০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৪:৩৪:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়া প্রসঙ্গ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৪-২০২৪
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়া প্রসঙ্গ খালেদা জিয়া


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে প্রথমবার উঠেছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া প্রসঙ্গ। সেখানে উল্লেখ করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সরকার এবং শাসকদের দ্বারা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন সহজতর করতে সহায়তা করতে সক্ষম যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বাধা, মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘন, মত প্রকাশ ও রাজনৈতিক অধিকারে বাধা প্রদানের মতো ঘটনায় সরকারের জবাবদীহীতা নিশ্চিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব ডেমোক্রেসি, রাইটস অ্যান্ড লেবারের শীর্ষ কর্মকর্তা অ্যাম্বাসেডর রবার্ট গিলক্রিস্ট। গত ২২ এপ্রিল সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সারাবিশ্বের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট-২০২৩ প্রকাশ করে। এ উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ব্রিফিং হয়। সেখানে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন গিলক্রিস্ট। প্রকাশিত মানবাধিকার রিপোর্টের ওপর সূচনা বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের সঞ্চালনায় কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দেন গিলক্রিস্ট। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মুশফিক। তিনি জানতে চান- আপনার রিপোর্টে নির্বিচারে হত্যা, নির্যাতন এবং রাজনৈতিক কারাবাসসহ উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতার ক্ষেত্রে- যেমন আপনি উল্লেখ করেছেন, তার আটকাদেশ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরানোর একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত।

তাহলে আপনি কীভাবে নিশ্চিত করবেন যে এই রিপোর্টগুলো বাস্তব পরিবর্তনের দিকে পরিচালিত করে এবং ক্ষমতাসীন সরকারকে তাদের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিণতির মুখোমুখি করে?

জবাবে অ্যাম্বাসেডর গিলক্রিস্ট বলেন, আমি মনে করি যা ঘটবে তা নিশ্চিত করে বলা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। নিশ্চিতভাবেই মানবাধিকার রিপোর্টের সঙ্গে আমাদের প্রত্যাশা নির্দিষ্ট বিষয় এবং নির্দিষ্ট মানবাধিকার সংক্রান্ত উদ্বেগের উপর আলোকপাত করে, আমরা সরকার এবং শাসনব্যবস্থার দ্বারা একটি ইতিবাচক দিক পরিবর্তন করতে সহায়তা করতে সক্ষম হবো। বাইডেন প্রশাসনের এই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের মে মাসে ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছিল, নির্বাচনের আগে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন পদক্ষেপগুলোকে প্রতিরোধ করার জন্য। যা এখনো বিদ্যমান। এই মুহূর্তে ঘোষণা করার জন্য আমার কাছে নতুন কিছু নেই, কিন্তু আমাদের দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী, আমরা প্রায়শই নীতি বা ভিসা সংক্রান্ত পদক্ষেপের প্রিভিউ করি না। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করার প্রচেষ্টা নিয়ে আমরা অব্যাহতভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি- সংবাদমাধ্যম, সংবাদকর্মী, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতাসহ সকল প্রকার মৌলিক স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আমাদের উদ্বেগ এখনো ঠিক একই রকম।

মুশফিক তার কাছে আবার জানতে চান, ভারত নিয়ে আর একটি প্রশ্ন। আপনারা রিপোর্টে ভারতে খেয়ালখুশি মতো বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডসহ আইনবহির্ভূত হত্যাকান্ড, সংবাদ মাধ্যমের ওপর আক্রমণের কথা উল্লেখ করেছেন। আর বলেছেন, এক্ষেত্রে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সেইসব কর্মকর্তাকে শনাক্ত করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করায় ন্যূনতম পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ভারত যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্য একটি কৌশলগত অংশীদার, তাই এ বিষয়ে আপনারা সরকারের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন? 

মুশফিকের এ প্রশ্নের জবাবে গিলক্রিস্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত নিয়মিতভাবে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ইস্যুগুলো নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে। একই সঙ্গে দৃঢ়ভাবে ভারতকে উৎসাহিত করি এবং অনুরোধ করি মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা ও প্রতিশ্রুতিকে সমুন্নত রাখতে। আমরা নিয়মিতভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত শুনতে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। নাগরিক সমাজ, যেখানে বিভিন্ন বৈচিত্র্যের মানুষ আছেন, তাদের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ ও সাক্ষাতের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই আমরা।

শেয়ার করুন