২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৮:২৭:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


ডি/এল এ ভারত জয়ী ৫ রানে
উত্তেজনাকর ম্যাচে হারলো বাংলাদেশ
সালেক সুফী, অস্ট্রেলিয়া থেকে
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১১-২০২২
উত্তেজনাকর ম্যাচে হারলো বাংলাদেশ ম্যাচ শেষের দৃশ্য,জয়ে অতটা তৃপ্ত নয় ভারত। দুর্দান্ত লড়াইয়ে হারলেও শান্তনা লড়ািইয়ে হার বাংলাদেশের/ছবি সংগৃহীত


বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়ে ভারতের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ। অথচ ম্যাচে বাংলাদেশেরও প্রধান্য ছিল স্পষ্ট। ভারত জিতেছে। কিন্তু সে জন্য দুশ্চিন্তায় থেকেছে তারা শেষ বল পর্যন্ত। 

অ্যাডিলেডে টসে হেরে প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে ভারত করেছিল ১৮৪ রান ৬ উইকেটে। এ ম্যাচে বিরাট কোহলির ছিল ইনিংস বাচানো ইনিংস। বাংলাদেশের বোলিংয়ের সামনে অতটা সুবিধা পাচ্ছিলনা তারা। তবে ওপেনিংয়ে লোকেশ রাহুল ও এরপর বিরাট কোহলির দ্বায়িত্ব ইনিংসের উপর ভর করে ভারতের সংগ্রহ ওই পর্যায়ে যায়। কোহলি ৪৪ বলে করে অপরাজিত ছিলেন ৬৪ রানে।  এর আগে রাহুল ৩২ বলে ৫০ করে আউট হন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ তিনটি এছাড়া সাকিব নেন দুই উইকেট। 

জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৮৫। এমন টার্গেটে খেলতে নেমে লিটন ভারতীয় বোলারদের তুলাধুনা করে ছেড়ে দেন। বাংলাদেশ ৭ ওভারে সংগ্রহ করে ফেলে ৬৬ রান। যার মধ্যে লিটনেরই ছিল ৫৯ রান। তিন ছক্কা ও সাত চারে ওই রান করেছিলেন তিনি। ওপেনিংয়ে তার সঙ্গে ছিলেন শান্ত। তার রান ৭। দলের এমন মুহুর্তে নেমে আসে বৃষ্টি। বেশ কিছুক্ষন বন্ধ থাকলেও ডি/এল এ এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। অর্থাৎ ওই পর্যায়ে খেলা আর না হলে জিতে যেত বাংলাদেশ। 

এরপর খেলা শুরু হয়। কিন্তু কার্টেল হয় চার ওভার। ফলে বাংলাদেশের সামনে নতুন টার্গেট দাড়ায় ৫৪ বলে ৮৫ রান। এ বৃৃষ্টি ব্রেকটাই সর্বনাশ করে দেয়। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যনদের যে রিদম সেটা নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টির পর ওই টার্গেটে খেলতে নেমে লিটন ১ রান যোগ করেই ডাবল নিতে যেয়ে রান আউট। ৬০ রান করেন তিনি।

এ সময় ক্রিজে আসেন সাকিব। সাথে শান্ত। এ দুজনই নয় শুধু চমৎকার অবস্থানে থেকেও একের পর এক আউট হতে থাকে টিম বাংলাদেশ। ক্রিজে এসে উল্টাপাল্টা শটস খেলেন তারা। অথচ শুধু ওভার হিসেব করে ক্যালকুলেটর চিপে খেলে গেলেই চলে। এ পর্যায়ে একের পর এক আউট হতে হতে শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন পরে ৩১ রান। কিছুটা কঠিন। সোহান ও তাসকিন তখন ক্রিজে। ১৫ তম ওভার থেকে ১১ রান সংগ্রহ করলে শেষ ওভারে জয়ের প্রয়োজন পরে বাংলাদেশের ২১ রান।


কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। তৃতীয় বলটি তাসকিন ছক্কা হাকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিলে শেষ দুই বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। কিন্তু এটা আর কাভার করা যায়নি। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৪৫/৬ এ। ডি/এল এ ৫ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। সোহান ১৪ বলে ২৫ রান করে ছিলেন অপরাজিত। আর তাসকিন ৭ বলে ১২ রানে অপরাজিত। ভারতের বোলারদের মধ্যে আর্শদ্বীপ ও হার্দিক নেন দুটি করে উইকেট। একই মাঠে ৬ নবেম্ভর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা  বাংলাদেশের। 


শেয়ার করুন