মুনা সেন্টার অব জ্যাকসন হাইটস (মসজিদ নামিরাহ)-এর বার্ষিক ফান্ড রেইজিং ডিনার ও দোয়া মাহফিল গত ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় মসজিদ মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকার সাবেক ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমাম দেলোয়ার হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা ইন্ক নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের সভাপতি ডা. আতাউল গণী উসমানী, মুনা নিউইয়র্ক নর্থ জোনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তোয়াহা আমিন খান, বিশিষ্ট সাংবাদিক এমসি টিভির সিইও কাজী শামসুল হক।
আল্লাহর ঘর মসজিদ মুসলিম সমাজের মূলকেন্দ্র উল্লেখ করে বক্তাগণ বলেন, এ কারণে রাসুল (সা.) হিজরতের প্রথমদিনই মসজিদ নির্মাণের কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন। মসজিদ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণকারীদের আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ভীষণ পছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করে বক্তারা বলেন, ‘তারাই তো আল্লাহর মসজিদের আবাদ করবে, যারা ইমান আনে আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি, সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তারা হবে সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।
তারা আরো বলেন, মসজিদ নির্মাণ অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। আল্লাহর প্রিয় হওয়ার অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু শর্ত হলো, এতে কোনো রকমের অহমিকা, গৌরবের বিষয় অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। মসজিদ নির্মাণ করতে হবে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আমাদের উচিত একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় মসজিদ নির্মাণ করা। কারো সেই সামর্থ্য না থাকলে কমপক্ষে সহযোগিতা করবে। মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণে আত্মনিয়োগ করবে। মসজিদকে সর্বদা পরিচ্ছন্ন ও সুগন্ধিময় করে রাখার গুরুত্ব আরোপ করেন তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন বলেন, পৃথিবীতে একমাত্র জায়গা হচ্ছে আল্লাহর ঘর মসজিদ। যেখানে ২৪ ঘণ্টা কোরআন শরিফ পাঠ করা হয়, আর নামাজ পড়া হয় এবং দোয়া করা হয়। আর এই মসজিদ নির্মাণে আমাদের সহযোগিতা করা উচিত। কারণ যতদিন মসজিদ থাকবে ততদিন নামািজ পড়া হবে এবং দোয়া করা হবে। সেই দোয়ার অংশিধার হবেন আপনি। তিনি বলেন, আমাদের সম্পত্তি দিরয়েছেন আল্লাহ। আর আল্লাহর পথে এই সম্পত্তি ব্যয় করা না হলে এই সম্পত্তি থাকার কোনো অর্থ নেই। তিনি বলেন, পৃথিবীতে যত মসজিদ আছে, সেগুলো হচ্ছে জান্নাতের বাগান। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, করোনার সময় আমরা আল্লাহর কাছে নিশ্চয় ১০ তলা বিল্ডিং চাইনি, চেয়েছিলাম সুস্থতা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেন্টার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মমিনুল ইসলাম মজুমদার। পরিচলনা করেন সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক ও মুনা এলমহাষ্ট চ্যাপ্টারের সভাপতি সম্পাদক কায়কোবাদ কবীর। বক্তব্য রাখেন, সেন্টারের ইমাম ও খতিব মাওলানা অলিউর রহমান সিরাজী, অর্থ সম্পাদক ও মুনা জ্যাকসন হাইটস চ্যাপ্টারের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, মুনা এস্টোরিয়া চ্যাপ্টারের সভাপতি আব্দুস সবুর।
প্রায় ৩৫০ মুসল্লির (পুরুষ-মহিলা) উপস্থিতিতে শুরুতে অর্থসহ কোরআন তেলাওয়াত করেন হামিমুল ইসলাম হামিম। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, মাওলানা ফখরুল ইসলাম মাছুম, আব্দুল হাকিম মিয়া, প্রফেসর সোলায়মান, লোকমান হোসেন, আব্দুর রশিদ সানা, আব্দুর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, মিজানুর রহমান, কারি গোলাম মোস্তফা, নুরুল আমিন, ফেরদৌস আলমসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন আরাফাত রহমান।