০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১০:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রী পরিবহনের প্রত্যাশা
পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক চললো ট্রেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৪-২০২৩
পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক চললো ট্রেন


পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে ট্রেনটি। এরপর প্রথম ষ্টেশন ছিল মালিগ্রাম। পদ্মা ব্রীজ সংলগ্ন মহাসড়কের পাশ ঘেষে চলে যাওয়া এ রেল লাইনের পাশেই ষ্টেশনগুলো। এভাবেই এক এক করে পদ্মাব্রীজে উঠে ব্রীজও পাড়ি দেয় ট্রেনটি। ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে চলা ট্রেন ১৬ মিনিটে পার হয় পদ্মা সেতু।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিন ভাগে ভাগ করে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে। দিন-রাত দুই শিফটেই চলছে কার্যক্রম। ভায়াডাক্টের ওপর পাথরবিহীন প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার রেল সেতু স্থাপন করা হয়েছে মূল সেতুতে।

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভায়াডাক্ট উড়াল রেল লাইন চার কিলোমিটার আর মাটির ওপর দিয়ে ২৮ কিলোমিটার। ভায়াডাক্টের চার কিলোমিটার রেল লাইন প্রস্তুত করা হয়েছে পাথরবিহীন। আর ২৮ কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়েছে পাথর দিয়ে।

জাজিরা প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত তিনটি স্টেশন রয়েছে। শিবচরে দুটি স্টেশন এবং ভাঙ্গায় জংশন রয়েছে। স্টেশনগুলোর ওপর দিয়ে ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ভাঙ্গা জংশনটি আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে পদ্মা সেতু হয়ে চার জেলা (মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল) অতিক্রম করে যশোরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।


ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটারের অংশে আগামী সেপ্টেম্বর যাত্রীবাহী রেল চলাচলের আশা করছেন প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, এরই মধ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথে লেভেল ক্রসিংবিহীন ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস ও ১৩টি রেল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের রেল স্টেশনসহ নতুন ১৪টি স্টেশন নির্মাণ ও পুরোনো ছয়টি স্টেশনের কাজ।


এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বিস্তৃতি হবে লাইন 

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী জানান, ‘ভাঙ্গা থেকে ঢাকার এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ট্রেন চালুর চেষ্টা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপও হয়েছে। তিনি সম্মতিও দিয়েছেন।’ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু অভিমুখে যাত্রা করা বিশেষ ট্রেনে বসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় ট্রেনে ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী এমপিসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকেরা। 


শেয়ার করুন