২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৯:৫১:১২ অপরাহ্ন


তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান
‘ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে’
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৮-২০২৩
‘ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে  দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে’


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, বর্তমান সরকার মানুষের মৌলিক অধিকারসহ সবধরনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার ও বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। বর্তমান সরকার আমাদের উপর জগদ্দল পাথরের মতো বসে আছে। বর্তমান জালিম সরকারকে হটিয়ে একজন দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠা
করতে হবে।

আজ সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা শাখার উদ্যোগে কালিগঞ্জের চুনকুটিয়া রাজ কমিউনিটি সেন্টারে তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা সভাপতি আলহাজ্ব সুলতান আহমাদ খানের সভাপতিত্বে এবং মুফতী আলমগীর হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিতি ছিলেন দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি আলহাজ্ব জয়নুল আবেদীন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ হানিফ মেম্বার, হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক


ডা. কামরুজ্জামান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ নেতা কায়েস উদ্দিন। এছাড়াও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি ভাল মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম। এ সংগঠনে চোর-বাটপার, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজিদের স্থান নেই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশের অন্যতম রাজনৈতিক সংগঠন। প্রচলিত রাজনৈতিক ধারার বাইরে থেকে রাজনীতিতে গুণগত ও আদর্শিক পরিবর্তন করতে চায়। তিনি বলেন, রাজনীতি মানেই জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর, নৈরাজ্য সৃষ্টি। এ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ইসলামী আন্দোলন রাজনীতিতে প্রচলিত রাজনীতির জ্বালাও পোড়াও ছাড়াও যে রাজনীতি হতে পারে, ইসলামি আন্দোলন রাজনীতিতে সে ধারার সৃষ্টি করেছে। এখন অনেকেই ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও জ্বালাও-পোড়াও থেকে বের হয়ে আসছে। এটা ইসলামী আন্দোলনের সফলতা।

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নেই। এখন আর ভোট হয় না। ভোট হলে, দেখা যেতো মানুষ ইসলামী আন্দোলনকেই বেছে নিত। ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হতো। তিনি বলেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি হলো নির্বাচন। সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার মানুষকে বন্দি করে রেখেছে। মানুষ এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। তিনি বলেন, সরকারের একটি পক্ষ বিএনপির রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী হলে, আপনারা কী? আপনারা তো শান্তি সমাবেশের নামে হাফেজ রেজাউল করীমকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। আওয়ামী লীগের পুরোনো অভ্যাস আইন করে রাজনীতি বন্ধ করা। তিনি বলেন, সরকার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি। ফ্যাসিবাদী ও জালিম
সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার পতিষ্ঠা করতে হবে।


শেয়ার করুন