০৬ মে ২০১২, সোমবার, ০৪:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন


সংসদ সদস্যের লড়াইয়ে ২৭ দলের ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থী
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১২-২০২৩
সংসদ সদস্যের লড়াইয়ে ২৭ দলের ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থী


সবকিছু ঠিকঠাক চলতে থাকলে এবারের জাতীয় নির্বাচন (দ্বাদশ) সেই পূর্বধারাতেই বহমান। ২০১৪ ও ২০১৮তে যেমনটা হয়েছে, সেই ধারাতে ২০২৪-ও। বিএনপি ও সমমনাদের ভোট বর্জনে এমন মওকা তৈরি। অবশ্য বিএনপি আর ভোট বর্জন কীভাবে করবে, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই দণ্ডিত ও কারাগারে। ভোটে যাবেন কি যাবেন না সে সুযোগটাও নিতে পারেনি তারা। ইসি সংলাপ করেছে সব দলের সঙ্গে। সেখানে অনেকেই গিয়েছেন, অনেকে যাননি। বিএনপির সেই চিঠি এখনো খুলেও পড়তে পারেনি। কারণ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেটে চেয়ারের ওপর পড়ে থাকা চিঠি পড়ে থাকার মধ্যেই ইসির পর্ব শেষ! তবে ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত পূর্ব ধারাই বহাল। যারা নির্বাচন আগেও করেছেন, এবারও তারা। বিশেষ করে জাতীয় পার্টি আগের মতোই কিছু নিশ্চিত আসন বাগিয়ে নিতে বিভিন্ন লাইন লেন্থ ধরে এগিয়ে শেষ পর্যন্ত সক্ষম হয়েছে। ফলে বিএনপিসহ সমমনারা এবারও ভোট বর্জনে। 

এবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলে সিট সমঝোতায় ছাড় দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। এতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও জোটগত হিসাব-নিকাশ এবং বাছাই ও আপিল উৎরাতে না পেরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ছিটকে পড়েছেন ৩৫ প্রার্থী। সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে দুটি বাদ রেখে এবার ২৯৮ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তাদের মধ্যে পাঁচজন বাদ পড়েছেন নির্বাচন কমিশনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং আপিলে আর বাকি ৩০ জন বাদ পড়েছেন জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের সঙ্গে সমঝোতার কারণে।

এই ৩৫ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার বা বাতিল হওয়ায় ২৬৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকছে। ১৪ দলের শরিকরাও আওয়ামী লীগের প্রতীক গ্রহণ করায় মোট ২৬৯ আসনে থাকছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। গত ১৭ ডিসেম্বর রোববার একইভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে এসে ভোট থেকে সেসব আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্ররা মিলে মোট ৩৪৭ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলে ভোটের লড়াইয়ে প্রার্থী থেকে গেলেন ১৮৯৬ জন। 

মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম সর্বমোট মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও বৈধ প্রার্থী থাকার তথ্য দেন। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, এবারের ভোটে জমা পড়া মোট ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাইয়ে বাদ যায় ৭৩১টি। এরপর শুনানিতে ৫৬০টি আপিল থেকে মঞ্জুর হয় ২৮৬টি এবং না মঞ্জুর হয় ২৭৪টি। স্থগিত রয়েছে ৫টি। নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার ২৭টি দলের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

এদিকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর এমন নির্বাচনে এখন প্রতীক বরাদ্দের ইস্যু। এরপর শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা। ইতিমধ্যে ইসির চাহিদা অনুসারে ভোটের আগ ও পরে নিরাপত্তা বলয় ঠিক রাখতে সেনাবাহিনী মাঠে থাকার বিষয়টি রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেছেন। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুসারে ২০২৪ সনের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন।

শেয়ার করুন