বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাঁধাগ্রস্ত করতে পারে এমন যেকোন ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিকল্প কী হতে পারে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন মার্কিন স্টেড ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। বৃহস্পতিবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান দেন তিনি।
মিলার বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার বিকল্প হাতে রাখে যুক্তরাষ্ট্র, যতক্ষণ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের উপযুক্ত সময় না হয়, ততক্ষণ তা প্রয়োগ না করে বিকল্প কিছু প্রয়োগ করা হয়।’
তিনি জানান, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুন্ন করতে পারে, এমন যে কোনো ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের বিকল্পও হাতে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। যথোপযুক্ত সময়ে সেটি প্রয়োগ করা হবে বলেও তিনি বলেন।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার নিরাপত্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মিলার বলেন,‘আমি মার্কিন দূতাবাস বা
সেখানে কর্মরত কর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট বিবরণ নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি না। আমি বলব যে অবশ্যই কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, প্রতিটি আয়োজক দেশকে অবশ্যই সমস্ত কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দূতাবাস কর্মীদের উপর কোনও আক্রমণ প্রতিরোধে সমস্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে এবং আমরা আশা করি, যে সরকার আমাদেরসহ দেশের সকল বিদেশি মিশন কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেবে।’
এ সময় অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিয়েছি। যাদের আমরা বিশ্বাস করি যে তিনি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নষ্ট করার জন্য দায়ী বা জড়িত।’
ইতিমধ্যে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যারা বাঁধাগ্রস্থ করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে মর্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ তথ্য জানানোর পরই এ ইস্যুটি রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। এ বিষয়ে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে মার্কিন দপ্তর।