২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০১:৪২:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


মহানগর বিএনপির উত্তরের অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ
স্বৈরাচারকে পরাভূত করে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২৩
স্বৈরাচারকে পরাভূত করে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে বক্তব্য রাখছেন জিল্লুর রহমান জিল্লু


শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার ঘোষণাতেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি শুধু আমাদের দেশ দেননি, বাংলাদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশকে তলাবিহনী ঝুড়ির অপবাদ থেকে বাঁচিয়ে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। কিন্তু দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমানের মৃত্যু হয় আজ থেকে ৪২ বছর আগে, কিন্তু তিনি এখনো বাংলাদেশে জনপ্রিয়। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার বাংলাদেশে এখন নব্য এক স্বৈরাচার ক্ষমতায়। প্রতিহিংসা এবং ফরমায়েশি আদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেল দেওয়া হয়েছে এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। আজকে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীতে আমাদের শপথ হচ্ছে সব স্বৈরাচারকে পরাভূত করে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। গত ৩১ মে নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজিত শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু এই কথা বলেন।

বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টারের নিরব রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আহবাব চৌধুরী খোকনের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব ফয়েজ চৌধুরীর চমৎকার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির আহ্বায়ক মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান, নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সদস্য সচিব বদিউল আলম, রবিশাল জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি ডা. আব্দুস সবুর, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাইফুর খান হারুণ। অন্যদের মধ্যে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন ড. নূরুল আমিন পলাশ, ইমরান শাহ রন, এ জি এম জাহাঙ্গীর, কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, জাফর তালুকদার, আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার, আনোয়ারুল আলম ভুইয়া, এমডি লিয়াকত আলী, শরিফুল খালিশদার, মনসুর আলী, আনোয়ার জাহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, শাহাদত হোসেন রাজু, বদরুল হক আজাদ, মিজানুর রহমান মিজান, সৈয়দ গাউসুল হোসেন, আব্দুর রহিম, মানিক আহমেদ, আলী রেজা, জামিলুর রহমান, কামরুল হাসান, নুরুল ইসলাম সুজন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা করে মিলাদ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন হাফেজ হাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শরিফ হোসেন, সাব্বির আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান, শাহ কামাল, কামরুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, তারেক আহমদ, খসরু আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর কর্তৃক ঘোষিত ইস্টওয়েস্টের কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার ঘোষণাতেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি শুধু আমাদের দেশ দেননি, বাংলাদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশকে তলাবিহনী ঝুড়ির অপবাদ থেকে বাঁচিয়ে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। কিন্তু দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমানের মৃত্যু হয় আজ থেকে ৪২ বছর পূর্বে কিন্তু তিনি এখনো বাংলাদেশের জনপ্রিয়। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার বাংলাদেশে এখন নব্য এক স্বৈরাচার ক্ষমতায়। প্রতিহিংসা এবং ফরমায়েশি আদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেল দেওয়া হয়েছে এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। আজকে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীতে আমাদের শপথ হচ্ছে সব স্বৈরাচারকে পরাভূত করে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের জানাজায় আমি উপস্থিত ছিলাম। আমি দেখেছি হাজার হাজার মানুষ। শুধু তাই নয় সারা বাংলাদেশে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই অর্থে সারা দেশেই জানাজা হয়েছিল। তিনি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মাত্র ৪৫ বছর বেঁচে ছিলেন। মাত্র ৪২ বছরে তিনি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে দেশ দিয়েছেন, আবার ১৯৭৫ সালে শিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে আমাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন। বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করেছেন। আজকে বাংলাদেশে গার্মেন্টস এবং জনশক্তি তারই অবদান। তিনি বাংলাদেশের একজন ক্ষণজন্মা মানুষ। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিনটি কমিটি দিয়েছেন, এই তিনটি কমিটি ভালো কাজ করছে।

অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে, তাই এখন আবল তাবল বলতে শুরু করেছেন। শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে ভোট চোর, ভোট ডাকাত সরকার। এই ভোট চোর সরকারের ওপর আর বাংলাদেশের মানুষের আস্থা নেই। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষে আস্থা এখন তারেক রহমানের ওপর। তিনি বলেছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে। সুতরাং আমরা প্রস্তুত।

হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার। আমরা এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনে আছি, যতদিন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন না হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।

আহবাব চৌধুরী খোকন বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মাত্র কয়েক বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বমানের দেশে পরিণত করেছিলেন। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে আজকে বাংলাদেশ কোথায় যেত চিন্তা করেন দেখেন। তিনি বলেন, আমরা জিয়ার আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করি। তার মতোই আমরা দেশ এবং দলকে এগিয়ে নিতে চাই। সে কারণে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। তিনি আরো বলেন, ১২ বছর যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ছিল না, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা তিনটি কমিটি দিয়েছেন। আমি একটি কমিটির দায়িত্বে রয়েছি। আমরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বরোতে তিনিটি কমিটি করেছি। যার মাধ্যমে আমরা বিএনপিকে শক্তিশালী করতে চাই। আন্দোলন এবং সংগ্রামকে বেগবান করতে চাই।

ডা. আব্দুস সবুর ঐক্যবদ্ধ থেকে সবাই আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি নিজ কানে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা শুনেছি।

ফয়েজ চৌধুরী বলেন, অন্ধকার চলে যাবে, আলো আসবে। সেই আলো আমরাই আনবো। সেই আলোর পথ ধরে দেশের নেতৃত্ব দেবেন বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান।

শেয়ার করুন