২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ৬:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


সাদেক আলী ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা
দেশ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০২-২০২৪
সাদেক আলী ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা মেধাবৃত্তির অর্থ প্রদান


সাদেক আলী ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি প্রদান ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হলো গত ১১ ফেব্রুয়ারি শেরপুর সদরের চরজংগলদী রাহেতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাদেক আলী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, নিউইয়র্ক প্রবাসী লেখক-সাংবাদিক মো. আবুল কাশেম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেন। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ভীমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন সাদেক আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল করিম, ফাউন্ডেশনের অর্থ পরিচালক ফেরদৌসী বেগম, প্রকৗশলী আবদুল্লাহ-আল-মামুন, স্কুল পরিচালনা পরিষদের সাবেক সদস্য মুক্তার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আমজাদ হোসাইন। ছোট্ট ছেলে জুনাইদ আহমেদের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার আমজাদ হোসাইন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য মুক্তার হোসেন, সোহাগ মিয়া, স্কুলের মৌলভী শিক্ষক আবদুল জলিল, এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. শিমুল মিয়া ও দশম শ্রেণির ছাত্রী রমিলা খাতুন প্রমুখ।

প্রধান অতিথি সাদেক আলী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, সাংবাদিক আবুল কাশেম তার বক্তব্যে বলেন, তার বাবা সাদেক আলী উচ্চ শিক্ষিত মানুষ ছিলেন না, তবে তিনি ছিলেন স্বশিক্ষিত এবং তিনি একজন বিদ্যোৎসাহী, সমাজহিতৈষী, পরোপকারী সংস্কৃতিমনা ও অসম্প্রদায়িক সাদা মনের মানুষ ছিলেন। তিনি এতদাঞ্চলের প্রথিতযশা একজন পুঁথিপাঠক, অমর কথাসাহিত্যিক মীর মোশাররফ হোসেনের ‘বিষাদসিন্ধু’র পাঠক ছিলেন। তিনি সব সময় সমাজের হতদরিদ্র মানুষে ছেলেমেয়েদের শিক্ষা নিয়ে ভাবতেন। তার দূরদর্শী ভাবনাচিন্তাকে সমাজে স্থায়ীভাবে প্রতিফলিত করার জন্যই আমি এই ফাউন্ডেশন গঠন করেছি। এই ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক ও সেবামূলক ফাউন্ডেশন।

তিনি প্রতি বছর মেধা প্রতিযোগিতায় প্রথমস্থান লাভ করে ছাত্রছাত্রীদের সাদেক আলী ফাউন্ডেশনের বৃত্তি লাভের আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথি কামাল হোসেন সাদেক আলী ফাউন্ডেশনের ভূয়সী প্রশংসা করে সাদেক আলী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রবাসী সাংবাদিক আবুল কাশেমকে সাধুবাদ জানান। কারণ প্রবাসের কষ্টার্জিত অর্থ মানবসেবা-শিক্ষাবৃত্তি ফাউন্ডেশন পরিচালনা করার মানুষ আমাদের সমাজে বড় অভাব। তিনি বলেন, প্রবাসে এবং আমাদের সমাজে অনেক বিত্তবান মানুষ রয়েছে। কিন্তু তাদের উদার মানসিকতা নেই। সাংবাদিক আবুল কাশেম তার নিজ এলাকা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মেধা বিকাশের প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য যে, ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন তা নিঃসন্দেহ প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার ওপর পড়াশোনায় ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির প্রধান ও ভীমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল উদ্দীন মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, সাদেক আলী ফাউন্ডেশন আমাদের স্কুলের অন্যতম সম্পদে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর সাদেক আলী ফাউন্ডেশনের বৃত্তির টাকা পাওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পড়াশোনার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। তার প্রমাণ মরিয়ম আক্তার ও ফাতেমা আক্তার। ফলাফল সিটে দেখা যায়, তারা প্রতি বছরই ক্লাসের সমাপনী পরীক্ষায় মেধাতালিকার শীর্ষে রয়েছে। প্রবাসী সাংবাদিক আবুল কাশেম যে উদ্দেশ্য নিয়ে সাদেক আলী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি তার শতভাগ সফল হয়েছেন। কারণ আমাদের স্কুলে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছেলেমেয়ের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি পরস্পর প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এ ধরনের মহতী কাজ করার জন্য সাংবাদিক আবুল কাশেমকে ধন্যবাদ জানান এবং সেই সঙ্গে তিনি এ ধরনের শিক্ষা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজের বিত্তবান প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ২০১৬ সালে সাদেক আলী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। অগ্রণী বাংকে ১ লাখ টাকার এফডিআর থেকে প্রতি বছর লভ্যাংশ ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম স্থান অধিকারীকে এককালীন বৃত্তি প্রদান করে আসছেন। এবার ১৫ জন ছাত্রছাত্রীকে ৮ হাজার টাকা মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা হলেনÑমো. সোলাইমান, মরিয়ম আক্তার, লিজা আক্তার, ফাতেমা আক্তার, রিফাত মিয়া, ফাতেমা আকতার, সাদিয়া আক্তার, জেসমিন আকতার ও জাহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে এলাকা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মরহুম সাদেক আলী ও তার মরহুমা স্ত্রী বেগম চানবানুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং এসএসসির বিদায়ী পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন শামীম হোসেন।

শেয়ার করুন