২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৬:৫০:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


দেশকে ফেরদৌস আহমেদ
মানুষের সেবা করতে রাজনীতিতে এসেছি
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১১-২০২৩
মানুষের সেবা করতে রাজনীতিতে এসেছি চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ


ফেরদৌস আহমেদ। ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমা দিয়ে আলোচনায় আসার পর সমানতালে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলায়। তবে গত বছর চারেক ধরে অভিনয়ের চেয়ে রাজনীতির ময়দানেই বেশি দেখা গেছে তাকে। সেই ধারাবাহিকতায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন আলমগীর কবির। 

প্রশ্ন: অভিনেতা থেকে এখন আপনি রাজনৈতিক নেতা। রূপালি পর্দায় কি নিয়মিত থাকবেন? 

ফেরদৌস আহমেদ: রাজনীতি ও অভিনয় পাশাপাশি করে যাব। অভিনয়ের জন্য আজকের আমি। কিন্তু খুব বাছাই করে কাজ করব। দীর্ঘদিন ধরে সিনেমায় অভিনয় করে মানুষকে বিনোদন দিয়ে যাচ্ছি। এখন মানুষের সেবা করার স্বপ্ন দেখি। মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতিতে এসেছি। আমি কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। তিনি আমাকে যে ভালোবাসা ও সম্মান দিলেন, তা যেন রক্ষা করতে পারি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে যেন চলতে পারি। দলের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ।

প্রশ্ন: ঢাকা-১০ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি দল গুরুত্ব দিয়েছে বলে মনে করেন?

ফেরদৌস আহমেদ: সম্ভবত আমার দায়িত্বশীল আচরণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিয়েছেন। তাঁর প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ আমার মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান, বন্ধু, সহশিল্পী, মিডিয়াকর্মীদের। তাঁরা সারা জীবন আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। আমার নতুন জীবন শুরু হলো। আমার বিশ্বাস, এবারও তাঁরা সাপোর্ট করবেন, আমার সঙ্গে থাকবেন।

প্রশ্ন: মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে কি পূর্ব থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন?

ফেরদৌস আহমেদ: হ্যাঁ, আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কারণ দুই যুগ ধরে নানা ধরনের সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। আমি মনে করেছি, আমার একটা জায়গা প্রয়োজন, যেখান থেকে মানুষের পাশে আরও ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়াতে পারব, মানুষের জন্য আরও কাজ করতে পারব। কিছুদিন আগে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাই। তিনি আমাকে সন্তানের মতো স্নেহ করেন। শুধু আমাকে নয়, সব শিল্পীকেই তিনি স্নেহ করেন। সেই স্নেহের জায়গা থেকেই আমার ইচ্ছার কথা তাঁকে জানাই। উনি তখন হেসে বলেছিলেন, দেখবেন। সেই জায়গা থেকে আমি মনোনয়ন ফরম কিনি। কিন্তু আমাকে যে এত বড় আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে এটা স্বপ্নেও ভাবিনি।

প্রশ্ন: নির্বাচিত হতে পারলে আপনার লক্ষ্য কী হবে? 

ফেরদৌস আহমেদ: প্রধানমন্ত্রীর ভিশনই আমাদের ভিশন। তাঁর দিকনির্দেশনায় কাজ করতে চাই। আমারও কিছু পরিকল্পনা আছে। সেগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

প্রশ্ন: সেগুলো নিয়ে যদি কিছু বলেন? 

ফেরদৌস আহমেদ: এলাকার রুটিন কাজের বাইরে আমি শিক্ষা নিয়ে কাজ করতে চাই। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ দেশের শিক্ষা আরও কীভাবে এগিয়ে যেতে পারে, সেসব বিষয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে। 

প্রশ্ন: এত দীর্ঘ অভিনয়জীবনের বড় প্রাপ্তি কী? 

ফেরদৌস আহমেদ: মানুষের ভালোবাসা। অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। দেশে, বিদেশে। মানুষ আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। সিনেমার শিল্পী হিসেবে এটা পেয়েছি।

প্রশ্ন: চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নে কোনো পরিকল্পনা আছে? 

ফেরদৌস আহমেদ: আমি সব সময়ই বলে এসেছি, আমি আগে নায়ক ফেরদৌস। এরপর অন্য পরিচয়। চলচ্চিত্র পরিবারই আমার সবচেয়ে আপন। যত মানুষ আমাকে চেনে, চলচ্চিত্রের জন্যই চেনে। তাই চলচ্চিত্রের জন্য যখন যে কাজে আমাকে প্রয়োজন হবে, আমি পাশে আছি, পাশে থাকব।

প্রশ্ন: চলচ্চিত্র নিয়ে আপনার পরিকল্পনাগুলো বলুন?

ফেরদৌস আহমেদ: চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের সব সময় যোগাযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে তাঁর আগ্রহ আমাদের চেয়েও বেশি। তাঁর কাছ থেকে আমরা কখনো খালি হাতে ফিরিনি। তাই আশা রাখি চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নে আমার যেকোনো ভূমিকায় তাঁকে পাশে পাব। একজন চলচ্চিত্রকর্মী হিসেবে বাংলা সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে আরও উচ্চস্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব। 

প্রশ্ন: আপনার বাবার জন্মভিটা কুমিল্লায়, সেখানকার মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ বা পরিকল্পনা আছে? 

ফেরদৌস আহমেদ: অবশ্যই আছে। গত মে মাসে বাবার প্রতিষ্ঠিত স্কুলে গিয়েছিলাম। সবার ইচ্ছাতে বিদ্যালয়টির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছি। এলাকার উন্নয়নের জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আপডেট করা খুব প্রয়োজন। এ জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। আমি মাঝে মাঝে সেখানে যাব, এলাকা এবং স্কুলের স্বার্থে সব সময় পাশে আছি, থাকব।

শেয়ার করুন