২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৫:১৭:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


অসময়ে অবান্তর কথা বিসিবি সভাপতির
খন্দকার সালেক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৩-২০২৩
অসময়ে অবান্তর কথা বিসিবি সভাপতির মাহমুদুল্লাহ, মুশফিক, মাশরাফি, তামিম ও সাকিব


বাংলাদেশে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সফর অত্যাসন্ন। ওডিআই বলুন আর টি২০ বলুন তুখোড় দল এখন ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ নিজের মাটিতে ওডিআই ফরম্যাটে যে কোনো দলকে হারাতে সক্ষম, কিছু নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় দলে আসায় টি২০ ফরম্যাটেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু দলের এমন এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে খোদ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবির সভাপতি এই সময় কেন শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে অবান্তর কথা বলছেন? কথা বা মন্তব্য তিনি করতেই পারেন। তার সময়-ক্ষণ রয়েছে। তাই বলে এমনি মুহূর্তে যখন ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রাক্কালে। তা-ও আবার দলের অপরিহার্য ক্রিকেটারদের প্রসঙ্গে? 

ওডিআই দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সেরা ওপেনার, টি২০ এবং টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা চৌকস ক্রিকেটার। ওদের মাঝে ক্রিকেট রসায়ন কেমন, সেটি নিয়ে কেন বলবেন বিসিবি সভাপতি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্দর মহলের  কথা বাইরে প্রচার নিতান্তই বালখিল্যতা।  তাছাড়া যেভাবেই বলুক না কেন যেই না ওনার (বিসিবি সভাপতির) বলা-অমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ধুম পড়ে গেছে সমালোচনা-আলোচনার। বিসিবি সভাপতির কথার জবাব দিয়েছে তামিম, সাকিব।  বিষয়টি উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। তামিম সাকিবের দ্বন্দ্ব নাকি দলের ভারসাম্য বিঘ্ন ঘটায়, নাকি দলে বিভক্তি সৃষ্টি করে। আসলে কী এমন একটা বিষয় খুবই পুরোনো মুখরোচক গল্পের ন্যায়। কিন্তু ১০-১৫ ধরে এই কথা এমনভাবে প্রচার হয়নি। দলনায়ক কোনো কোনো খেলোয়াড়কে দলে চাইতেই পারেন। ইমরান খান, মাহেন্দ্র সিংহ ধোনি বা বিরাট কোহলির ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম ছিল না। তেমনি দেশের প্রেক্ষাপটে এরপর হাতুরাসিংহের মতো কোচ দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর তাইজুলকে চেয়ে তামিম মহাভারত অশুদ্ধ করেননি। কারণ ইতিমধ্যে দলে যোগ দিয়ে হাতুরাসিংহে বলে দিয়েছেন তিনি হোম অ্যাডভান্টেজটা নিতে চান। তার কথার গূঢ় রহস্য না বোঝলে আর ক্রিকেট নিয়ে কীসের আলোচনা। তাছাড়া দলের ম্যানেজার হিসেবে সাব্বির খান কেন পদত্যাগ করেছেন বা কেন নাফিস ইকবালকে ম্যানেজার করা হয়েছে এগুলো আলোচনার বিষয় হতে পারে না। কেঁচো খুঁড়লে সাপ বেরিয়ে পড়বে। 

শুনছি মুশফিক, মাহমুদুল্লাহকে নিয়েও কথা হচ্ছে। এগুলো শুভ লক্ষণ নয়। বিশেষ করে বিসিবি সভাপতির অতি কথন সব সময় বিতর্কের সৃষ্টি করে। 

বেশ কিছুদিন পর হেড কোচ হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে শ্রীলঙ্কান চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহকে। হাতুরা বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেকটা ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের মতো। গেল বার অধিকাংশ সময় ছুটিতে কাটাতেন, সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক ছিল। দলে যদি বিভক্তি কিছু থেকেই থাকে, সেটি হাতুরার বিগত সময়েই সৃষ্টি হয়েছিল। পঞ্চপাণ্ডবের কয়েক জনকে হাতুরার কারণেই চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। মাশরাফি নাটকীয়ভাবে টি২০ থেকে অবসর নিয়েছিল। কোচ হিসেবে হাতুরার জবাবদিহি ছিল না। সেই হাতুরাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে অনেকটা বোর্ড সভাপতির কারণেই। হয়তো সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। সেটি নিয়ে কেন বারবার মিডিয়ায় কথা বলছেন বোর্ড সভাপতি?  

মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, তামিম, মাহমুদুল্লার অসামান্য অবদানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যা কিছু অর্জন। মাশরাফি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে না। তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লার অবসর এখন সময়ের অপেক্ষায়। একমাত্র সাকিব সক্রিয় সব ফরম্যাটে। ওদের নিয়ে বিতর্ক ছড়ানো অনাকাক্সিক্ষত। আশা করি বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্বার্থে বিসিবি সভাপতি সংযত হবেন। ২০২৩ বাংলাদেশ অনেক ব্যস্ত সময় কাটাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। নিজেদের সেরাটি দিয়ে খেলতে হবে। এমনি মুহূর্তে দায়িত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা মানুষের বাগাড়ম্বর অনাকাঙ্ক্ষিত।

শেয়ার করুন