২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০১:৪৬:২১ অপরাহ্ন


মিছবাহ-অপু প্যানেলের সভা
আমাদের জয়কে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১০-২০২৩
আমাদের জয়কে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে প্যানেলের সদস্যগণ


মিছবাহ-অপু প্যানেলের জয়কে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। যতই ষড়যন্ত্র হোক  মিছবাহ-অপু প্যানেলের বিজয়  অবধারিত। ভোটাররা নেতৃত্বের পরিবর্তন চায়। গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় জ্যামাইকার আশা পার্টি হলে মিছবাহ-অপু প্যানেলের নির্বাচনী সভা ও প্যানেল পরিচিতি  সভায় সভাপতি প্রার্থী মিছবাহ আহমদ এ কথা বলেন। কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিত এবি টিভির অন্যতম কর্ণধার রিজু আহমদের পিতা আব্দুল খালিক লালুর সভাপতিতেত্ব অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন ওজনপার্কের সোনার বাংলা মাল্টি সার্ভিসের কর্তধার সারওয়ার হোসেন ও আমিনুল হোসেন। সভাপতি প্রার্থী  মিছবাহ আহমদ বলেন, সদস্য নিবন্ধনের পাঁচ দিন পর অতিরিক্ত ১৯৬ সদস্য নিবন্ধনের নামে কারসাজি, আগামী ১৬ অক্টোবর ওজনপার্কের  আল মদিনা পার্টি  হলের নির্বাচনী সভা করার জন্য অগ্রিম টাকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মান্নান ও তার প্যানেলের নিজাম উদ্দীন হল না পাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। ইনশাআল্লাহ, সব ষড়যন্ত্রের প্রাচীর ভেঙে মিছবাহ-অপু প্যানেলেই নির্বাচনে জয়লাভ করবে। অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে মিছবাহ আহমদ বলেন, ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি বিয়ানীবাজার সমিতির ক্রীড়া সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। বিয়ানীবাজার সমিতির সেক্রেটারি পদে নির্বাচনকালীন সময়ে বর্তমান কমিটির প্রেসিডেন্ট আব্দুল মান্নান কোর্টে মামলা করেছিলেন। মামলার কারণে আমরা ৮ মাস পর দায়িত্ব পাই এবং মাত্র কয়েক মাসে ১৬০টি কবর ক্রয় করেছি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী আব্দুল মান্নান বলেছেন কাজের ধারাবাহিকতা শেষ করার জন্য তিনি আবার নির্বাচনে এসেছেন। এর জবাবে মিছবাহ আহমদ বলেন, কাজ করার ইচ্ছা থাকলে কম সময়েও কাজ করা যায়। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে। প্রত্যেক প্যানেল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি উত্থাপন করেন। কিন্তু এবারের নির্বাচনে মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গ্রামের সদস্য নিবন্ধন নিয়ে অন্য প্যানেল মিথ্যাচার করে যাচ্ছ। এই মিথ্যাচারের জবাবে সরাসরি ওই  এলাকার লোকজন বলেন, আমরা কারো কাছে  বিচার চাই না। এ ধরনের  মিথ্যাচার পরিহার করার আহ্বানও জানান। সভাপতি প্রার্থী মিছবাহ আহমদ বলেন, তার প্যানেল নির্বাচিত হলে সংগঠনে সবার সম্পৃক্ততা থাকবে। উদাহরণ হিসেবে বলেন, বর্তমানে পাঁচ জন উপদেষ্টা রয়েছেন। সাধারণ সভার মাধ্যমে ১১টি ইউনিয়নের ১১ জনকে নিয়ে উপদেষ্টা গঠন করা হবে। মিছবাহ আহমদ তার বক্তব্যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উল্লেখ করে বলেন, বিয়ানীবাজার সমিতি  সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। সমিতির ভবন সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে সমিতির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এতেও কাজ না হলে আইনের আশ্রয় নেওয়া  হবে। ফিউনারেল স্থাপন এখন সময়ের দাবি, নির্বাচনে মিছবাহ-অপু প্যানেল নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হবে সমিতির ভবন সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশন ও ফিউনারেল হোম স্থাপন। আমরা নির্বাচিত হলে সমিতির ভবন ও ফিউনারেল কাজ আরম্ভ করবো। শেষ না হলে ভবিষ্যৎ যারা দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং তারা চলমান রাখবে। কমিউনিটি সেন্টার করা হবে। যেখানে অবসরপ্রাপ্ত ও বয়স্ক ব্যক্তিরা অবসর সময় কাটাবেন। মিছবাহ আহমদ সবাইকে অনুরোধ করেন, অনেক মিথ্যাচার, অপবাদ আসবে, সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। আগামী  ২২ অক্টোবর  নির্বাচনে  মিছবাহ-অপু প্যানেলকে জয়যুক্ত করে মিথ্যাচার, অপবাদ ও অতিরিক্ত ১৯৬ ভোটার নিবন্ধনে কারসাজির জবাব দেওয়ার আহ্বান জানান। 

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রেজাউল আলম অপু প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের বিভিন্ন  বক্তব্যের প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল বিগত সময়ের সংগঠনের কর্মকর্তাদের অপমানজনক কথা ও অপবাদে লিপ্ত। অপু বলেন, সমিতির সাবেক কর্মকর্তারা সংগঠনের কাজে কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। অপু প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কাউকে সম্মান প্রদর্শন করতে না পারলে অসম্মান করবেন না। অপু বলেন, নির্বাচন এলে মিথ্যাচার, প্রোপাগান্ডা আসে। এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মিথ্যার বেসাতি চলছে। নির্বাচনে  হিংসা  পরিহার করে নির্বাচনী বক্তব্যে উপস্থাপন করার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। নির্বাচন শেষে সবাই একই ছায়াতলে। হিংসা-বিদ্বেষ নিজেদের মধ্য তিক্ততা এনে দেয়। অপু বলেন, ভবনের আজ ঋণ মুক্ত। এই  ঋণ পরিশোধে সবাই কোনো না কোনো ভাবে সম্পৃক্ত। অপু বলেন, মিছবাহ-অপু প্যানেল নির্বাচিত হলে সমিতির ভবন সমিতির নামে, ফিউনারেল ও কমিউনিটি সেন্টার হবে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের একজন করে ১১ জন কোরআনে  হাফেজ পড়ার দায়িত্ব গ্রহণ করা হবে। অপু পরিশেষে আগামী ২২ তারিখের নির্বাচনে  মিছবাহ-অপু প্যানেলকে জয়যুক্ত করে নতুন  নেতৃত্বের সৃষ্টি, নতুন নেতৃত্ব ও সমিতিকে গতিশীল সর্বজনীন সুযোগ প্রদান করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন মোজাহিদুল ইসলাম, আজিজুর রহমান পাখি, শফিক উদ্দীন, আব্দুল হাই লন, ময়নুল ইসলাম। সভার প্রারম্ভে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন হারুন মিয়া।

শেয়ার করুন