৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:৩৫:০৯ পূর্বাহ্ন


সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
দেশ অনলাইন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৭-২০২৫
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ


সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় কিশোর আব্দুল কাইয়ূম আহাদ হত্যা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। 

 বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা পুলিশ বক্সের সামনে গুলিবিদ্ধ হন কিশোর আব্দুল কাইয়ূম আহাদ।


পরে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসান তার দুই পায়ে ব্রাশ ফায়ার করলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। এ ঘটনায় চলতি বছরের ৬ জুলাই নিহতের বাবা আলা উদ্দিন বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এবিএম খায়রুল হক ৪৪ নং এজহারনামীয় আসামি। 

খায়রুলের সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক 

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি.এম. খায়রুল হকের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট হস্তান্তর সংক্রান্ত অনিয়ম ও বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া বিফ্রিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদক জানায়, ২০০৩ সালে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ পান বিচারপতি খায়রুল হক। প্লট বরাদ্দের শর্ত মোতাবেক ১ম কিস্তির সাড়ে ছয় লাখ টাকা পরিশোধ না করায় রাজউক বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তিনি পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বিগত সরকারের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পুনরায় আইন ও বিধি বহির্ভূতভাবে প্লট হস্তান্তর গ্রহণ করেন। এখানে পুরো টাকা না দিয়ে ৬ বছর পূর্বের ১ম কিস্তির টাকার চেক জমা দেন, যা নগদায়ন হয়নি। তারপরেও অবসর গ্রহণের পরে যাবতীয় পাওনা পরিশোধের শর্তে তাকে অবৈধভাবে প্লট হস্তান্তর করা হয়।

দুদক আরো জানায়, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশনের অংশ হিসেবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ. বি.এম. খায়রুল হকের বিধি বহির্ভূতভাবে প্লট হস্তগত করার অভিযোগটি কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়



শেয়ার করুন