১৮ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৯:১৮:৩৩ পূর্বাহ্ন


বাংলাদেশ সোসাইটির অভিষেক ৩১ অক্টোবর
প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে ভায়োলেশন রিমুভ করা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১০-২০২২
প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে ভায়োলেশন রিমুভ করা


প্রবাসের অন্যতম মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির নবনির্বাচিত কমিটির সম্ভাব্য অভিষেক আগামী ৩১ অক্টোবর। গত ৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কার্যকরি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এম কে জামান, ক্রীড়া সম্পাদক নওশাদ হোসেন, সাহিত্য সম্পাদক নাসির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, কার্যকরি কমিটির সদস্য ফারহানা চৌধুরী, সরওয়ার খান বাবু, আবুল কাশেম চৌধুরী, মাইন উদ্দিন মাহবুব প্রমুখ।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেকের তারিখ ঠিক করা হয় এবং অভিষেক অনুষ্ঠান সফল করার জন্য একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। অভিষেক কমিটির আজবায়ক করা হয় কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলীকে এবং সদস্য সচিব করা হয় সরওয়ার খান বাবুকে। প্রধান সমন্বয়কারী করা হয় সৈয়দ এম কে জামানকে এবং সমন্বয়কারী করা হয় আবুল কালাম ভুইয়াকে। এ ছাড়াও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নির্বাচন কমিশনকে অভিষেকের আগে হিসাব জমা দিতে হবে। সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার এবং কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে ৩০ দিনের মধ্যেই হিসাব জমা দিতে হবে। অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সোসাইটির এবারের নির্বাচন ছিলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল। দুইবার মামলার কারণে সোসাইটির নির্বাচন স্থগিত হয় এবং তৃতীয়বারের তারিখ গত ১৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যদিও এবরো মামলাবাজরা চেষ্টা করেছিলো মামলা করার জন্য কিন্তু সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ড এবং কার্যকরি কমিটি বিচক্ষণতার কারণে মামলাবাজরা শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হয়। জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে প্রায় ৩ লাখ ডলারের মতো খরচ হয়েছে। কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী জানান, তিন টার্মে আমরা নির্বাচন কমিশনকে প্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ডলার দিয়েছি। এর মধ্যে মামলার জন্য দেয়া ৩ হাজারও রয়েছে। এ ছাড়াও নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন পত্র বিক্রি করে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের মতো পেয়েছে। তবে সোসাইটির নির্বাচন কমিশন চ‚ড়ান্ত হিসাব দিলেই বোঝা যাবে নির্বাচনে খরচের পরিমাণ কত।

আরেক সূত্রে জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ভায়োলেশন রিমুভ করা। কারণ বাংলাদেশ সোসাইটির ভবনের অনেকগুলো ভায়োলেশন রয়েছে। এই ভায়োলেশন প্রায় ৮০ হাজার ডলারের। সূত্র জানায়, এই ভায়োলেশন সোসাইটির প্রথম তলার ভাড়াটিয়া গ্রোসারির কারণে। গ্রোসারির মালিক সিটির অনুমোদন এবং সোসাইটির কর্মকর্তাদের না জানিয়ে সামনে রুম তৈরি করেছে। যে কারণে ভায়োলেশন দেয়া হয়েছে। তবে এই ভায়োলেশন রিমুভ করা যাবে। কয়েক বছর ধরেই সোসাইটির কর্মকর্তারা গ্রোসারির মালিক তুলে দেয়ার চেষ্টা করছেন কিন্তু তারা পারছেন না। যে কারণে ২০১৯ সালে গ্রোসারি মালিকের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। এই মামলা এখনো চলমান। কিন্তু যাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনি বিষয়টি ঠিকভাবে হ্যান্ডেল করতে পারেননি। কারণ কর্মাশিয়াল বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে কয়েক মাসের মধ্যেই মার্শাল দিয়ে ভাড়াটিয়াকে উঠানো সম্ভব। কিন্তু সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কারণে বা তার নিয়োগকৃত আইনজীবীর কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। নবনির্বাচিত কমিটির প্রধান কাজ হচ্ছে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ করে ভায়োলেশন রিমুভ করা। একইভাবে সোসাইটির বেসমেন্টেও ভায়োলেশন ছিলো, সেটি রিমুভ করা হয়েছে।

এ ছাড়াও সোসাইটির বর্তমান কমিটি প্রায় ৭৫ হাজার ডলারের মতো লিন পরিশোধ করেছে। সোসাইটির বর্তমান কোষাধক্ষ্য মোহাম্মদ আলী জানান, ২০০৭ এবং ২০১৩ সালে সোসাইটির প্রোপাটি ট্যাক্স এবং পানির বিল না দেয়ার কারণে লিনে দেয়া হয় সোসাইটির ভবন। এই লিনের অর্থ পরিশোধ করা হয় দুই দাফে। প্রথম দাফে অর্থ দেয়া হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এবং দ্বিতীয় দাফের অর্থ দেয়া হয় ২০২২ সালের জানুযারি মাসে। মোহাম্মদ আলী আরো বলেন, চলতি বছরেরও প্রোপার্টি ট্যাক্স দেয়া হয়েছে। তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে জানান, বাংলাদেশ সোসাইটির দুটো অ্যাকাউন্টে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ ডলারের মতো অর্থ রয়েছে। ভাড়াটিয়া তুলে ভায়োলেশন রিমুভ করাই হবে নতুন কমিটির প্রধান দায়িত্ব।

শেয়ার করুন