৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৭:৫৪:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


জালালাবাদ এসোসিয়েশনের একুশ পালন
দেশ রিপোর্ট:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০২-২০২৩
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের একুশ পালন


নতুন প্রজন্মকে ভাষা জানার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি, ভাষা দিবসের ইতিহাস ঐতিহ্যকে তুলে ধরার প্রতি  গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সে সাথে  একুশের চেতনা সবাইকে  ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। ভাষা দিবস পালন উদযাপন উপলক্ষে জ্যামাইকার তাজমহল রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভায় বক্তারা কথা বলেন। এসোসিয়েশনের  সভাপতি বদরুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে সহ সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য বদরুন নাহার খান মিতা, এটর্নী মঈন চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিছবাহ মজিদ, জেড চৌধুরী জুয়েল, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলীমমৌলভীবাজার এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহান খান, লাখাই উপজেলার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ টিপু, প্রফেসর কামাল চৌধুরী, এসোসিয়েশনের সাবেক সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক শরিফুল হক মন্জু, লোক মান হোসেন খান, ওসমানী নগর এসোসিয়েশনের  সভাপতি বশির খান, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দীন, বিয়ানীবাজার সমিতির বর্তমান সেক্রেটারী নজমুল হক মাহবুব, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটির সাবেক সভাপতি সোহান আহমদ টূটুল, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের বর্তমান সহ সভাপতি শফি উদ্দীন তালুকদার। আলোচনা শেষে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক প্রদান করেন জালালাবাদ এসোসিয়শন, বিয়ানীবাজার সামাজিক সাংস্কৃতিক সমিতি, গোলাব শাহ সমাজ কল্যাণ সংস্থা, এস্টোরিয়া ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটি, খাসারী  পাড়া সোসাইটি ইউএসএ ইন্ক, শ্রীমঙ্গল এসোসিয়েশন অব আমেরিকা,লাখাই উপজেলা এসোসিয়েশন, নবীগঞ্জ ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি, ফেঞ্চুগঞ্জ অর্গানাইজেশন ইউএসএ, যুক্তরাষ্ট্র হবিগঞ্জ জেলা সমিতি, রামনগর সোসাইটি ইউএসএ, হবিগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতি, রাজনগর উপজেলা, ছাতক সমিতি  ইউএসএ, বৈরাগীবাজার এসোসিয়েশন, সুনামগঞ্জ জেলা সমিতি, রাজনগর উপজেলা উন্নয়ন সমিতি, ভাদেশ্বর সমিতী।

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেট

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটে গত ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩উদযাপন করা হয়। অমর একুশের এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানটিতে বাংলাদেশী-আমেরিকান নাগরিকবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, নতুন প্রজন্ম কমিউনিটি সদস্যসহ বিপুলসংখ্যক লোক উপস্থিত ছিলেন।

একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ০১ মিনিটে কনসাল জেনারেল . মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কন্স্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচানিকে নিয়ে কনুস্যলেটে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর শহিদ মিনারে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, বাণিজ্যিক কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ৫২ ভাষা শহিদদের স্মরণে মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

অনুষ্ঠানে মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। কনসাল জেনারেল . ইসলাম তাঁর বক্তব্যে ৫২ মহান ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার

লড়াইসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সকল সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে

বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক এক স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল এবং তিনিই প্রথম বারের মত জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগ প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে, যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে গৌরবান্বিত করেছে। তিনি

নিউইয়র্ক শহরে একটি স্থায়ী শহিদ মিনার স্থাপনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলা ভাষা সংস্কৃতি চর্চায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা, সাহিত্য সংস্কৃতিকে আরো সুন্দর সার্থকভাবে ফুটিয়ে তোলার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে ৫২ সকল ভাষা শহিদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, ৭১-এর সকল শহিদ, শহিদ বুদ্ধিজীবী এবং শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।

শেয়ার করুন