২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০১:০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


সিলেট সদর থানার এসো’র বনভোজন মেলায় পরিণত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৮-২০২২
সিলেট সদর থানার এসো’র বনভোজন মেলায় পরিণত


গত ৩১ জুলাই রবিবার সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশনের বার্ষিক বনভোজন নিউইয়র্কের এস্টোরিয়া পার্কের প্রকৃতির শীতলছায়ায় অনুষ্ঠিত হয়। বনভোজনে সিলেটবাসীসহ কম্যুনিটির সর্বস্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। এক সময় সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশনের বনভোজন মানুষের স্বত:স্ফ‚র্ত অংশগ্রহণে মিলন মেলায় পরিণত হয়। চমৎকার আয়োজনে এই বনভোজন অনেক দিন মানুষের স্মৃতিপটে থাকবে। চমৎকার আয়োজন এই জন্যে যে খোলা পার্কে তৈরি করা হয় মঞ্চ, টেবিল এবং কয়েক শত চেয়ার। যে কারণে এই বনভোজন ছিলো ব্যাতিক্রম এবং স্মরণীয়।

বনভোজনে সংগঠনের পক্ষ থেকে সভাপতি আব্দুল মালেক খান লায়েক, সাধারণ সম্পাদক আর.সি টিটো এবং বনভোজন কমিটির আহবায়ক দুলাল মিয়া এনাম, প্রধান সমন্বয়কারী মামুন আহমেদ ও সদস্য সচিব মওদুদ পাশাসহ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ বনভোজনে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে শুভেচছা ও স্বাগতম জানান। বনভোজন কমিটির আহবায়ক হাজী এনাম ও  সাধারণ সম্পাদক আর.সি টিটো’র যৌথ পরিচালনায় বনভোজনে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি আব্দুল মালেক খান লায়েক।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর, করোনাকালীন সময়ে যারা মারা গেছেন এবং সকল শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং নতুন কমিটিকে সিলেট সদরবাসী বরণ করেন। কেক কেটে বনভোজনের শুভ উদ্বোধন করা হয়। বনভোজনে উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথি, কমিউনিটি নেতা, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সংস্কৃতি কর্মী, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে বনভোজনে অংশগ্রহণ করে বনভোজনকে সফল এবং স্বার্থক করার জন্য সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এস্টোরিয়া পার্কে অনুষ্ঠিত বনভোজনে প্রবাসে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক প্রবাসী অংশগ্রহণ করেন যা ছিল চোখে পড়ার মতন।

এস্টোরিয়া পার্কের সবুজ চত্বরে যেন বসেছিল সিলেট সদরবাসীর মিলন মেলা। জনপ্রিয়তার শীর্ষে সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশন এবারের বনভোজনে সংগঠনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এক জনকে (মরণোত্তর) ও ৬ জনকে  আজীবন সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। ৭জন গুণী ব্যক্তি যারা এ সম্মাননা পেয়েছেন তারা হলেন মরহুম ফখরুল ইসলাম খান (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল করীম, এম.সি কামাল, ইয়ামিন রশীদ, সুলতানা রাজিয়া খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম এবং মোজাফফর আহমেদ। 

সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশনের সাবেক নেতৃবৃন্দ সারওয়ার জাহান লাহিন, শাহাব উদ্দিন, মো: মাহবুব, মামুন আহমেদ, রিয়াজ কামরান, আজীবন সম্মাননা ক্রেস্ট ও উত্তরীয় প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে সম্মানিত করেন।  আজীবন সম্মাননা পদক, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য প্রদর্শনী, অতিথিদের মধ্যে উপহার সামগ্রী (টি-শার্ট, হতপাখা) বিতরণ, আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্র, মহিলাদের জন্য মিউজিকাল চেয়ার ও ছেলে মেয়েদের দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।  দুপুরের খাবার পরিবেশনের সাথে চলে বনভোজনে আগত অতিথিদের সাথে আড্ডা।  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন উত্তর আমেরিকার জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী শাহ মাহবুব। 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর বনভোজনে উপস্থিত অতিথি ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দকে বক্তব্য ও পরিচয় করিয়ে দেন আহবায়ক দুলাল মিয়া এনাম।

বনভোজনে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসের সর্ববৃহৎ সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত সভাপতি বদরুল হোসেন খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, বিশিষ্ট চিকিৎসক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও ডা. ফাতেমা আহমেদ, সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশনের সাবেক ট্রাস্টি আব্দুল মুমিত (ফুয়াদ), সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশনের সাবেক উপদেষ্টা/ট্রাস্টি /প্রধান নির্বাচন কমিশনার এমসি কামাল, সারওয়ার জাহান লাহিন, ইয়ামিন রশীদ, মোজাফফর আহমেদ মছনু, মো: মাহবুব, শাহাব উদ্দিন, মামুন আহমেদ, রিয়াজ উদ্দিন কামরান,

গোলাম রব্বানী চৌধুরী, মনজুর চৌধুরী, দিলদার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নুরুল ইসলাম, ড: জুননুন চৌধুরী, এনআরবি চেয়ারম্যান শেকিল চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আজিমুর রহমান বুরহান, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুনেদ এ খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম, এমসি এন্ড গভ: কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বেলাল চৌধুরী,

এমসি এন্ড গভ: কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি সফিক উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেজাউল করিম রেজু, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহ- সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, মৌলভীবাজার জেলা সমিতির সভাপতি ফজলু মিয়া, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোসাইটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আতিক, সিলেট সদর সমিতির সভাপতি দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন চৌধুরী, বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিলের উপদেষ্টা জুনেদ চৌধুরী, সদস্য শাহ সেলিম, রাজনীতিবিদ জিল্লুর রহমান, শ্যামল কান্তি, কমিউনিটি নেতা তোফায়েল চৌধুরী, নাজীম চেয়ারম্যান, আসিফ চৌধুরী, ইফজাল আহমেদ, ওসমানি নগর উপজেলা সমিতির সভাপতি বশির আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ জে চৌধুরী, ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ।

বক্তব্য ও পরিচয় পর্ব শেষে বিভিন্ন বয়সের বাচ্চাদের খেলাধুলার পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে ছেলেদের বয়স  ৬/১০ ক্যাটাগরিতে প্রথম  হয় সায়ান, দ্বিতীয় হয় তাহীম এবং তৃতীয় ইশমাম। ছেলেদের বয়স ১১/১৭ ক্যাটাগরিতে প্রথম ইফায আইয়ান, দ্বিতীয় সুমন, তৃতীয় এমডি। মেয়েদের বয়স ৬/১০ ক্যাটাগরিতে প্রথম অযুরা, দ্বিতীয় মৌরিল চৌধুরী, তৃতীয় স্থান অধিকার করে মেহনাজ। মেয়েদের বয়স ১১/১৭ ক্যাটাগরিতে প্রথম হয় মাহিরা, দ্বিতীয় হয় তাহানি, তৃতীয় খুসবা। মহিলাদের আকর্ষণীয় মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতায় বিপুল সংখ্যক মহিলা অংশগ্রহণ করেন এবং তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতার পর পথম হন মিস নাসরিন, দ্বিতীয় মিসেস শিরিন রশীদ এবং তৃতীয় মিসেস ঝিনু রশীদ। 

বনভোজনে র‌্যাফেল ড্রতে ১০ টি পুরস্কার ছিল। প্রথম পুরস্কার পিএস ৫ বিজয়ী তাহানী। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর সকলকে আবারও সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভাপতি আব্দুল মালেক খান লায়েক বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


শেয়ার করুন