২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:৫১:০৯ পূর্বাহ্ন


সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বামদেরও না
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৫-২০২৩
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বামদেরও না


বাম গণতান্ত্রিক জোট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেবে না। সরকার ও নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে না পারায় প্রহসনের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এদিকে সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও বিএনপির ‘কোন কৌশলে’ই অংশ নিচ্ছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেটের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 

বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এক সভা ২৭ এপ্রিল সেগুনবাগিচাস্থ বাসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ এর সাধারণ সম্পাদক  বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সদস্য তাসলিমা আক্তার বিউটি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শহীদুল ইসলাম সবুজ ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।

সভার প্রস্তাবে বলা হয় তথাকথিত সার্চ কমিটির মাধ্যমে অনুগত নির্বাচন কমিশন নিয়োগের পর বহু বাগাড়ম্বর করলেও তাদের অধিনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনসমূহে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে উপর্যুপরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। জনগণের আস্থা যে নির্বাচন কমিশন, ভোট ও সরকারের প্রতি নেই তার প্রমাণ ভোট কেন্দ্রে জনগণের অত্যন্ত কম উপস্থিতি।

তাছাড়াও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গণনার সময়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে একটি টেলিফোন কল যাওয়ার পর ভোট গণনা কিছুক্ষণ স্থগিত রাখা ও ফলাফল পাল্টে যাওয়া নিয়ে জনমনে বর্তমান কমিশনের প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রামে ইভিএম মেশিন বুথের বাইরে নিয়ে যাওয়া, গাইবান্ধা উপনির্বাচনে বুথে ডাকাত চিহ্নিত করার পর ভোট স্থগিত করা হলেও কাউকে বিচারের মুখে এনে শাস্তি দিতে না পারা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উকিল সাত্তার মার্কা নির্বাচন ইত্যাদি প্রমাণ করে বর্তমান দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন মোটেও অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয়। এ প্রেক্ষাপটে যখন বাম জোটসহ সকল বিরোধী দল বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে তখন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রহসনের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হবে ফলে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কলংকজনক নির্বাচনকে বৈধতা দেয়া কোন মতেই সমিচিন হবেনা বিধায় বাম জোট আসন্ন ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সাথে দেশবাসীকে প্রহসনের সিটি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের উচ্ছেদ ও নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধিনে নির্বাচন অনুষ্ঠান, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালু, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারসহ ভোট, ভাত ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। 

এদিকে সিটি নির্বাচনে অংশ গ্রহন নিয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও বিএনপির ‘কোন কৌশলে’ই অংশ নিচ্ছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শেয়ার করুন