০৬ জুলাই ২০১২, শনিবার, ১১:১০:৩৭ পূর্বাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের দোয়া মাহফিলে বক্তারা
খালেদার মুক্তি ও সরকার পতনের আন্দোলন চলবে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৭-২০২৪
খালেদার মুক্তি ও সরকার পতনের আন্দোলন চলবে বক্তব্য রাখছেন ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমান


বিএনপির চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে যুক্তরাষ্ট্র জাসাস। গত ২৭ জুন সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের শেফ মহল রেস্টুরেন্টে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরোয়ার্দীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য চিত্রনায়ক হেলাল খান। প্রধান বক্তা ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়া, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এম এ বাতিন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির উপদেষ্টা দারাদ আহমেদ, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান সাঈদ, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কায়ছর আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ আলী মন্ডল, সালেহ আহমেদ মানিক, বিএনপি নেত্রী সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, গিয়াস উদ্দিন, স্টেট বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, কোকো স্মৃতি সংসদের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রাজু, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনি, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন, শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম।

বিশেষ দোয়া মাহফিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেলাল খান বলেন, বিএনপি মানেই বেগম খালেদা জিয়া, আর বেগম খালেদা জিয়া মানেই বাংলাদেশ। যে কারণে মিথ্যা মামলা এবং ফরমায়েশি আদেশে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা হয়েছে। তাকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে তার ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার জানে বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে সে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। যে কারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের আরেক নেতা এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে বিদেশে রাখা হয়েছে। তার নির্দেশেই ডামি নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসেনি। শেখ হাসিনা হচ্ছেন ৫ শতাংশ ভোটের প্রধানমন্ত্রী। তার পায়ের নিচে মাটি নেই। তিনি বলেন, গণতন্ত্র এবং দেশ রক্ষা, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আপনারা জানেন আমরা দেশে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। ডামি নির্বাচনের সময় বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়েছে। তারা ভোটকেন্দ্রে যায়নি। মাত্র ৫ শতাংশ লোক ভোটকেন্দ্রে গিয়েছে। তিনি বলেন, এখনো আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আজকে পর্যন্ত কোন স্বৈরাচার টিকে থাকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও পারবেন না।

মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমান সরকারের অনেকেই বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন, কিন্তু প্রতিহিংসার কারণে বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হচ্ছে না। সুতরাং এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

জসীম ভুইয়া বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক এবং বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এ দুইজনকে বাংলাদেশের ১৪ কোটি মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনেই এ স্বৈরাচারী সরকারের পতন হবে।

এম এ বাতিন বলেন, বিনা দোষী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বছরের পর বছর জেলে রাখা হয়েছে এবং সুচিকিৎসা দিচ্ছে না। তিনি বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে কোনো আবেদন করে লাভ নেই, প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। এ আন্দোলনের মাধ্যমেই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমান অনুষ্ঠান সফল এবং সার্থক করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন ছাড়া কোনোভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত এবং তারেক রহমানকে দেশে আনা সম্ভব হবে না। আর বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারলে দেশ রক্ষা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।

অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত এবং দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা নূর নবী।

শেয়ার করুন