২৩ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৭:৪৬:২৯ অপরাহ্ন


বিএনপির সমাবেশ ভেনু বাঙলা কলেজ বা কমলাপুর স্টেডিয়াম এর ব্যাপারে ঐক্যমত
ঢাকায় থমথমে পরিবেশ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১২-২০২২
ঢাকায় থমথমে পরিবেশ ৭ ডিসেম্বর সংঘর্ষ এর পর গতকাল ৮ ডিসেম্বর নয়াপল্টন এলাকার একাংশ/ছবি সংগৃহীত


আপাতত ১০ ডিসেম্বরের ভেনু ঠিক হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। বিএনপি ও ডিএমপি শেষ পর্যন্ত যে সমঝোতায় পৌছাতে যাচ্ছে সেটা ইতিবাচক। বিএনপি নতুন ভেনু হিসেবে চেয়েছে কমলাপুর ফুটবল স্টেডিয়াম। ডিএমপি এখানেও বাধা দিয়েছে। তাদের পছন্দ মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ। বিএনপি এ ভেনুকে উড়িয়ে দেয়নি। দুই পক্ষই দুটি স্থান পরিদর্শণ শেষে একটা সমঝোতায় পৌছাতে পারে বলে পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে বিএনপির পাচ সদস্যের এক প্রতিনিধি ডিএমপিতে বসে সভা করে এমন একটা সমঝোতাতে পৌছাতে যাচ্ছে। বিএনপিও এ ব্যাপারে এখন নমনীয়। যেভাবেই হোক বিএনপি চাচ্ছে শান্তিপূর্ণ একটি সমাবেশ। ডিএমপিও অনেক ভাবনা চিন্তার পর নমনীয়। 

তবে নয়া পল্টনের সংঘর্ষের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিবৃতি ও পরিশেষে জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশের পর বিষয়টাতে সমঝোতার দিকে যাচ্ছে।



এদিকে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ অনুষ্টিত হলেও মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগও। গতকাল থেকেই রাজধানী বিভিন্ন মোড়ে তাদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এবং বিভিন্ন সূত্রে জানিয়েছে তারা শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে  মাঠে থাকবে, মহড়া দেবে। যাতে কোনো রকম বিশৃংলা সৃষ্টি না হয়। এতে বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের মধ্যে এক ধরনের উৎকন্ঠা দেখা গেছে। কারন সমাবেশ গামীদের সঙ্গে কোনোরকম সংঘর্ষ না হয়। রাজধানীতে গতকাল  বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই যানবাহন চারভাগের একভাগে নেমে আসে। বিশেষ করে সন্ধ্যায় খুবই সীমিত আকারে পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রাইভেট যানবাহন চলাচলও ছিল সীমিত। তবে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্টানের পরিবহন যথারীতি গুলো চলতে দেখা গেছে।

গতকালই যুব লীগের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে সাধারন সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত চিঠিতে ৯ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন জেলা,মহানগর, থানা, ওয়ার্ডে বিক্ষোভ সমাবেশ হওয়ার ঘোষনা দেয়া হয়। একই সঙ্গে যুবলীগ সতর্ক অবস্থায় থাকারও নির্দেশনা দেয়া হয়। জানা গেছে, শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেবে আওয়ামী লীগের এ অংগ সংগঠন ছাড়াও অণ্যরা। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীতে একরকম থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়াও দুদিন ধরেই ঢাকায় প্রবেশের প্রায় প্রতিটা পথেই পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে চেকিং করছে। সেখানে ঢাকায় প্রবেশের যথার্থ কারন যাচাই বাছাই করছেন তারা। ফলে ঢাকার বাইর থেকে আসা মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে। 

বাস মালিক বা পরিবহন মালিক সমিতি বা শ্রমিকরা জানিয়েছেন কোনো ধর্মঘট নেই। তবে শুক্রবার থেকেই কোনো যানবহন চলবে না বলে ইঙ্গিত মিলিছে। শুক্রবার ঢাকা থেকে কিছু সংখক বাস ছেড়ে গেলেও ঢাকায় প্রবেশে থাকছে কড়াকড়ি। তবে শনিবার কোনো যানবাহন না চলাচলের আভাস মিলেছে। এমনকি পাড়া মহল্লার লেগুনা টাইপের পরিবহনগুলো না চলানোর জন্য শ্রমিকদের নির্দেশনা দিয়েছে মালিকরা। ফলে সাধারন মানুষের জরুরী প্রয়োজনে বাইরে যাওয়াটা দুস্কর হয়ে দাড়াবে।  


শেয়ার করুন