২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০২:০২:২৬ অপরাহ্ন


দেশকে পূজা চেরী
এরচেয়ে বেশি বলা যাবে না : অভিজ্ঞতা ভয়ঙ্কর
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৫-২০২৩
এরচেয়ে বেশি বলা যাবে না : অভিজ্ঞতা ভয়ঙ্কর পূজা চেরি


দেশের ভৌতিক ঘরানার সিনেমা তেমন একটা হয় না। সেখানে ব্যতিক্রম ঈদের সিনেমা ‘জ্বীন’। এই সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূজা চেরী। পরিচালনা করেছেন নাদের চৌধুরী। প্রযোজনা করেছে জাজ মাল্টি মিডিয়া। এ বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন নিউইয়র্ক প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলমগীর কবির। 

প্রশ্ন: প্রায় দেড় বছর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে আপনার শীতল সম্পর্ক ছিল। হঠাৎ সেখানে ছন্দপতন ঘটল কিভাবে?

পূজা চেরী: আজিজ ভাই ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। দু’জনকে আমি খুব শ্রদ্ধা করি। আমাকেও ভালোবাসতেন তাঁরা। মধ্যে যেকোনো কারণেই হোক, আমাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। আমি ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছি। আমি ছোট মানুষ। ভুল হতেই পারে। সেটা তাঁরা বুঝে আমাকে ক্ষমাও করেছেন। এখন সম্পর্ক স্বাভাবিক। 

প্রশ্ন: ভুলের নেপথ্য কারণটাই জানতে চাচ্ছিলাম। 

পূজা চেরী: নেপথ্যের কারণটা তো বলেই দিয়েছি। এরচেয়ে বেশি বলা যাবে না। তবে এটুকু বলে রাখি যে এক সময় মনে হল এভাবে কাদা-ছোড়াছুড়ি করলে তো হয় না। হয়তো কোনো কথা বলছি না, ঠিক আছে; কিন্তু কাদা-ছোড়াছুড়ির মতোই অবস্থা যাচ্ছিল আমাদের মধ্যে। শুনছিলাম, জাজের সঙ্গে কাজ হবে না, কাজ করা যাবে না। মনে করলাম, সবকিছু ঠিকঠাক করে কাজ করা উচিত। কাজে মনোযোগ দিতে হবে।’ 

প্রশ্ন: ‘জ্বীন’ থেকে সাড়া কেমন পাচ্ছেন?

পূজা চেরী: অসাধারণ। সবাই জানেন, ঈদে অনেক ছবি মুক্তি পেয়েছে। ‘জ্বীন’ সিঙ্গেল স্ক্রিনে মুক্তি দেওয়া হয়নি। কেবল সিনেপ্লেক্সেই মুক্তি পেয়েছে। কম হলে মুক্তি পেয়েও ঈদে দর্শকের চাহিদার কেন্দ্রে চলে এসেছে ‘জ্বীন’। সিনেপ্লেক্সে ছবিটির প্রতি দর্শকের আগ্রহ দেখে তো আমি অবাক! সত্যিই মুগ্ধ, দর্শকের প্রতি কৃতজ্ঞ।

প্রশ্ন: প্রেক্ষাগৃহে দেখেছেন সিনেমাটি?

পূজা চেরী: হ্যাঁ, ঈদে আমার ছবি মুক্তি পেয়েছে, আর দর্শকের সঙ্গে ছবিটি উপভোগ করব না, তা হয় না। ঈদের দিন থেকে সিনেপ্লেক্সগুলোতে ঘুরেছি। ছবিতে যাঁরা অভিনয় করেছি, সবাই মিলে দর্শকের সঙ্গে ছবিটি দেখছি। হলে হলে ঘুরে দর্শক প্রতিক্রিয়া নিজের চোখে লক্ষ্য করছি।

প্রশ্ন: ছবিটির প্রতি দর্শকের আগ্রহের কারণ কী বলে মনে হয় আপনার?

পূজা চেরী: এটি হরর মুভি। শুটিংয়ের সময়ে মেকআপ ও ডাবিংয়ে সংলাপ দিয়ে সেই আবহ তৈরি করা হয়েছে। তবে ভিএফএক্স ব্যবহারের কারণে দর্শক পেয়েছে হরর ছবির আসল স্বাদ। আর জিন-ভূত নিয়ে আমাদের নানা কল্পকাহিনি রয়েছে। আমরা ছোট থেকেই এসব গল্প শুনে শুনে বড় হয়েছি। তাই বড় পর্দায় এ নিয়ে আমাদের আগ্রহের জায়গা আছে। আমাদের দেশের দর্শক তো হলিউডের হরর মুভি দেখে থাকেন। এ ক্ষেত্রে প্রথমবার দেশে এমন হরর মুভি হওয়ায় তাঁদের আগ্রহ বেড়েছে বলে আমি মনে করি। আর আমি মনে করি হরর সিনেমার স্বাদই আলাদা। গল্পই এর প্রাণশক্তি। গল্প ভালো হলে দর্শকের ছবি দেখার আগ্রহ বাড়ে।

প্রশ্ন: ছবিটিতে আপনার চরিত্র কেমন?

পূজা চেরী: সাধারণ একজন মেয়ের। কিন্তু একসময় তার ওপর জিন ভর করে। সে সময় চরিত্রটিতে চেহারায় কিছুটা ভৌতিকতা থাকবে। ইতোমধ্যে যাঁরা দেখেছেন তাঁরা চরিত্রটি উপভোগ করেছেন।

প্রশ্ন: প্রথম এ ধরনের চরিত্র অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

পূজা চেরী: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। ছবির পুরো শুটিংয়ে কষ্টটা আমার ওপর দিয়ে গেছে। আমার ওপর যখন জিন ভর করে, তখন প্রাচীরের ওপর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটেছি। মানিকগঞ্জে এক পুরোনো জমিদারবাড়ির শত বছর আগের কুয়ায় নামতে হয়েছে। ময়লা পানিযুক্ত গভীর কুয়ায় নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম।

প্রশ্ন: প্রায় প্রতি ঈদেই আপনার অভিনীত ছবি মুক্তি পাচ্ছে। বিষয়টি আপনাকে কতটা আনন্দ দেয়?

পূজা চেরী: অবশ্যই দারুণ আনন্দ দেয়। বলতে পারেন ঈদের ডাবল আনন্দ পাই [হাসি]।

প্রশ্ন: ঈদে ছবি মুক্তি পাওয়ায় বেড়ানোর আনন্দ তো হাতছাড়া হয়ে যায়।

পূজা চেরী: না, বরং আরও বেড়ে যায়। হলে হলে বেড়াই। দর্শকের সঙ্গে সরাসরি শুভেচ্ছা বিনিময় করি। বন্ধুবান্ধব নিয়েও কিন্তু বেড়াতে যাই।

শেয়ার করুন