২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৭:১৯:০০ পূর্বাহ্ন


আইনের অপব্যবহার বিনিয়োগে বাধা হতে পারে- ম্যাথু মিলারের সতর্কতা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০২-২০২৪
আইনের অপব্যবহার বিনিয়োগে বাধা হতে পারে- ম্যাথু  মিলারের সতর্কতা


আইনের অপব্যবহার করে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন সরকারের নিপীড়ন মূলক ব্যবস্থা ভবিষ্যতে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। মঙ্গলবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংএ গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান সমুহ দখলের প্রতিক্রিয়ায় এমন অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।   


ব্রিফিংয়ে  এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল- ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ২০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির একটি দল নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অফিস দখলের চেষ্টা চালিয়েছে। এবং আপনি জানেন যে, বাংলাদেশের শাসক দল ইতোমধ্যে একতরফা সংসদ, বিচারাঙ্গন, মিডিয়া, দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ন্ত্রণে রেখেছে আর এখন গ্রামীণের মতো সংস্থার নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে । এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?’  


স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন,  “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আমরা লক্ষ্য করছি যে, শ্রম মামলাটি অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে বিচার করা হয়েছে। অতিরিক্ত মামলার চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছে। আমরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সাথে উদ্বিগ্ন  যে এই মামলাগুলি ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভীতি প্রদশর্নের জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহার হতে পারে। আমরা উদ্বিগ্ন যে, শ্রম এবং দুর্নীতিবিরোধী আইনের এই  অপব্যবহার আইনের শাসনকে বাধাগ্রস্ত করার সাথে সাথে ভবিষ্যতে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে। আমরা বাংলাদেশ ড.  ইউনূসের জন্য একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”   


প্রসঙ্গত, রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডে অবস্থিত গ্রামীণ টেলিকম ভবনে দখল চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম। সেখানে খবরে বলা হয়,  সোমবার (গত)  বিকালে অন্তত ২০ জনের একটি দল এই দখল চেষ্টা চালায় বলে গ্রামীণ কল্যাণের কর্মীরা জানিয়েছেন। তবে কারা এই দখল চেষ্টা চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। গ্রামীণ কল্যাণ হলো শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত একটি সেবা ধর্মী প্রতিষ্ঠান। ওই ভবনে গ্রামীণ কল্যাণের কার্যালয় অবস্থিত। এ ছাড়া ড. ইউনূস প্রতিষ্ঠিত আরও কয়েকটি সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। গ্রামীণ কল্যাণের একজন কর্মকর্তা জানান, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। বাইরে থেকে কিছু লোক দখল চেষ্টা চালিয়েছে। তারা দাবি করছে, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ শক্তি, গ্রামীণ টেলিকম, এগুলো সব গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানাধীন। এজন্য তারা দখল করতে এসেছে।

শেয়ার করুন