিস গ্যালারীতে থাকা ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে/ছবি সংগৃহীত


বিশ্বকাপের চলমান আসরে টিকে থাকার যে সুপ্ত বাসনা সেটা নিয়েই মাঠে নেমেছিল অজি। শ্রীলঙ্কা প্রতিপক্ষ। তাতে কী। কিউই’র বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বড় হারে বিপর্যস্ত থাকা দলটি কাল পশ্চিম অস্ট্রেলিযার পার্থ নগরীতে অপটাস স্টেডিয়ামে ‘ডু অর ডাই’ মিশনে নেমেছিল। এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকান সিংহদের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে একরকম উড়িয়ে দিয়েছে তারা মুহুর্তে। খেলার একটা পর্যায় শ্রীলংকানদের বেঁধে দেয়া টার্গেট ১৫৮ তাড়া করে ১২.২ ওভার পর্যন্ত ৩/৮৯ করে টুর্নামেন্ট কিছুটা ছিটকে পড়ার শংকাও ছিল।


উইকেটে এসে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ছেলে মার্কাস স্ট্যায়নিস ভারত মহাসাগরে টর্নেডো সৃষ্টি করে ১৮ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ৩.৩ ওভার হাতে রেখেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জয় করলো। টুর্নামেন্টে দারুন ভাবে ফিরে আসলো ক্যাঙ্গারু। শ্রীলংকার সম্ভাবনাও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। তবে অজি দলে যা পরিলক্ষিত হয়েছে সেটা অদম্য বাসনা। নিজ দেশের আসর। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত থেকে বিজয় উৎসব না করলে সেটা লজ্জার। কাল তারা নেমেছিল সেটা লক্ষ্য রেখেই। দলের এমন মনভাব অস্ট্রেলিয়ানদের স্বস্থি।  

স্মরণ করা যেতে পারে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে তাসমান কাজিনদের কাছে বিশাল ব্যাবধানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। কাল হেরে গেলে টুর্নামেন্টে টিকে থাকায় দুরূহ হয়ে দাঁড়াতো মৃত্যুকূপের গ্রুপে। পার্থের পেসি বাউন্সি উইকেটে স্টার্ক ,কামিন্স ,হেজেলউডরা ঝড় তুলতে পারে নি. শ্রীলঙ্কানরা ১৫৭/৬ রান করে মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং টার্গেট  দিয়েছিলো। অবশ্য ইনিংস বদলের সময় স্কোরটি অন্তত ১৫-২০ রান অপর্যাপ্ত মনে হচ্ছিলো বিশেষজ্ঞদের কাছে। এই স্কোর গোড়ায় ভূমিকা ছিল পিথুন নিঃশঙ্ক (৪০) , চরিথা আসালংকা (৩৮*) আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (২৬) . ওদের একজন ৬০-৭০ করলে শ্রীলংকা আরো কঠিন টার্গেট দিতে পারতো। 

আশা করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া হেসে খেলে জিতে নিবে। কিন্তু একটা নিদৃষ্ট সময় পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার কাঁপুনি ধরেছিলো। ওয়ার্নার ,মার্শ ফিরে যাবার পর উইকেটে সংগ্রাম করতে থাকা ফ্লিঞ্চের সঙ্গে কিছুক্ষন ছিল ম্যাক্সওয়েল। ১২.২ ওভারে ম্যাক্সওয়েল ফায়ার যাবার সময় রান ছিল ৮৯/৩. টার্গেট থেকে ৬৯ রান পিছিয়ে ৪৫ বলে. 

উইকেটে এসেই ঝড় তুললো ঘরের ছেলে স্ট্যানিস।  ১৮ বল খেলে চারটি চার আর ছয়টি প্রচন্ড ছক্কা অস্ট্রেলিয়াকে ৩.৩ ওভার হাতে রেখেই জয় এনে দিলো। সাধারণওতো সিংহ ক্যাঙ্গারু শিকার করে. উল্টো এখানে ক্ষুধার্ত ক্যাঙ্গারু সিংহদের তাড়িয়ে দিলো। স্টোনিসের ইনিংসটি টি ২০ টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার দ্রুততম আর বিশ্ব ক্রিকেটে যৌথ দ্রুততম মাইল ফলক। 


শেয়ার করুন