০১ মে ২০১২, বুধবার, ০২:৫০:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে এবার বন্দুকধারীর গুলিতে তিন আইনশৃংলাবাহিনীর সদস্য নিহত ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ


কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নেতৃত্বে সাজ্জাদ-মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৩-২০২৪
কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নেতৃত্বে সাজ্জাদ-মোশাররফ কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরামের নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ


কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার (সিজেএফডি) দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা এবং নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ প্রতিনিধি মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আমাদের অর্থনীতির বিশেষ প্রতিনিধি এম মোশাররফ হোসাইন।

২১ সদস্যের কমিটির অন্য পদে নির্বাচিতরা হলেন-সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল অদুদ ও এম এস দোহা, যুগ্ম-সম্পাদক সালাহ উদ্দিন জসিম ও কামরুজ্জামান বাবলু, অর্থ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন দরবেশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক মনির আহমাদ জারিফ, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক এ এফ এম রাসেল পাটোয়ারী, ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান রতন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক জহির আলম সিকদার, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক আহমেদ আজম, শিক্ষা প্রশিক্ষণ সম্পাদক ফারজানা আফরিন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক বদরুল আলম মজুমদার, ইভেন্ট-আপ্যায়ন সম্পাদক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বেলাল এবং নির্বাহী সদস্য দিদারুল আলম দিদার, সায়ীদ আবদুল মালিক, সাঈদ আহমদ খান, মোহাম্মদ মাসুদ ও কমল চৌধুরী।

দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কর্ম অধিবেশন ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা হোসাইন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব রশিদ, মোহাম্মদ আবু তাহের, মো. শরীফুল ইসলাম এবং ফারুক খান।

এর আগে সকাল ১০টায় সংগঠনের বিদায়ী সভাপতি মো. শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি, সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজিউল হাসান খান, প্রেস ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, মুক্তিযুদ্ধের গবেষক মোস্তফা হোসাইন, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাসিমা খান মন্টি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুর রহমান খোকন, সিনিয়র সদস্য আ ন ম কুদরাত-ই-খোদা এবং আবু তাহেরসহ অনেকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, কুমিল্লার যে ঐতিহ্য সবাইকে তা ধারণ করে এগোতে হবে। তবে কাজের ক্ষেত্রে যোগ্যতার সঙ্গে লড়াই চলে না। কুমিল্লাকে প্রত্যাশিতভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবাইকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। তরুণ প্রজন্ম যাতে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে ওঠে, সে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, পরিবর্তনকে ভয় পেলে চলবে না। আপনারা উন্নত কুমিল্লা চান। উন্নত বলতে বোঝায় জ্ঞানবিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ এবং দারিদ্র্য, মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত। আপনারা সাংবাদিকরা এর জন্য অবদান রাখবেন, বিশ্বাস করি। আগামী দিনের ইতিবাচক অগ্রযাত্রায় শামিল হবেন। অনেকে সমস্যার কথা বলেছেন, এগুলোর সমাধানে আপনারা একটি কর্মপরিকল্পনা করেন। আমি সর্বতোভাবে সহায়তা করবো।

সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব বলেন, অনেকে বলেন রাজনীতিবিদরাই সমাজসেবা করে। শুধু রাজনীতিবিদরা নয়, সবাই সমাজসেবা করে। আমরা স্ব-স্ব জায়গা থেকে নিজ দায়িত্বটুকু পালন করলেই সমাজসেবা হয়ে যায়। এ সময় তিনি কুমিল্লাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাংবাদিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। 

বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, সাংবাদিকদের কুমিল্লার ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণ করতে হবে। কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা বাংলাদেশের শিক্ষার বিকাশে পথপ্রদর্শক; তার মূল্যায়নে ভূমিকা রাখতে হবে। তার বাড়ির স্মৃতি সংরক্ষণ করতে হবে। শচীন দেব বর্মন ও ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁকে স্মরণ করতে হবে। শাস্তি ও সুনীতিকে সামনে আনতে হবে। একটা মাত্র জেলা যেখানে মুক্তিযুদ্ধের তিনটি সেক্টর ছিল। তিনি বলেন, আমি জেলা কোটা বিলুপ্তির পক্ষে, কুমিল্লা বিভাগের পক্ষে। আমরা চেষ্টা করলে কুমিল্লাকে আরো বিকশিত করতে পারি, ব্র্যান্ডিং করতে পারি।

শেয়ার করুন