০৬ মে ২০১২, সোমবার, ০৮:৩৯:৫৪ পূর্বাহ্ন


বিএনপির শীর্ষ নেতাদের খোঁজে ব্যাপক গোয়েন্দা তৎপরতা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১১-২০২৩
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের খোঁজে ব্যাপক গোয়েন্দা তৎপরতা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ


বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ নিহত ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় কারাগারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই মামলায় আসামি সরকার হটানোর এক দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা দলটির শীর্ষ কয়েকজন নেতা। তাদের খোঁজে ব্যাপক গোয়েন্দা তৎপরতা চলছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

রমনা মডেল থানার মামলাটিতে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে আসামিদের মধ্যে আছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, শামসুজ্জামান দুদু, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নিপুণ রায়, আমিনুল হক, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বেশ কয়েকজন।

গত ২৯ অক্টোবর  রবিবার হরতাল চলাকালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। ঘিরে রাখা হয় মির্জা আব্বাসের বাসাও। ভেতরে ঢুকে মির্জা আব্বাসের খোঁজ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া বিএনপির আরো কয়েকজন শীর্ষ নেতার খোঁজে তাদের বাসায় অভিযান চালানোর খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে শীর্ষ নেতাদের না পেয়ে তাদের ছোট ভাইদের গ্রেফতার করা হয়।

একাধিক সূত্র জানায়, গত ২৮ অক্টোবর শনিবার বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বা পরের দিন ২৯ অক্টোবর রবিবার হরতালে যে ‘নাশকতা’ ঘটেছে তার কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের খুঁজছে পুলিশ।

রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা ও কাকরাইল পুলিশ বক্সে আগুন, অর্ধশত গাড়ি পোড়ানো, ভাঙচুর, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, সরকারি স্থাপনা ও গাড়িতে হামলা, পুলিশের ওপর আক্রমণসহ সংঘাতের পেছনে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। এমন প্রেক্ষাপটে ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে বিএনপির ডাকা তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধ শুরু হয়েছে। জানা গেছে, এই কর্মসূচির মধ্যেই বিএনপির এ নেতাদের আইনের আওতায় আনতে মাঠে নেমেছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। 

একজন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর রায়, রুহুল কবির রিজভী, শামসুজ্জামান দুদুসহ দলটির সিনিয়র নেতারা বাসায় নেই। তারা পলাতক। এ নেতাদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। তাদের বাসা ও তারা থাকতে পারেন এমন সম্ভাব্য স্থানগুলোকে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবর শনিবার বিএনপির সমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এদিন অর্ধশত যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের স্থানীয় এক কর্মীর মৃত্যু হয়। আর ২৯ অক্টোবর রবিবার বিএনপির হরতাল চলাকালেও যানবাহনে আগুনের ঘটনা ঘটে।

এসব বিষয়ে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে। মামলাগুলোতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভীসহ দলটির শীর্ষ সারির নেতাদের আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গ্রেফতার হয়েছেন। বাকিরা গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছেন। আছেন আত্মগোপনে।

শেয়ার করুন