২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০১:৫২:৪০ অপরাহ্ন


তাসকিন আহমেদ বললেন
বিশ্বমানের বোলিং স্কোয়াড হওয়ার লক্ষ্য আমাদের
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-১০-২০২২
বিশ্বমানের বোলিং স্কোয়াড হওয়ার লক্ষ্য আমাদের তাসকিন আহমেদ


টি২০ বিশ্বকাপে জয়ের খড়াটা বোধহয় কাটলো। এ ভার্সানে প্রথম জয়টা সেই নিজস্ব প্রথম আসর ২০০৭ এ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল সেবার বাংলাদেশ। সে থেকে হোবার্ট এ নেদারল্যান্ডস এর বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন্ত অধরাই থেকেছে জয় মূল পর্বে। জয়টা এলো তাও আবার তাসকিনের হাত ধরে। জয় ও সাফল্য এক কথায় হাওয়ায় উড়ছেন যেন এ ডানহাতি ফার্স্ট বোলার। পরের ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে (৪-০-২৫-৪) দুর্দান্ত পারফর্ম করা এ বোলাকে নিয়ে ইতিমধ্যে প্রোটিয়া স্কোয়াডে দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে। যা প্রকাশও করে দিয়েছেন দলটির সঙ্গে থাকা সাবেক ক্রিকেটার মার্ক বাউচার। তবে তাসকিন এখন আর অতসত বোঝেন না। তিনি কে প্রতিপক্ষ সেটা নয়, একজন ফার্স্ট বোলারের জন্য আদর্শ কন্ডিশন অস্ট্রেলিয়া। এমন স্থানে নিজেকে মেলে ধরার কৃতিত্ব এবং সেটাকে কন্টিনিউ করাই তার এখন মূল স্বপ্ন। 

প্রথম ম্যাচ তাসকিনের উপলব্ধি এখন অন্যরকম। তিনি বলেন, ফার্স্ট বোলিং ইউনিটে সবাই উন্নতি করছে। ‘আমরা একটি বিশ্বমানের বোলিং ইউনিট হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। আমরা এটি সম্পর্কে খুবই পজেটিভ। প্রক্রিয়াটি ভালভাবে কাজ করছে।’ তাসকিন বলেন, ‘প্রতিটি খেলায় কন্ডিশন আলাদা, তাই আমাদের এটির সাথে মানিয়ে নিতে হবে। এমন দিন আসবে যখন আমি উইকেট পাব, তারপর সেখানে এমন দিন আসবে যখন আমি উইকেট পাব না। আমি হয়তো আরও রান দিয়ে দিতে পারি। যা দলের জন্য বোঝা হয়ে যাবে। আবার হয়তো আমার বোলিংয়ে দল জিতে যাবে। এ সব ব্যাপারেই আমরা এখন সজাগ।’ 

বাংলাদেশের এ ফার্স্ট বোলারের দুর্দিন গেছে। এক সময় শুধু টেস্টের জন্য বিবেচ্য হতেন। সব মিলিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন তিনি। সে সুফলটাও তিনি পাচ্ছেন। বড় কথা তাসকিনের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা প্রবল। 

তিনি বলেন, ‘পারফরম্যান্সের ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। কিন্তু আমাদের সবারই উন্নতি করার ক্ষুধা আছে। আমি মনে করি একটি দলের বোলিং স্কোয়াডের জন্য এ প্রত্যাশা সবচেয়ে ইতিবাচক বিষয়।’ তিনি দলের পারফরমেন্স নিয়ে কঠোর সমালোচনা (বিশেষ করে প্রাকটিস ম্যাচে আফগানদের সাথে বিধ্বস্ত) তুলে এনে বলেন, ‘চারপাশে এত কথা বলার পরেও, আমাদের দলের ঐক্য অটুট আছে। আমরা একে অপরকে সাহায্য করছি। আমি নিজে আরও উন্নতি করতে চাই। আমার ভালো করার এখনও অনেক জায়গা আছে। আমি বলকে দুই দিকেই সুইং (ইনসুইং ও আউট সুইং) করতে চাই। দলের জয়ে অবদান রাখতে চাই, এগুলোই আমার লক্ষ্য।’ তাসকিন আরো বলেন, ‘আমি চাই সবাই আমাদেরকে মূল্যায়ন করুক। এবং আমরা যদি উন্নতি করতে থাকি, তবেই ওই লক্ষ্যে অবশ্যই যেতে পারবো।’ 

অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন সম্পর্কে বলতে যেয়ে বাংলাদেশ দলের এ ফার্স্ট বোলার বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি যে উপমহাদেশের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন বল বেশি সুইং হয়। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড সফরের পর থেকে সমস্ত বোলাররা সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তাই আমরা কেবল আমাদের মৌলিক বিষয়গুলি সম্পাদন করার চেষ্টা করেছি। বোলিং ইউনিট হিসাবে আমরা উন্নতি করছি। আমরা সবাই বেশ ভাল করছি। আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে উন্নতি করা।’ 

অস্ট্রেলিায় খেলার তেমন অভিজ্ঞতা নেই টিম বাংলাদেশের। তাসকিন তো সে দলেরই একজন। তিনি বলেন, ‘আমি অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলেছি। তাই এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারছি। নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে মূলত লেন্থটা ঠিক রেখে বোলিং করেছিলাম। ওটাতে কাজ হয়েছে। তবে এটা স্থানভেদে পার্থক্য হতে পারে। এখানে প্রথমত নতুন বলে একটু বেশি সুইং করে। কিন্তু পরে ব্যাটসম্যানের জন্য সহজ হয়ে যায়। আমরা যদি পরিস্থিতি অনুযায়ী কার্যকর করতে পারি, তবে আমরা ভবিষ্যতে ভালো করতে পারব। তবে আমি বলবো আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল উন্নতি। এটাতে আমরা মনযোগী হবো।’ 

শেয়ার করুন