২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ৬:২৮:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


এবার বিশ্বকাপে বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াই
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১০-২০২৩
এবার বিশ্বকাপে বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াই


৫ অক্টোবর ’২৩ দশ দল নিয়ে ভারতের আহমেদাবাদের সবচেয়ে বড় নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে  শুরু হবে আইসিসি বিশ্বকাপের ১৩ম আসর। ১২ আসরে সর্বোচ্চ ৫ বার শিরোপা  জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, ২ বার করে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ভারত, ১ বার  করে জয় করেছে পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং ইংল্যান্ড। এবারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেই। ১০ দলের মধ্যে ৫টি এশিয়ার, সঙ্গে আছে ইংল্যান্ড ,অস্ট্রেলিয়া, নিউজিলান্ড ,দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আইসিসি সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস। শেষ হলো হিমাচল , কেরালা এবং হায়দরাবাদের তিনটি ভেনুতে ১০ দলের প্রতিটির ২ করে ১০ টি গা গরমের ম্যাচ। ভারতে কিন্তু শরতের শেষ লগ্নে এসেও বর্ষা বিদায় নেইনি।


তাই ভারতের দুটি ম্যাচ সহ ৪ ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে। এবারের টুর্নামেন্টে দলগুলোর শক্তিমত্তা অনেকটা কাছাকাছি হলেও ফেভারিট তালিকায় আছে শিরোপাধারী ইংল্যান্ড ,স্বাগতিক এবং রাংকিংয়ে শীর্ষ দল ভারত ,বিশ্বকাপে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া , তুখোড় প্রতিদ্বন্দ্বী দল নিউজিল্যান্ড , এশিয়ান টাইগার পাকিস্তান ,চোকার দক্ষিণ আফ্রিকা। পাশাপাশি শ্রীলংকা ,বাংলাদেশ এমনকি আফগানিস্তানকেও ডার্কহর্স বলা হচ্ছে।  আইসিসির অ্যাসোসিয়েট দেশ নেদারল্যান্ডস কিন্তু কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ , জিম্বাবুয়ে , আয়ারল্যান্ডকে পিছনে ফেলে এসেছে।  যদিও ইংল্যান্ড ,অস্ট্রেলিয়া ,ভারত ,পাকিস্তান সেমী ফাইনালের জন্য ফেভারিট দল তবুও এই হিসাব পাল্টে যেতে পারে সহজেই।


গা গরমের ম্যাচে কিন্তু সবচেয়ে শক্তিশালী মনে হয়েছে নিউ জিল্যান্ডকে। দুটি খেলায় ভালো খেলে ওরা পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে শক্তিমত্তার জানান দিয়েছে। ভারতের দুর্ভাগ্য ইংল্যান্ড এবং নেদারল্যাডসের সঙ্গে দুটি খেলায় বৃষ্টিবিঘ্নিত হয়ে পরিত্যক্ত হয়েছে। এশিয়া কাপের রানার্স আপ শ্রীলংকা দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের কাছে বিশাল ব্যাবধানে হেরে গেছে। ইংল্যান্ড -ভারত খেলাটি পরিত্যক্ত হলেও ইংল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে দাপটের সঙ্গে জিতেছে। যদিও গা গরমের ম্যাচ দলগুলো হালকা ভাবে নিয়ে থাকে তবে খেলাগুলো থেকে অংশ গ্রহণকারী দল গুলো কিন্তু উইকেট এবং পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সুযোগ পায়। সেই সূত্রে অংশগ্রহণকারী দল বিশেষ করে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ,নিউ জিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ভারতের পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা হলেও সুযোগ হয়েছে। আইসিসি উপদেশ দিয়েছে উইকেট গুলো যতটা সম্ভব স্পোর্টিং হবে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে ৩০০+ রান হয়েছে। এমনকি বিজয়ী দলগুলো স্কোর তাড়া করে জিতেছে।


আমাদের পর্যালোচনায় মনে হয় এবারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে প্রস্তুত দুটি দল হলো ইংল্যান্ড এবং ভারত।  ইংল্যান্ড শিরোপা ধারী দল। অধুনা ওরা বাজবল নামের কৌশলে খেলে সফরমাটে ক্রিকেটের ব্যাকরণ পাল্টে ফেলেছে। ওডিআই এমনকি টেস্ট ম্যাচেও ব্যাটিং করছে টি ২০ আদলে।  শুরু থেকে শেষ অবদি অন্তত ১০ জন ব্যাটসম্যান আছে যারা ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করতে অভ্যস্থ। জনি বেয়ারস্ট, ডেভিড মালান ,জোয়ে রুট, বেন স্টোকস , মঈন আলী ,লিয়াম লিভিংস্টোন ,স্যাম কুরান এদের যেই কোনো একজন বা দুজন যে কোনো অবস্থায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। এরপরেও আছে আদিল রাশিদ , ক্রিস ওকসের মতো চৌকষ খেলোয়াড় যারা প্রয়োজনে দ্রুত ২৫-৩০ জুড়ে দিতে পারবে। বোলিং যদি বলেন মার্ক উড, ক্রিস ওকস , রিসি টপলে ,স্যাম কুরান ,ডেভিড উইলি উইকেটে পিসি বাউন্স থাকলে ধস নামবে। স্পিন ডিপার্টমেন্ট আদিল রাশিদ , মঈন আলী ,লিয়াম লিভিংস্টোনের সক্রিয়তায় শক্তিশালী। এই দলকে হারাতে শাহীন আফ্রিদি ,জাসপ্রিত বুমরা ,ট্রেন্ট বোল্ট, মিচেল স্টার্ক  অথবা কুলদীপ যাদব ,আদম জাম্পাদের ক্স-ফ্যাক্টর হয়ে সক্রিয় থাকতে হবে। কোহলি ,বাবর আজম , কেন উইলিয়ামসনদের স্টিভ স্মিথদের নিজেদের মূর্তিতে সক্রিয় থাকতে হবে।


আমি স্বাগতিক ভারত দলকেও এবারের টুর্নামেন্টে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবো। রোহিত -শুভমান গিল সমন্বয়ে গড়া ওপেনিং পার্টনারশিপ এই মুহূর্তে হয়তো বিশ্বসেরা, তিন নম্বরে বিরাট কোহলি আছে তুখোড় ফর্মে। কেএল রাহুল, স্রেয়াশ আয়ার , হার্ডিক পান্ডিয়া ,সূর্যকুমার যাদবের মিডল অর্ডার এখন বিশ্ব সেরা।  এখানেই শেষ নয় প্রয়োজনে রবীন্দ্র জাদেজা ,রবিচন্দ্র অশ্বিন এমনকি শার্দুল ঠাকুর লেজ হিসাবেও শক্তিশালী। জাসপ্রিত বুমরা এবং কুলদীপ যাদব ভারত বোলিংয়ে ক্স-ফ্যাক্টর। সাথে আছে মোহাম্মদ সামি , মোহাম্মদ সিরাজের মত প্রতিভাবান পেসার এবং অশ্বিন ,জাদেজার মত অভিজ্ঞ স্পিনার। নিজেদের মাঠে ভারত চাপে থাকবে সন্দেহ নেই. চ্যালেঞ্জ হবে ৯ টি ম্যাচ ওদের নয়টি শহরে খেলতে হবে।
যাহোক পর্যায়ক্রমে সব ম্যাচ নিয়েই লিখবো।  ক্রিকেট এমন একটি খেলা যে খেলাকে যথার্থই বলা জয় গৌরবোজ্জ্বল অনিশ্চয়তার খেলা। বলছি ভারত ইংল্যান্ডের কথা।  এমনও হতে পারে ওদের একটি বা উভয় সেমী ফাইনালেও পৌঁছলো না।

অপেক্ষায় থাকুন নাটকীয়তায় ভরপুর বিশ্বকাপের।

শেয়ার করুন