২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ৬:৫৪:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


'৭১ এর বীরদের রুখে দাঁড়ানোর ইস্পাত দৃঢ় সংকল্প
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৯-২০২২
'৭১ এর বীরদের রুখে দাঁড়ানোর ইস্পাত দৃঢ় সংকল্প


দেশ জাতির ক্রান্তিলগ্নে কাল ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবে দুর্ধষ ক্রাক প্লাটুনের বীর যোদ্ধা উলফাত আজিজ খানের আহবানে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর যোদ্ধারা সমবেত হয়েছিলেন। রণাঙনে আর ক্রীড়াঙ্গনের বিজয়ী বীর মেজর হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা দেশের ক্রমবর্ধমান সার্বিক সংকট সময়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক আদর্শের বিষয়ে সচেতন হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আহবান জানান।


সমস্যরে দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারিত হয় ভ্রান্ত পরিকল্পনা, নিরঙ্কুশ আমলাতন্ত্রের নিষ্পেষণে নিষ্পেষিত , অবাধ দুর্নীতির অভয় অরণ্য বিবর্ণ এই বাংলাদেশ আমাদের নয়। এই বাংলাদেশের জন্য আমরা জীবনের সবকিছু উৎসর্গ করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে যুদ্ধ করিনি। আমাদের রণাঙ্গনের বীর স্থির এই বাংলাদেশের জন্য জীবন বিসর্জন দেন নি।  আমাদের বোনেরা সম্ভ্রম বিলিয়ে দেয়ার বিনিময়ে এই বাংলাদেশ কামনা করেনি।


মুক্তিযোদ্ধাদের কন্ঠ ভেসে ওঠে একাত্তুরের অগ্নি শপথ। শেকল ভাঙার গান। সবার কণ্ঠে আহবান ছিল বেঁচে থাকা। প্রকৃত দেশপ্রেমিক মুক্তি যোদ্ধাদের দলমত নির্বিশেষে একতাবদ্ধ হবার। মুক্তিযোদ্ধারা অনেক ভুল করেছে। ক্ষুদ্র স্বার্থের সন্ধানে  নানা দলে বিভক্ত হয়ে একে ওপরের অনেক ক্ষতি করেছে। বীর যোদ্ধাদের উচিত হয়নি কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করার। আজ সময় এসেছে সমালোচনার। হায়েনা আর শকুনদের করাল গ্রাস থেকে দেশ রক্ষা করার। 


১৯৭১ সংগ্রাম ছিল দুঃশাসন, নিপীড়ন মুক্ত সবার সমান অধিকার সংরক্ষিত সোনার বাংলা গড়ার। আজ পাকিস্তান আমলের ২২ পরিবারের স্থানে- ২২০০০ পরিবার বাংলাদেশের সম্পদ লুন্ঠন করে দেশ বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। রাজনীতি, ব্যাবসা বাণিজ্য আজ দুর্নীতিবাজদের কবলে। শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, স্বাস্থ্য, বিদ্যুত জ্বালানি, যোগাযোগ, সড়ক পরিবহন, রেল যোগাযোগ, কৃষি সকল ক্ষেত্রেই দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। 


অর্থনীতি স্থবির, গভীর জ্বালানি সংকটে নিপতিত দেশ। জাতির এই অনিশ্চিত মুহূর্তে দেশের সূর্য সৈানিকেরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না। তাই মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে দেশের সকল প্রান্ত থেকে আগত সবার কন্ঠ উচ্চারিত হয়েছে, রুখে দাঁড়ানোর ইস্পাত দৃঢ় সংকল্প।  


মুক্তিযোদ্ধারা জাতির বিবেক। দেশ জাতির ক্রান্তি লগ্নে মুক্তিযোদ্ধাদের সমবেত শক্তি হতে পারে জাতির মুক্তি সনদ, লুটেরাদের সামাজিক ভাবে বর্জনের দীপ্ত শপথে শেষ হয় বীরদের সম্মেলন।


শেয়ার করুন