প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে স্বতন্ত্র সভাপতি পদপ্রার্থী মাসুদুল হক ছানুর নির্বাচনী সভা গত ২৯ মে ওজন পার্কের মামা’স রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক। মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন মাসুদুল হক সানু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মুহিদুল ইসলাম চৌধুরী লোপা, যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান সাবু, শেকল কান্তি চন্দ্র, ওসমানী স্মৃতি পরিষদের একাংশের সভাপতি আব্দুল কাদির।
নির্বাচনী সভা পরিচালনা করেন জহিরুল ইসলাম। নির্বাচনী সভায় স্বতন্ত্র সভাপতি পদপ্রার্থী মাসুদুল হক ছানু বলেন, যে আদর্শ ও উদ্দেশ্য নিয়ে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন গঠন করা হয়েছিল। ঐক্য, সেবা, সততা, শিা, সংহতি সহযোগিতা, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব বোধ ও রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে একটি সংগঠন, যার নাম জালালাবাদ। তিনি বলেন, আমি প্রার্থী হয়েছি জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে। তিনি আরো বলেন, আমি জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। নির্বাচনী অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাদের সহযোগিতায় নির্বাচনে জয়ী হলে জালালাবাদের নিজস্ব ভবন প্রতিষ্ঠা করবো। ভোটার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করবো। সেই সাথে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদানসহ সকল কল্যাণমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করবো। এ ছাড়াও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনকে গতিশীল ও প্রবাসে অনুকরণীয় সংগঠন করার ল্েয কাজ করে যাবো। তিনি সকলকে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের স্বার্থে তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান সাবু বলেন, মাসুদুল হক ছানু সত ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি। যে কারণে তাকে সমর্থন করেছি। তিনি বলেন, গঠনতন্ত্রে রয়েছে প্রত্যেক প্রার্থী নির্বাচন করবে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। সে হিসাবে সবাই স্বতন্ত্রভাবে নমিনেশন সাবমিট করেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন প্যানেলভিত্তিক নির্বাচন করছেন। এ ছাড়াও তিনি জিপকোড নিয়ে অভিযোগ তোলেন।
প্রধান সমন্বয়ক মুহিদুল ইসলাম চৌধুরী লোপা বলেন, খোলা মাঠে একা কেউ গোল করতে পারবেন না। তিনি কবিতা দিয়ে প্রতিবাদী ভাষায় বলেন, বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান আর তোমাকে খেতে দিবো না ধান।
শেকল কান্তি দে বলেন, মাসুদুল হক সানু কর্মী থেকে নেতা হয়েছেন। নিঃসন্দেহ একজন সত লোক। বারবার একজন সভাপতি হয়ে আসবেন তা আমরা মানি না। তিনি মাসুদুল হক সানুকে ভোট প্রদানের আহ্বান জানান। আব্দুল কাদির বলেন, একজন বারে বারে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়ে আসবেন- এটা নিন্দনীয়। একজন প্রার্থী ২ বারের বেশি যাতে প্রার্থী না হতে পারে সেজন্য গঠনতন্ত্র সংশোধনের ওপর জোর দেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ সেবুল মিয়া, খলিলুর রহমান, সহ-সভাপতি পদে (সিলেট) পদপ্রার্থী শাহ মিজান, অহিদুর রহমান কয়েস, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাওছার আহমদ মারুফ, আলী আহসান বাবলা, বাহারুল ইসলাম শামীম, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আবুল ফজল লিটন। সভার প্রারম্ভে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মওলানা রফিক উদ্দীন।