১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০২:৩১:১৯ পূর্বাহ্ন


গিয়াস আহমেদের প্রাণঢালা সংবর্ধনায় নেতৃবৃন্দ
হাসিনাকে হটাতে রাজপথ দখল ছাড়া বিকল্প নেই
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৫-২০২৩
হাসিনাকে হটাতে রাজপথ দখল ছাড়া বিকল্প নেই গিয়াস আহমেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা


আমরা একদফার আন্দোলন চাই। সেই একদফা হবে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শেখ হাসিনার পতন নিশিশ্চ করতে হলে আমাদের রাজপথ দখল করতে হবে। এছাড়া বিকল্প নেই। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবশ্যই বিএনপিকে বাদ দিয়ে হবে না এবং যার নেতৃত্ব দেবেন খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। বৃহত্তর ঢাকাবাসী আয়োজিত সদ্য মনোনীত বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় কমিটির সদস্য মনোনীত গিয়াস আহমেদের সংবর্ধনা এবং সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক এবং বিএনপি নেতা এম বাসেত রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব গোলাম এম হায়দার মুকুট, যুগ্ম সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম জয়, তারভীর করিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির শীর্ষ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেবী নাজনীন, জাসাসের আহবায়ক নায়ক হেলাল খান, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, এমদাদুল হক কামাল, আনোয়ার হোসেন, নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি দক্ষিণের আহবায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির আহ্বায়ক মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান, নিউইয়র্ক মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব ফয়েজ চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহসভাপতি কাজী আজহারুল হক মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ বাবর উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়া, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সহসাধারণ সম্পাদক বাবুল চৌধুরী।

গত ৮ মে সন্ধ্যায় উডসাইডের গুলশান টেরেসে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতিন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর সোরওয়ার্দী, নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন রহমান, দক্ষিণের যুগ্ম-আহ্বায়ক খলকুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনি, বাতের সরকার, সৈয়দ আকিকুর রহমান ফারুক প্রমুখ।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মিজানুর রহমান মিল্টন ভূইয়াকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত করায় অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশ মহাসংকটের মধ্যে অতিবাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গায়ের জোরে এবং ভোট চুরি, ডাকাতি করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি বিশ্বব্যাংকের নিমন্ত্রণে ওয়াশিংটন গিয়েছেন। কোনো প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন এমন উদাহরণ নেই। আপনারা তার বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ করেছেন তার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আপনাদের আন্দোলন আমাদের উৎসাহিত করছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার শেষ সময়ে টিকে থাকার শেষ চেষ্টা করছেন। তবে তিনি যত চেষ্টাই করেন না, তিনি টিকে থাকতে পারবেন না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করছে, সাংবাদপত্রে স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ১/১১-এর সরকার তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে গিয়েছে। তার ফলস্বরূপ ১/১১-এর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা নিরাপদে দেশ ত্যাগ করেছেন। তারা এখন আমেরিকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আবারো ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মত নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। সেই সঙ্গে চলছে লুটপাটের রাজত্ব। তারা দেশের অর্থ লুট করে বিদেশে বাড়ি করছে, ব্যবসা বাণিজ্য করছে, সুইস ব্যাংকে অর্থ রাখছে, কানাডায় বেগমপাড়া গড়ে তুলেছে, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করেছে। গত ১৪ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট। তিনি বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে অনেকেটা দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় প্রতিষ্ঠানের পরিণত করেছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। একদলীয় সরকারকে বিদায় ঘটনাতে হবে। এই সরকারের পতন হবে গণঅভ্যুর্থনার মাধমে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করবে। সেই আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন হবে এবং দেশ চলবে খালেদা জিয়ার এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে।

জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান অপরিহার্য। আপনারা যারা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতি করছেন তারা এখন পদ-পদবি এবং কমিটি নিয়ে চিন্তা না করে অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারকে কীভাবে হটানো যায় সেই আন্দোলন নিয়ে চিন্তা করেন। তবে ওয়াশিংটনে আপনারা যে আন্দোলন দেখেছি, শেখ হাসিনাকে যেভাবে ভোর চোর বলতে দেখেছি, তাতে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। এই জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। মনে রাখতে হবে আমাদের মাকে মুক্ত করতে হবে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক কৌশলের কারণে শেখ হাসিনা পাগলের মতো ঘুরছেন। কিন্তু কোনো লাভ হবে না, তিনি তারেকের কৌশলের কাছে এবার পরাজিত হবেন।

খায়রুল কবির খোকন বলেন, আমরা একদফার আন্দোলন চাই। সেই একদফা হবে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করতে হলে আমাদের রাজপথ দখল করতে হবে। এছাড়া বিকল্প নেই। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবশ্যই বিএনপিকে বাদ দিয়ে হবে না এবং যার নেতৃত্ব দেবেন খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। তিনি ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।

গিয়াস আহমেদ অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আপনারা আমাকে আজকে যে সম্মান জানিয়েছেন তা আমি কোন দিন ভুলবো না। তিনি আরো বলেন, আজকে এই অনুষ্ঠানে অনেকেই এসেছেন যারা মঞ্চে আসার যোগ্য। কিন্তু নানাবিধ কারণে তাদের মঞ্চে আনতে পারিনি, এর জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত। তিনি বলেন, আমিসহ যে দুইজনকে মূল্যায়ণ করেছেন সে জন্য তারেক রহমানকে ধন্যবাদ। তিনি শুধু আমাদের নয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে মূল্যায়ন করেছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান আচিরেই বিএনপির কমিটি দেবেন। আমি আমার স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি ভবিষ্যতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বাসেত রহমান সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে গিয়াস আহমেদ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ এবং পুরানো কর্মকর্তরাও উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সফলে কাজ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহসীন, সৈয়দ আকিকুর রহমান ফারুক, আলমগীর হোসেন মৃধা, শেখ শাহজাহান, প্রধান সমন্বয়কারী এ জি এম জাহাঙ্গীর হোসাইন, হাফিজুর রহমান হাফিজ, সমন্বয়কারী কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, দেওয়ান কাউসার, সাদী মিন্টু, খায়রুল আলম, যুগ্ম-সদস্যসচিব আরিফ চৌধুরী, মোস্তফা কামাল মুকুল, মাহবুবুর রহমান, বাবুল দেওয়ান, মনিরুজ্জামান বিল্লাহ, আমিনুল ইসলাম কচি, জীবন সফিক, এস মিয়া তৌহিদ, হাজী মজিবর রহমান, দেলোয়ার হোসেন শিপন, নওশাদ হোসেন, মিঠু হামিদ, আরশাদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ বাবু, শাহাত হোসেন রাজু, আলমগীর খান আলম, সফিকুল ইসলাম, রজ্জব আলী, আলী হোসেন, আবুল কাশেম মাস্টার, সহিদুল ইসলাম খোকা প্রমুখ।

শেয়ার করুন