০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০৩:০৮:৪২ পূর্বাহ্ন


তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি সিপিবি’র
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৫-২০২৩
তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন  দাবি সিপিবি’র


নির্দলীয় তদারকি সরকারের নির্বাচন, খাদ্য, গ্যাস-বিদ্যুত সহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, এবং দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিনণের শাহজাহানপুর আমতলায় সমাবেশ আয়োজন করে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি গোড়ান শাখার  নেতা রমেন চন্দ্র বর্মণের সভাপতিত্বে এবং শাহজাহানপুর শাখার অন্যতম নেতা জাহিদ নগরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিট নেতা এবং ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলাম সমীর, ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সদস্য হযরত আলী, মঞ্জুর মইন, সিপিবি সবুজবাগ শাখার নেতা হরেন্দ্র নাথ মন্ডল, সিপিবি খিলগাঁও শাখার নেতা হাবিব হাসিবুর রহমান, সিপিবি সবুজবাগ শাখার সম্পাদক কফিল উদ্দিন, সিপিবি গোড়ান শাখার সহ-সম্পাদক অনিক রায়, শাহজাহানপুর শাখার নেত্রী ডালিয়া আক্তারসহ প্রমুখ।

সমাবেশ সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আনোয়ার হোসেন রেজা বলেন, কোরবানীর ঈদ আসছে, দাম কয়েকদিন পর আরও বাড়বে। পৃথিবীর সবখানে উৎসব এলে জিনিসের দাম কমে কিন্তু আমাদের দেশে বাড়ে। আপনারা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, দেশ চালাবেন কি করে? আমরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিকে দেখেছি। এদের সবার নীতি একই।
সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলাম সমীর বলেন, এ দেশে যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছে। বর্তমান সরকার দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমিতায় এসেছে। ক্ষমতায় এসে সংবিধান পরিবর্তন করে আজীবন ক্ষমতায় থাকার পাঁয়তারা করছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
সিপিনি ঢাকা দক্ষিনের সদস্য হযরত আলী বলেন, সরকার ১৫ বছরে দেশকে দেউলিয়া বানায় দিছে। ক্ষমতায় আসার আগে বলসিলো ১০ টাকায় চাল খাওয়াইবো, ঘরে ঘরে চাকরি দেব। এরা কখনোই মানুষের জন্য কিছু করবে না। এদের একটাই উদ্দেশ্য, ক্ষমতায় যাও, লুটেপুটে খাও।

সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের সদস্য মঞ্জুর মঈন বলেন, জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবি জনদাবি। কিন্তু এই সরকারের কি মানুষের কথা শুনতে হয়? আজকে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতি করছে সরকারি গুন্ডারা। ২০১৮ সালে নৌকায় ভোট না দেওয়ায় জয় বাংলা বলে নোয়াখালীতে একজন নারীকে ধর্ষণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ৫২ বছর পর জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সবচেয়ে বড় বড় কুকর্মগুলো করা হচ্ছে। আর আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে। এই স্বৈরতন্ত্রের পতন রচনা করতে হবে।
সমাবেশ পরবর্তীতে একটা বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত  হয়। 

শেয়ার করুন