২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১১:৫৯:০৯ পূর্বাহ্ন


জ্যামাইকায় মান্নান-জুয়েল প্যানেলের নির্বাচনী সভা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১০-২০২৩
জ্যামাইকায় মান্নান-জুয়েল প্যানেলের নির্বাচনী সভা সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মান্নান ও সেক্রেটারি প্রার্থী জহির উদ্দীন জুয়েল


জ্যামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে বিয়ানীবাজার সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মান্নান-জুয়েল প্যানেলের নির্বাচনী ও প্যানেল পরিচিতি সভা গত ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট আতাউর রহমান মাস্টার এবং সভা পরিচালনা করেন মান্নান-জুয়েল প্যানেলের সদস্য সচিব ইফজাল আহমদ। সভার আরম্ভ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মান্নান-জুয়েল প্যানেলের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম।

সভায় নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী এবং বর্তমান সভাপতি আব্দুল মান্নান তার বক্তব্যে ফিউনারেল, কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন। সে সঙ্গে  এদেশে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের খেলার আয়োজন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আব্দুল মান্নান বলেন বিয়ানীবাজার সমিতির দুটি দল ছিল লাল ও সবুজ দল। এ দুটি দল দীর্ঘদিন ধরে খেলার মাঠে অনুপস্থিত। তার প্যানেল নির্বাচিত হলে এ দুটি দল পুনরুজ্জীবিত করে সমিতির ঐতিহ্যের সঙ্গে আরেকটি মুছে যাওয়া ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করবেন। আব্দুল মান্নান বলেন, এ দেশে নতুন আসা ইমিগ্র্যান্টদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার পরামর্শে হেলপ ডেস্কের ব্যবস্থা করা হবে। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আব্দুল মান্নান তার বক্তব্যে বিয়ানীবাজার সমিতির ভবনকে সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে তার উদ্যোগের কথা  উল্লেখ করে বলেন, ইতিমধ্যেই পূর্বে সমিতির নামে ট্যাক্স রিটার্ন হয়নি। ইতিমধ্যেই ঘরের ট্যাক্স ফাইল করা হয়েছে। ৫০১ সি সাবমিট হয়েছে। ফাইল অ্যাপ্রুভ হলে সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশন হবে। মান্নান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তার কার্যকালের পূর্বে বিয়ানীবাজারের একজন ব্যক্তি সমিতির ভবনে ভাড়া দিয়ে থাকতেন। হঠাৎ করে সেই ভাড়াটিয়ার ওপর অপ্রত্যাশিত ভাড়া চাপিয়ে দেওয়া হলে সেই ভাড়াটিয়া বেশি ভাড়া দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাকে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়। অবশেষে তৎকালীন কর্মকর্তারা সমিতির ঘরের মালিকের স্বাক্ষর জাল করে কোর্টে  মামলা করেন। স্বাক্ষর জালিয়াতি ধরা পড়ায় মামলা থেকে সরে আসেন। ভাড়াটিয়া ছয় মাস ভাড়া পরিশোধ না করে চলে যান। সামাজিকভাবে সমাধান গ্রহণ না করে কোর্টের মাধ্যমে বের করে দেওয়া হয়। এই ভাড়াটিয়ার সঙ্গে  কি হয়েছিল এবং মামলায় সমিতির আর্থিক খরচের বিস্তারিত জানার জন্য বিগত সাধারণ সভায় একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। আগামী সাধারণ সভায় তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

সভায় সেক্রেটারি প্রার্থী জহির উদ্দীন জুয়েল উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নিউইয়র্কের ৫ বরোতে ২০-৩০ হাজার লোকজন রয়েছেন। অথচ ফিউনারেল হোম নেই। সে সঙ্গে কমিউনিটি সেন্টারও নেই। মান্নান-জুয়েল প্যানেল নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সবাইকে নিয়ে ফিউনারেল ও কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়াও এখানে আরবি শিক্ষা ও টিউটোরিয়াল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। মান্নান-জুয়েল প্যানেল আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে আরবি ও টিউটোরিয়াল শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি ব্যবস্থা করবে। সেক্রেটারি প্রার্থী জুয়েল আমেরিকায় বসবাসরত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুণী ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয় সমিতির ওয়েবসাইটে ও বিলবোর্ডে প্রকাশ করার কথা বলেন। যাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম গুণী এবং কৃতী লোকজনদের জানতে পারে এবং পরিচিত হতে পারে। মান্নান-জুয়েল প্যানেল নতুন ও পুরোনোদের সমন্বয়ে গঠিত। তাদের প্যানেলকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়। মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন নিজাম উদ্দীন, নুরুল কবির খান, লুৎফর রহমান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্মসচিব গৌছ উদ্দীন খান, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ময়নুল হোসেন, নুরুল ইসলাম রুহেল ও আতিকুল হক আহাদ।   

শেয়ার করুন