দুঃখ তোমার
বসনের গহনা,
কান্না তোমার কানের দুল।
বেদনা ভরা সাগর চোখে বইছে যে অশ্রু,
হয়েছে তাই-
ছোট্ট হীরে নাকের ফুল।
মিষ্টি তোমার সহজ হৃদয়
ছুঁয়েছে কখন পাখির লক।
ভালোবেসে মন হারিয়েছো-
নাকে পরেছো
প্রতিশ্রুতির সোনার নোলক!
ঝড়-বৃষ্টি বিরহ বাতাসে
ঘর বেঁধেছো কচুর পাতায়।
আছড়ে পড়ে সারাণই-
নেই যে কোনো শক্ত খুঁটি
আপন করে হাতটি ধরার।
হঠাত কখন কি যে হলো
অচিন পাখি তোমায় ভুলে
কাঞ্চনজঙ্ঘা, হিমালয়ে রওনা দিলো!
লাজুক তুমি লজ্জাবতী
ফুলের মতো বোবা হয়ে-
আরো বেশি গুটিয়ে নিলে।
সাত সমুদ্রে মুক্তো ফেলে
কোথায় তুমি ছুটে গেলে,
সর্বসুখ বিসর্জন দিয়ে- বল
সেথায় কিবা পেলে?
স্বর্ণসুখ সয় না সবার
সোনার গহনায় বেনারসী।
তোমার চোখে অশ্রুর ফুল,
শুভ্র তোমার সুশ্রী পায়ে
ফোঁটা ফোঁটা রক্তের
গোলাপ কাঁটার ঘুঙুর!