০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:০৮:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


ডামি নির্বাচনেও প্রশাসনকে অঙ্গসংগঠনের মতো ব্যবহার
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১২-২০২৩
ডামি নির্বাচনেও প্রশাসনকে অঙ্গসংগঠনের মতো ব্যবহার গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা


গণতন্ত্র মঞ্চ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকার একটা ডামি নির্বাচন আয়োজন করতে পুলিশ, প্রশাসনকে দলীয় অঙ্গসংগঠনের মতো ব্যবহার করছ। পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন বাহিনীকে দিয়ে আওয়ামী লীগ এখন জনগণকে জোর করে ভোট কেন্দ্রে নিতে চায়।

গত ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহবান নিয়ে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠান হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম। সভা পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার। 

গণতন্ত্র মঞ্চের ধারাবাহিক প্রতিবাদী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মতিঝিল থেকে ধূপখোলা পর্যন্ত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচি ছিলো ২৬ ডিসেম্বর। সে অনুযায়ী গণসংযোগ পূর্ব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে মঞ্চের নেতৃবৃন্দ মিছিল শুরু করতে গেলে পুলিশ বলপূর্বক বাধা দেয় ও হামলা করে। এতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। এর পূর্বে সমাবেশ স্থলে আসার পথে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির মিছিলে কয়েক দফায় বাধা দেয় ও ব্যানার কেড়ে নেয়। 

নেতৃবৃন্দ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির মিছিলে পুলিশের হামলার নিন্দা জানান। এবং বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে ভোট কেন্দ্রে ভোটার আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে উৎসব করে ভোট দিতে যায়। চাপ সামাজিক নিরাপত্তারভোগীদের কার্ড জমা রেখে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে চাচ্ছে। তারা আরো বলেন, স্বৈরাচারের ঐতিহাসিক পরিণতির জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে লক্ষ কোটি টাকা লুট হয়েছে। রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর বাদ দিয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করুন। অর্থমন্ত্রীর দেখা নেই বাজেটের পর থেকে। সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় দেশ আরো বিপদে পড়বে। এর জন্য দায়ী থাকবেন বর্তমান সরকার।

নেতৃবৃন্দ স্পষ্ট করে বলেন, অবিলম্বে সংবাদ সংসদ ভেঙে দিন। সকল দলের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধানের ১২৩(৩)এর (খ) অনুযায়ী পরবর্তী ৯০ দিনের নির্বাচনের আয়োজন করুন। অন্যথায় দেশকে ভয়াবহ সংকট থেকে উদ্ধার করা যাবে না। 

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ প্রমুখ।

শেয়ার করুন