২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০২:১৭:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


শতকড়া ৬৮ ভাগ মানুষ পুষ্টিকর খাবার ক্রয়ে হিমশিম খাচ্ছে
টিসিবির ট্রাকের সামনে দীর্ঘ হচ্ছে লাইন
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০২-২০২৩
টিসিবির ট্রাকের সামনে দীর্ঘ হচ্ছে লাইন টিসিবির ট্রাকের সামনে বিরাট লাইন


বারবার বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেলসহ সবধরনের নিত্যপণ্যের দাম অব্যাহত বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং অর্থপাচারকারী ও দুর্র্নীতিবাজদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। শতকরা ৬৮ ভাগ মানুষ পুষ্টিকর খাবার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে করে এখন টিসিবির ট্রাক সেলের সামনে লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।

বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার পুরানা পল্টন মোড়ে ওই  সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতারা এসব অভিযোগ করেন। বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামন রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা শাহিন রহমান, বাংলাদেশ বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের শামিম ইমাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার এক মাসেই দুইবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে এবং সাত মাসের ব্যবধানে ৮০ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তির মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। দুর্নীতি-লুটপাট, অপচয়-ভুলনীতির কারণে লোকসানের দায় জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে সরকার। দুর্নীতিবাজদের শাস্তি না দিয়ে সরকার কুইক রেন্টালের বিরোধিতাকারীদের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছেন। অথচ কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ৯৬ হাজার কোটি টাকা যে গত ১২ বছরে কুইক রেন্টাল কোম্পানিগুলোকে দেয়া হলো, সেটার দায় জনগণ কেন নিবে, সে বিষয়ে কোন কথা প্রধানমন্ত্রী বললেন না। এমনিতে চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। 

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জনগণের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে আইএমএফের কাছ থেকে সরকার ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে। প্রতি বছর ৭০০ কোটি ডলার পাচার হয়ে যাচ্ছে-সেটা ঠেকানোর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ উদ্ধারে সরকারি পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, যেগুলো ইতিমধ্যে অবলোপন করা হয়েছে ও আদালতে মামলা রয়েছে তা হিসেবে আনলে এটি প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা হবে। ব্যাংক লুটপাটকারী, দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনতে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই, বরং সরকার এদের রক্ষাকর্তা হিসেবে ভূমিকা রাখছে। আইএমএফের ঋণের ৩৮টি শর্ত মেনে শিক্ষা-চিকিৎসা, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণের প্রতি সরকারের ভূমিকা সঙ্কুচিত হচ্ছে। ফলে এসব সেক্টরে ভর্তুকি কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বর্তমান সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আরো দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন