০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৬:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন


ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে ডিন্যাশনালাইজ করা হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৮-২০২৩
ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে ডিন্যাশনালাইজ করা হয়েছে সিআর দত্ত বীর উত্তম


মেজর জেনারেল (অব.) চিত্তরঞ্জন দত্ত বীর উত্তমের স্মরণসভায় নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে ডিন্যাশনালাইজ করা হয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) চিত্তরঞ্জন দত্ত বীর উত্তমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় এই অভিযোগ করা  হয়। স্মরণসভায় বলা হয়, বাংলাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, তথা অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অন্যতম সূচনাকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) চিত্তরঞ্জন দত্ত বীর উত্তম।

রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্প্রতি এ স্মরণসভার আয়োজন করে। ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব, বিশিষ্ট সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংবাদিক স্বপন সাহা, মঞ্জু ধর, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার। সভা সঞ্চালনা করেন ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ।

অ্যাডভোজেট রাণা দাশগুপ্ত সি আর দত্তের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা যে অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, সেই বাংলাদেশ আমরা ধরে রাখতে পারিনি। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পরে সেই বাংলাদেশের যাত্রা অব্যাহত রাখতে পারিনি। বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানের মতো সাম্প্রদায়িক হয়ে গেছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে ডিন্যাশনালাইজ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ করে অর্জন করা বাংলাদেশে আমাদেরকে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ করতে হচ্ছে, এটা রাষ্ট্র এবং সব রাজনৈতিক দলের জন্য লজ্জার।

হারুন হাবীব প্রয়াত সি আর দত্তকে একজন দেশপ্রেমিক ও খাঁটি বাঙালি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমরা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছি। সেই স্বাধীনতার চেতনাকে পুনরায় জাগ্রত করতে হবে। আজ স্বাধীনতার চেতনাকে পুনরায় হত্যা করতে অপশক্তি সক্রিয় আছে। এদেরকে রুখে দাঁড়াতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

স্মরণসভার শুরুতে প্রয়াত চিত্তরঞ্জন দত্তের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। এরপর তেজগাঁও চার্চ কয়ারের শিল্পীবৃন্দ দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করেন। কবিতা আবৃত্তি করেন ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য জয়ন্তী রায়। স্মরণসভায় চিত্তরঞ্জন দত্তের জীবনী পাঠ করেন ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংবাদিক বাসুদেব ধর।

শেয়ার করুন