২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৩:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


সাংবাদিক নাদিম হত্যার বিচার দাবি সিপিজের
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৬-২০২৩
সাংবাদিক নাদিম হত্যার বিচার দাবি সিপিজের সাংবাদিক নাদিম


সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমকে হত্যার তদন্ত এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। গত ১৬ জুন এ বিষয়ে তারা একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, নাদিমকে হত্যার তদন্ত অবশ্যই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। নিজস্ব ওয়েবপেজে পোস্ট করা এই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলানিউজ২৪, একাত্তর টিভির প্রতিনিধি, দৈনিক মানবজমিনের বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি নাদিমকে একদল লোক ১৪ জুন বুধবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ১০টায় ঘেরাও করে। এ সময় তিনি ময়মনসিংহের জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় মোটর সাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। 

স্থানীয় একজন সাংবাদিক আল মুজাহিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন এ বিষয়টি। ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল নাদিমকে অন্ধকারময় স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে বেদম প্রহার করে। অচেতন অবস্থায় ফেলে যায়। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। মাথায় মারাত্মক ক্ষত থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পরের দিন মারা যান সাংবাদিক নাদিম। তার পরিবার মনে করছে, স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে নিয়ে ২০২৩ সালের মে মাসে ধারাবাহিক একটি রিপোর্ট করেছিলেন নাদিম। এজন্য তিনি তার টার্গেটে পরিণত হতে পারেন। উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় একজন সদস্য চেয়ারম্যান বাবু। কিন্তু হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। বকশীগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের ওসি সোহেল রানা বলেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে তারা গ্রেফতার করেছেন। 

সিপিজের এশিয়া কর্মসূচির সমন্বয়ক বেহ লিহ য়ি বলেন, বাংলাদেশি সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমকে হত্যার নিন্দা জানাই আমরা। দৃশ্যত মনে হচ্ছে তিনি স্থানীয় একজন রাজনীতিককে নিয়ে রিপোর্টিং করার কারণে তার প্রতিশোধের শিকারে পরিণত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এই হামলায় জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনা নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার দায়মুক্তি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। আল মুজাহিদ বলেছেন, হামলার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন চেয়ারম্যান বাবু। তিনি দূর থেকে হামলাকারীদের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। মে মাসে বাবুর বিয়ে নিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন নাদিম। সংবাদ সম্মেলনে একজন নারী অভিযোগ করেছিলেন যে, গোপনে তাকে বিয়ে করেছেন বাবু। তারপর তাকে নির্যাতন করে তালাক দিয়েছেন। এ নিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন নাদিম। একই সঙ্গে ফেসবুকেও পোস্ট দিয়েছিলেন। মে মাসের মাঝামাঝি নাদিমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন বাবু। হামলার কয়েক ঘন্টা আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন নাদিম। তাতে নাদিম বলেন, আদালত মামলা খারিজ করে দিয়েছে। এই মৃত্যুর তদন্তে যুক্ত হয়েছে র‌্যাব। বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া এবং বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাব এই হত্যার নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, নাদিম ছিলেন জামালপুর জেলা অনলাইন সাংবাদিক সমিতির প্রেসিডেন্ট। তাকে রিপোর্টিংয়ের কারণে টার্গেট করা হয়েছে।

শেয়ার করুন