২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৩:৫৬:৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


বিডসের ওয়েভিনারে বক্তারা
সংসদ না ভেঙে আরেকটি সংসদ নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০১-২০২৪
সংসদ না ভেঙে আরেকটি সংসদ নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য আলোচনায় অংশগ্রহণকারী অতিথিবৃন্দ


বাংলাদেশের চলমান ভয়ের সংস্কৃতিতে সরকারবিরোধী আন্দোলন সফল করতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে বলে মনে করেন দেশের বিশিষ্টজনরা। বর্তমান আন্দোলন শুধু বিএনপিকেন্দ্রিক। আন্দোলন সফল করতে সরকারবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার তাগিদ দিয়েছেন তারা। গত ২৭ ডিসেম্বর বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ আয়োজিত আসন্ন নির্বাচন ও ভবিষ্যতের পথরেখা শীর্ষক ওয়েভিনারে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তারা।

বিডস আয়োজিত ওয়েভিনারে প্যানালিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ড. বদিউল আলম মজুমদার, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিনগুইশড প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ, ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের পরামর্শক জ্যোতি রহমান। ওয়েভিনারটি সঞ্চালনা করেন রবার্ট মরিস ইউনিভার্সিটির পিএইচডি কেন্ডিডেইট ইমরান আনসারী।

এ সময় ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আওতায় সরকার নির্বাচন আয়োজন করছে, এটি অবৈধ। এছাড়া সংসদ না ভেঙে আরেকটি সংসদের নির্বাচন অগ্রণযোগ্য। তিনি মনে করেন, এখনো সময় আছে সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার। 

ড. আলী রীয়াজ বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শুরুতেই নির্বাচনে আমরা বিদেশি হস্তক্ষেপ লক্ষ করি। রাশিয়া, চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কমবেশি সব নির্বাচনে দেখা গেছে। তবে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ লক্ষ করার মতো। এটি সরকারের মন্ত্রীদের বিভিন্ন বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে। তিনি মনে করেন, ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের পর অর্থনৈতিক স্বার্থে সরকারকে চীনমুখী হতে হবে। তবে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনই শেষ কথা নয় বলে মনে করেন তিনি। জনবিক্ষোভের মাধ্যমেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় হবে বলে মনে করেন ড. আলী রীয়াজ। আর এজন্য দেশের ডান-বাম মধ্যপন্থী সব দলকে একই প্লাটফর্মে এসে আন্দোলন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। আর এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ জ্যোতি রহমান মনে করেন, এক তরফা নির্বাচনের পর দেশ চরম মাত্রায় অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত হবে। যা গণবিস্ফোরণে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

শেয়ার করুন