গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলেছে নির্ভেজাল বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে নবীন পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের নির্মিত সিনেমা ‘দোস্তজি’।
ক্যালিফোর্নিয়ার বায়োস্কোপ ফিল্মস এলএলসির ব্যানারে গত ১৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। নিউইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কোয়ারের বিলবোর্ডে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলা সিনেমার ট্রেইলার প্রচারিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে দোস্তজি। এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ২৬টি প্রদেশের ৭৫টি শহরে সিনেমাটির প্রদর্শন করছে বায়োস্কোপ ফিল্মস। এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের লং আইল্যান্ড, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, বোস্টন ও হার্টফোর্ড শহরে সিনেমাটি প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়া কানাডার ১৫টি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে সিনেমাটি।
নব্বইয়ের দশকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এক প্রত্যন্ত গ্রামের ভিন্নধর্মী দুই বালকের বন্ধুত্ব এবং চূড়ান্ত বিচ্ছেদের গল্প, দোস্তজি।
বাংলাদেশের বর্ডারের কাছে মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা পলাশ ও সফিকুলকে ঘিরেই ‘দোস্তজি’ ছবির মূল গল্প। দুই বন্ধুর একজন হিন্দু ব্রাহ্মণ- পলাশ ও আরেকজন মুসলমান পড়শি সফিকুল। দুই ক্ষুদে বন্ধুর আড়ি ভাব, মান-অভিমান, খুনসুটি এবং নীরব ভালোবাসা সবটাই ফুটে উঠেছে পর্দায়। এই ছবির প্রেক্ষাপট বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও মুম্বাই বিস্ফোরণের পরবর্তী সময়। ছবিতে পলাশ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশিক শেখ এবং সফিকুলের ভূমিকায় রয়েছেন আরিফ শেখ। এছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন জয়তী চক্রবর্তী, স্বাতীলেখা কুন্ডু, অনুজয় চট্টোপাধ্যায়। দোস্তজির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন তুহিন বিশ্বাস। সম্পাদনায় রয়েছেন সুজয় দত্ত রায় ও শান্তনু মুখোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই পৃথিবীর ২৬ দেশ ঘুরে, ৯ আন্তর্জাতিক পুরস্কার এসেছে ‘দোস্তজি’র ঝুলিতে।