২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৬:১০:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হুমকির মুখে বাংলাদেশ
ব্যাট হাতে অচেনা এক বাংলাদেশ!
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৭-২০২৩
ব্যাট হাতে অচেনা এক বাংলাদেশ! আফগানদের বিরুদ্ধে আউট হওয়া হতাশ তামিম। ছাড়তে চান এখন অধিনায়কত্ব, গুঞ্জন এমনই/ছবি সংগৃহীত


আফগানভীতি আর কাটানো গেলো না । নিজ মাঠে বিশ্বের বড় দলগুলোকে নাকানি চুবানি খাওয়ালেও আফগানিস্তানের সামনে হয়ে যায় ভীষন নড়বরে। গোটা বাংলাদেশ দলেই শুরু হয় তুমুল অস্থিরতা। কেন এ অস্থিরতা তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। এ যেন ব্যাট হাতে অচেনা এক বাংলাদেশ ক্রিকেট। ওয়ানডেতে ব্যাটিং এত দুর্গতি গত সহসাই দেখা যায়নি। বিশেষ করে আফগান বোলার রশীদ খান, মোহাম্মাদ নবি, মুজিবদের সামনে অসহায় বাংলাদেশ, বারবার।



তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলে ফেলেছে। সাধারন রেজাল্ট বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল এ হেরে গেছে বাংলাদেশ। এটা ম্যাচের রেজাল্ট হলেও ম্যাচ চিত্রটা সম্পুর্ন অণ্যরকম। যা বাংলাদেশের পারফরমেন্সের সঙ্গে যায় না। সাধারন দৃষ্টিতে দেখলে বাংলাদেশ প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে সংগ্রহ করে ১৬৯ রান ৯ উইকেট হারিয়ে। এরপর ডিএল এ ১৭ রানে জয় পায়। আর খেলা বন্ধ হওয়ার আগে অমন টার্গেট পূরন করেই বসেছিল আফগানিরা। যেখানে ২১.৪ ওভারে সংগ্রহ করা ছিল ৮৩/২। কিন্তু জয় পেতে ওই ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬৭।


জহুর আহমেদে অনুষ্টিত এ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি ঘটে। বৃষ্টির আগ পর্যন্ত উইকেট চমৎকার ছিল। এবং বাংলাদেশ দল তাদের স্বভাবসূলভ ব্যাটিং করলে ওই সময়ে অন্তত ৩৪.৩ ওভারে ২২০ থেকে ২৩০ রান সংগ্রহের কথা।  সেখানে বাংলাদেশের সংগ্রহের ভয়ংকর চিত্রটা হলো ১৪৪/৭। অর্থাৎ ওই সময়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্টিত সব ব্যাটসম্যান আউট হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন সাঝঘরে। বাংলাদেশ বৃষ্টি বিষ্টি নয়। হেরেছে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায়। বৃষ্টি আসার আগ পর্যন্ত আউট হওয়া সাত ব্যাটসম্যান হলেন দলীয় ৩০ রানে তামিম ইকবাল ২১ বলে ১৩ রান করে।


ব্যাটিং ব্যার্থ আরো একজন, মুশফিক। আউটের পর একই অভিব্যক্তি, জহুর আহমেদে,আফগানিস্তানের বিপক্ষে/ছবি সংগৃহীত



৬৫ রানে অপর ওপেনার লিটন দাস ৩৫ বলে ২৬ রান করে। দলীয় ৭২ রানে ওয়ান ডাউনে নামা শান্ত ১৬ বলে ১২ রান করে। ১০৯ রানে সাকিব আউ হয়েছেন ৩৮ বলে ১৫ রান করে। দলের ওভার তখন ২২.৬। এর ৩ রানের মাথায় মুশফিকুর রহীম ১ রান করে বোল্ড হন রশীদ খানের বলে। ১২৮ রানে আফিফ আউট হন ৪ রান করে দলের ৬ষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে। বৃষ্টির আগে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনি করেছিলেন ৫ রান দলের রান ছিল ১৩৯/৭।  


এরপরের ওই বৃষ্টি কাহিনী। তবে যে রানটুকু হয়েছে তাতে অনেক অবদান তৌহিদ রিদয়ের। এমন উইকেট টর্নেডোর মাঝেও ৫১ করেছেন তিনি। তবে তার দ্বায়িত্ব ছিল টিকে থাকার। কিন্তু পারেননি। পরে তো খেলতে নেমে নতুন টার্গেট সেট ৪৩ ওভারের ম্যাচ। তৌহিদ রিদয় (৪২) তাসকিনকে নিয়ে নেমে ওই শেষ চিত্র।
তাহলে এত কম পুজি নিয়ে আফগানিস্তান নয়, নেপাল, ভুটানের সাথেও হেরে যাওয়ার কথা। তাই হয়েছে। আফগান বোলার রশীদ, নবি, মুজিব,ফারুখীদের কেন এত ভয়।

দলের ওই এক ঝাক বোলার ১ ম্যাচের টেষ্ট সিরিজে আসেননি। এলেন তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে। এটাও তাদের প্লান। যে প্লানে ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি হাতুরাসিংহের শীষ্যদের। সামনের দুই ম্যাচেও এখণ দুশ্চিন্তা এ আফগান বোলার ভীতি। ওটা না কাটাতে পারলে সিরিজ তো যাবেই, নিজ মাঠে আফগানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।

শেয়ার করুন