২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ০২:৫৯:১১ পূর্বাহ্ন


ওজনপার্কে লিটন বাংলাদেশ ওয়ের উদ্বোধন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৩-২০২৩
ওজনপার্কে লিটন বাংলাদেশ ওয়ের উদ্বোধন ওজনপার্কে বাংলাদেশ ওয়ের উদ্বোধন


নিউইয়র্কসহ আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে নিউইয়র্কে যে কোন দেশের অভিভাসীদের চেয়ে বাংলাদেশিদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। যে কারণে নিউইয়র্কের বিভিন্ন বরোতে গড়ে উঠছে বাংলাদেশি জনপদ। বিশেষ করে জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রুকলিন, ওজনপার্ক এবং ব্রঙ্কস। এই এলাকাগুলোতে বাংলাদেশি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশিদ বাড়ার কারণে মূলধারার রাজনীতিবিদদেরও নজরে পড়েছে। ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশিরা যেন শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। সেই শক্তিকে ব্যবহার করতে সবাই এখন আগ্রহী। আবার বাংলাদেশিরা মূলধারার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই গত নির্বাচনে নিউইয়র্কে দুই জন বাংলাদেশি নির্বাচিত হয়েছেন। ব্রুকলিন থেকে প্রথম মুসলিম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান শাহানা হানিফ কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কুইন্স থেকে বিচারপতি নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ। এ ছাড়াও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা জয়লাভ না করলেও সবার দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ার কারণে নিউইয়র্কে নির্বাচনের সময় কংগ্রেসম্যান, সিনেটর, কাউন্সিলম্যান, অ্যাসেম্বলিম্যান, গভর্নর এবং মেয়র প্রার্থীরা বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় আসেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাংলাদেশিরা এখন আর আলোচনার টেবিলে নয়, গুরুত্বপর্ণ পদে থেকে সিদ্ধান্ত প্রদান করছেন। বাংলাদেশিরা তাদের অধিকারও আদায় করছেন। ব্রঙ্কসে অনেক আগেই বাংলাবাজার স্ট্রিটের নামকরণ করা হয়েছে। জ্যামাইকায় বাংলাদেশ স্ট্রিট নামকরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ বাংলাদেশি অধ্যুষিত ওজনপার্কেও একটি স্ট্রিটের নাম বাংলাদেশ ওয়ে করা হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটের নামকরণ করা হবে বাংলাদেশ স্ট্রিট। 

গত ১০ মার্চ বাদ জুম্মা ওজনপার্কের ড্রিউ স্ট্রিট ও ১০১ অ্যাভিনিউর কর্নারকে লিটল বাংলাদেশ ওয়ে নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৩২ ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল মেম্বার জোয়ান এরিওলা, এসেম্বলী মেম্বার জেনিফার রাজকুমার, কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্ট ডেনোভার রিচার্ড, কমিউনিটি নেতা 

মিছবাহ আবদীন, আল আমান মসজিদের সহসভাপতি কবির চৌধুরী, সেক্রেটারি শরীফ আহমদ, ফুলতলী জামে মসজিদের সেক্রেটারি জামাল হোসেন, কমিউনিটির পরিচিত ব্যক্তিত্ব  ইকবাল আলীসহ আরও অনেক। মূলত এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন কাউন্সিম্যার জোয়ান এরিওলা। তার উদ্যোগে লিটন বাংলাদেশ ওয়ে সিটি কাউন্সিলে পাশ হয়। নামকরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের প্রতি সম্মান রেখেই আমি একাজটি করেছি। কারণ আমার আসনে প্রচুর বাংলাদেশি রয়েছেন। তারা সৎ এবং কর্মঠ। নিউইয়র্ক সিটির উন্নয়নে তারা নানাভাবে কাজ করছেন। তিনি আরো বলেন, এই কাজটি করতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য আমার অফিস সব সময়ই খোলা। তাদের সে কোন সেবা প্রদানে আমি বদ্ধপরিকর।

জেনিফার রাজ কুমার বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে অন্যান্য কমিউনিটির তুলনায় বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে। তিনি বাংলাদেশিদের মূলধারার রাজনীতিতে আরো সক্রিয় হবার আহবান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশিরা মূলধারায় আরো সক্রিয় থাকলে ভবিষ্যতে তাদের দাবি আদায় আরো সক্রিয় হবে।

লিটন বাংলাদেশ নামকরণে অনেক বাংলাদেশিই খুশি হয়েছেন। তারা কাউন্সিলওম্যান জোয়ানাকে ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, আজকে গর্বে আমাদের বুক ভেসে গেছে। বাংলাদেশের বিজয় পতাকা ওজনপার্কে উড়ছে এটা দেখতেই আনন্দ লাগছে। ওজনপার্কে আসলেই আমরা বাংলাদেশের নাম দেখতে পাবো। বিদেশের মাটিতে সত্যিই আনন্দের ও গর্বের।

শেয়ার করুন