২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:৫৯:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


দেশকে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম
তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১২-২০২৩
তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি বা আসেনি তাদের ব্যাপারে বলব তারাতো সম্পূর্ণভাবে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এই প্রভাব তাদের দলের ওপরই পড়বে। পড়ছেও।

আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। 

দেশ : কেমন দেখছেন নির্বাচনের আয়োজন। প্রচার প্রচারণা কি শুরু করেছেন? সব মিলিয়ে কেমন লাগছে.পরিবেশ পরিস্থিতি। 

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম : প্রচার প্রচারণাতো শুরুই করতেই তো পারছি না। আচরণ বিধিতো মানতে হচ্ছে। আমরা মেনে চলবো। একচ্যুয়েল প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে ১৮ তারিখ থকে। ১৭ তারিখ আমাদের প্রতীক দিবে নির্বাচন কমিশন। ১৮তারিখ থেকেই আমরা প্রচার-প্রচারণায় ছড়িয়ে পড়বো। ঢাকা-৮ আসনের সকল থানা, ওয়ার্ডে ইতোমধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। মানুষের ভিতরে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উৎসাহ-উদ্দীপনা ব্যাপক। মনে হচ্ছে, এই বুঝি আচরণ বিধি এ-ই ভেঙ্গে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা আপ্রাণভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি আচরণ বিধি রক্ষা করে প্রচার-প্রচারণার। কিন্তু আমাদের প্রতি জনস্রোত, সমর্থনের জোয়ার উচ্ছ্বাস মনে হচ্ছে এই বুঝি আচরণবিধি লংঘন হয়ে যায়। মসজিদে নামাজ পড়তে গেলেও সেখানেও জনস্রোত, মন্দিরে গেলেও সেখানে জনস্রোত। আমরাতো অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করি। বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ে যেমন বের হয়েছি। মানুষের কাছে দোওয়া চাইছি। এখনোও তো ভোট চাইতে পারি না। চাইতে পারি সবার দোয়া। বায়তুল মোকাররম মসজিদের নামাজ পড়ে মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিনসহ মুসল্লি ভাইদের কাছে দোওয়া চাইলাম।

দেশ : আপনি কি মনে করে এই নির্বাচনে যারা অংশ নেয়নি তাদের কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে এই নির্বাচনে?

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম : যারা এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি বা আসেনি তাদের ব্যাপারে বলব তারাতো সম্পূর্ণভাবে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এই প্রভাব তাদের দলের ওপরই পড়বে। পড়ছেও। তারা যে অগ্নি সন্ত্রাস করছে। গান পাউডার দিয়ে অগ্নি সন্ত্রাস করে যাচ্ছে। হামলা করে গাড়ি জ্বালাও পোড়াও করে। এসব ঘটনার কারণে জনগণের অন্তরের ভেতরে বাইরে বিক্ষুব্ধ অবস্থা বিরাজ করছে। এই কারণে নির্বাচন বর্জনকারিদের অবস্থাতো এখন করুন। এসব কারণে জনগণের হৃদয় থেকে তারা সরে যাবে। এমনিতে তো তাদের অতীতের সন্ত্রাসী কাজের জন্য জনগণ ঘৃণা করছে। জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাস, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, দুর্নীতের চ্যাম্পিয়ন- তাদের তো অপকর্মের শেষ নেই। তারা তো বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির হোতা। তারা এমন কি তারা জঙ্গী গোষ্ঠির পৃষ্টপোষকতাও করেছে। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই,জেএমবি, পাঁচশত জায়গায় সিরিজ বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা করে সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য করা হয়েছিলো। তাকে হত্যা করাইতো প্রাইম টার্গেট ছিলো। এসব কারণে তাদেরতো জনগণতো চিনে রেখেছে। এদের মধ্যেতো শান্তির ভাষা নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। এখনো গুজব অপপ্রচার তথ্য সন্ত্রাস করে যাচ্ছে। যারা অগ্নিসন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারা কি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিশ্বাস করে? অথচ এই বাংলাদেশে অসাম্প্রদাযিক রাজনীতি, উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে। বাংলাদেশের নির্বাচন তো বন্ধ হচ্ছে না। তাদের অবরোধও হচ্ছে না। বরং তাদের হরতাল-অবরোধে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম হয়। যানজট হয়। 

দেশ : কিন্তু মাঠে আন্দোরনরত রাজনৈতিক দলগুলি বলে যাচ্ছে দেশে আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করে যাচ্ছে। এব্যাপারটি কিভাবে দেখেন?

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম : এখানে নির্বাচন তো স্বাভাবিকভাবেই হচ্ছে। বহু দেশে নির্বাচনেই অংশ গ্রহণই করতে দেয় না। যেমন উত্তর আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা-এমনচি কম্বোডিয়ার মতো দেশেও নির্বাচনে কাউকে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয় না। সেখানে কিন্তু জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না- সেভাবেই রেজ্যুলেশন পাশ করা হয়। আইন করে বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে তো সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানেতো বিএনপি’র ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই যে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তারা চাইলেইতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। বাংলাদেশে এখন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। সরকার এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। এদেশের মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে পারবে, যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। তাই এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার দায় দায়িত্বতো তাদের। তাদরেকে নির্বাচনে আনার দায় দায়িত্ব তো আমাদের না। কাউকে ধরে বেধে পিটিয়েতো নির্বাচনে নিয়ে আনা যাবে না। কি বলেন? যাবে?

দেশ : এখন এই নির্বাচনে আপনি আপনার ব্যাপারে কিছু বলুন-আপনি কি আশাবাদী?

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম : ইনশাআল্লাহ আমরা জনগণকে ভালোবাসি, জনগণের দল করি, বাংলাদেশকে ভালোবাসি। দেশের কাজ করতে চাই। এটা আমাদের ঐতিহ্য। ব্যক্তিগতভাবেও আমি এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। মানুষের শ্রদ্ধা ভালোবাসার মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

শেয়ার করুন