২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৯:৪৫:০৫ পূর্বাহ্ন


মার্কিণ স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ
অনেক বিষয়ে যুক্তরাস্ট্রের মানবাধিকারের চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভাল
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৪-২০২২
অনেক বিষয়ে যুক্তরাস্ট্রের মানবাধিকারের চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভাল তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ফাইল ছবি


 সম্প্রতি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ২০২১ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ যেসব তথ্য এর উপস্থাপনা করেছেন, তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।  তিনি বলেন মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনের সঙ্গে আমরা একমত নই বরং অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো। 

পহেলা বৈশাখ সন্ধ্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় এক রেস্তোরাঁয়  সম্পাদক ফোরাম আয়োজিত মহান ও গণমাধ্যম আলোচনা ইফতার এর আগে এ বিষয়ে মন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আমি দেখেছি, আমরা এই রিপোর্টে বাংলাদেশ বিষয়ে প্রতিবেদন সঙ্গে একমত নই। আমরা মনে করি, এ প্রতিবেদন তথ্য-উপাত্ত নির্দিষ্ট কিছু সূত্র থেকে সংগ্রহ করা সেই সূত্র গুলো একপাশে অনেক ভুল তথ্য সরবরাহ করায় প্রতিবেদনটি এমন হয়েছে । মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো সব ক্ষেত্রে না হলেও কারণ যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ান্তানামো  বেতে যেভাবে মানুষকে নির্যাতন করা হয় সে ধরনের কোনো কারাগার আমাদের দেশে নেই। 

যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে জর্জ ফ্লয়েড কে হত্যা করা হয়েছে, আমাদের দেশে কখনো এ ধরনের হত্যাকান্ড হয়নি। মার্কিন পার্লামেন্টের যেভাবে হামলা করে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে, স্পিকারের চেয়ারে দুষ্কৃতিকারী বসে ছিল - এমন কোন ঘটনা বাংলাদেশের ঘটেনি। 

ডক্টর হাছান মাহমুদ যুক্তরাষ্টের গত ১০ বছরের  একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন,  অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাস্টের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো। মার্কিন প্রতিবেদন পরীক্ষা করার কথা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বিচার বিভাগ অত্যন্ত স্বাধীনভাবে কাজ করে এ কারণেই সরকারের বিরুদ্ধে রায় হয় এবং সরকার দলের এমপিরা জেলে যান। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মানবাধিকার প্রতিবেদনে যে নিরাপত্তা বাহিনীর কথা আছে, সে নিরাপত্তা বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা পাচ্ছে।  এ কারিগরি সহায়তা সহ অন্যান্য বিষয়ে সহায়তার মাধ্যমে আমাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে- তা ভবিষ্যতে সংশোধনের সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি। 


শেয়ার করুন