যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গা গরমের ম্যাচে বিধ্বস্ত হওয়ার পর মন মানসিকতাতেও ধ্বস নামে শান্ত সাকিবদের। কিন্তু চেনা প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আসল লড়াই হাসিমুখেই শুরু করেছে তারা। লো’স্কোরিং ও রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে শুভ সুচনা বাংলাদেশের। শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, গ্রুপে শক্তিশালী শ্রীলঙ্কাকে হারানোর ফলে সুপার এইটে ওঠার স্বপ্নও উজ্জল হলো।
কেননা বাংলাদেশ গ্রুপের যে তিনটি দল শক্তিশালী তার মধ্যে দক্ষিন আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। গ্রুপ ‘ডি’ তে বাকী দুই দল নেদারল্যান্ড ও নেপাল। ফলে শ্রীলঙ্কাকে হারানো মানেই সুপার এইটের লড়াই বাংলাদেশ এখন ফ্রন্টলাইনে। দক্ষিন আফ্রিকার সঙ্গে হারলেও তুলনামুলক দুর্বল নেদারল্যান্ড ও নেপালের বিরুদ্ধে জয়ের অর্থ সুপার এইট নিশ্চিতের সমীকরন বাংলাদেশের।
শান্ত মাহমুদুল্লাহ সাকিবদের মুখে স্বস্থির হাসি এ কারনেই।
এ ম্যাচে প্রথম ব্যাটিং করতে নামা শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ,রিয়াসাত, তাসকিনদের বোলিংয়ের সামনে দাড়াতেই পারেনি লঙ্কানরা। এতেই ওই সাদামাটা স্কোর। সর্বোচ্চ রান পাথুম নিশানকার ৪৭। এরপর ২১ রান ধনাঞ্চায়ার। মুস্তাফিজ,রিয়াসাত নেন তিনটি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন তাসকিন।
এরপর ১২৫ রানের সাদামাটা টার্গেটে খেলতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনও সুবিধা করতে পারেনি। দুই ওপেনার তানজিদ ও সৌম্য সুচনাতেই ব্যার্থ। দীর্ঘদিন অফফর্মে থাকা সৌম্য যথারীতি আউট শুন্য রানে। তবে লিটন দাস আস্থা রেখে করেছেন ৩৬ রান। এরপর তৌহিদ রিদয়ের ৪০ ও প্রমাণিত ফিনিশার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দ্বায়িত্বপূর্ণ অপরাজিত ১৬ রানের উপর ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌছায় বাংলাদেশ এক ওভার বা ৬ বল হাতে রেখে। শ্রীলঙ্কার নুয়ান তুষারা নেন চার উইকেট।