২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ৬:০৬:৩০ অপরাহ্ন


শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশন অ্যালামনাইয়ের অভিষেক ও পুনর্মিলনী
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৬-২০২৩
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশন অ্যালামনাইয়ের অভিষেক ও পুনর্মিলনী নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের শপথ গ্রহণ


কুইন্স ব্লুবার্ডের আগ্রা প্যালেসে গত ১০ জুন সন্ধ্যায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আমেরিকার নবনির্বাচিত কমিটির বর্ণিল অভিষেক ও বার্ষিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিষেক ও বার্ষিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলা ও আলেগ্রা হোম কেয়ারের সিইও আবু জাফর মাহমুদ, গেস্ট অব অনার সাপ্তাহিক আজকালের সম্পাদক ও গোল্ডেন অ্যাজ হোম কেয়ারের চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর ও নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারি ইসরাত জাহান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেরবাংলা কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই, আমেরিকার সভাপতি মীর ফরিদ উদ্দীন আহমেদ। পরিচালনায় ছিলেন প্রভাত বোস ও অ্যালামনাইয়ের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. গোলাম সামদানী তরফদার নবনির্বাচিত কমিটির শপথ বাক্য পাঠ করান।

প্রধান অতিথি আবু জাফর মাহমুদ বলেছেন, প্রতিটি পেশাদার গ্রুপের মেধাবী মানুষদের জ্ঞান ও চিন্তা বাংলাদেশে কাজে লাগাতে হবে। সে জন্য পেশাদার যত অ্যালামনাই গ্রুপ, তাদেরকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। তিনি বলেন, কেউ আমরা বাংলাদেশ ভুলিনি। যেমন যুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছি। তারপর এতোটা দিন পেরিয়ে গেছে। এই সময়ের ভেতর অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। যারা পেশাদার তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। কৃষিবিদরা দেশের কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণে অনেক বড় অবদান রাখতে পারেন। এখন বাংলাদেশে কৃষিকাজে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ যুক্ত হয়েছে। এখন থেকে প্রকৌশলী, ডাক্তারসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা দেশের জন্য বহুমুখি উদ্যোগ নিচ্ছেন। বিনিয়োগ করছেন। ডাক্তাররা হসপিটাল করছেন। আমি নিজে তিনটি হসপিটালের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির চাহিদাপত্র গিয়েছি। যাতে সুবিধামতো জায়গায় হসপিটাল স্থাপন করা যায়। একইভাবে কৃষিবিদদেরকেও দেশের জন্য বড় উদ্যোগ নিয়ে যেতে হবে। আবু জাফর মাহমুদ আরো বলেন, মা-বাবার প্রতি সম্মান ও দায়িত্বের মতোই আমাদের জন্মভূমির প্রতি অনেক দায়িত্ব সবার আগে। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ব্যক্তিগত বাবা-মা প্রতিষ্ঠা করেননি। যে রাস্তা দিয়ে হেঁটেছি সেটিও আমার, আপনার বাবা-মা প্রতিষ্ঠা করেননি। আমার জাতি করেছে। জাতির এই ঋণ শোধ দেওয়ার জন্য আজীবন প্রচেষ্টা থাকতে হবে। স্বাধীন করার জন্য আমরা একসময় স্লোগান দিয়েছি জয় বাংলা। এখন যুদ্ধ করে স্বাধীন করা দেশটির জন্য আমার চেতনায় ও চিত্তে সারাক্ষণই স্লোগান থাকে ‘জয় বাংলাদেশ’। এই জয় বাংলাদেশই আমাদের সম্পর্কের সূত্র।

গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে শাহ নেওয়াজ বলেন, কৃষিবিদরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তির ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করছেন। ১৯৭০-৭১ সালে সাড়ে ৭ কোটি মানুষের খাদ্য যোগান দিতে হিমশিম খেতে হতো। এখন ১৭ কোটি মানুষে খাদ্য উৎপাদনের পরও উদ্বৃত্ত থাকছে। এটি সম্ভব হয়েছে কৃষি বিজ্ঞানীদের কারনে। প্রবাসেও বাংলাদেশি কৃষি গ্রাজুয়েটরা সম্মানের সঙ্গে মুলধারার বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশি কমিউনিটি গর্বিত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. প্রদীপ রঞ্জন কর বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধরা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের সরকার আবারও ক্ষমতায় আসা দরকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে রক্ষার জন্যই শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন।

অন্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামসুদ্দিন আজাদ, চটগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইয়ের সভাপতি মাহমুদ আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিষু গোপ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ও সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যায় অ্যালামনাই আয়োজিত বাংলা নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ফেরদৌস খান, ফোবানা কর্মকর্তা বেদারুল ইসলাম বাবলা, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইয়ের সাবেক সভাপতি কবির কিরণ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইয়ের প্রেসিডেন্ট সোমিত মন্ডল, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও কুইন্স কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার মোহাম্মদ আলী, বিশিষ্ট রিয়েলটর নুরুল আজিম, লায়ন সভাপতি আহসান হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক এম জিলানী, ট্রাই স্টেট বিএনপির সভাপতি কাজি আযম ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, প্রবীন কৃষিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল তালকদার, কৃষিবিদ আব্দুর রহমান, প্রবাসের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সাপ্তাহিক আজকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রানু নেওয়াজ, জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চান্দু, শো টাইম মিউজিকের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম, ব্রঙ্কস বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মামুন, বিশিষ্ট রিয়েলেটর মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন সাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, কমিউনিটি একটিভিস্ট শেখ আব্দুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনি ও এমটিএ’র কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, সাংবাদিক আদিত্য শাহিন, আলেগ্রা ও বাংলা হোম কেয়ার গ্রুপের মিডিয়া এডভাইজার সৈয়দ এম আলম প্রমুখ।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’র সিনিয়র সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাজমুল হক আঙ্গুর , তৌহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, তপতী রায়, বিদ্যুৎ রায়, অলোক পাল, মোহাম্মদ মামুন, শায়লা তিথি, মাজাহারুল হক শওকত, ফাতেমা মামুন, জাতিসংঘে কর্মরত কৃষিবিদ আলম হোসেইন, শুভময় বিশ্বাস ও সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে গান গেয়ে উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন শাহ মাহবুব ও শেফালী সারগাম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুগল কিশোর নাথ।

অ্যালামনাইয়ের নবনির্বাচিত কর্মকর্তারা হলেন সভাপতি এম এ রশীদ, সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী মানিক, সহসভাপতি তপতী রায়, সাধারণ সম্পাদক এম এ মামুন, সহ সাধারণ সম্পাদক যুগল কিশোর নাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক, আনিসুল হক সোহেল, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল আজিম, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শুভময় বিশ্বাস। কার্যকরি কমিটির সদস্যরা হলেন মীর ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, মনোয়ারুল ইসলাম, প্রভাত বোস, আসাদুজ্জামান কিরন ও সেন্দোর আলী।

শেয়ার করুন