কাতারের রূপান্তরিত উশর মরুতে ৩২ দলের ফুটবল বিশ্ব যুদ্ধের এখন শেষ লগ্ন। অনেক দেশ, দলকে কাঁদিয়ে হাসিয়ে রোববারের শেষ যুদ্ধের অপেক্ষায় গত বারের রাশিয়া বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স, আর ম্যারাডোনা ও লিওনেল মেসি নামের খুদে ফুটবল জাদুগরের দল আর্জেন্টিনা। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দল আর্জেন্টিনা কিন্তু চ্যাম্পিয়ন ক্ষুধার্থ। দলে এমন একজন কারিগর আছেন যিনি ক্ষনিকের ঝলক দেখিয়ে একাই দলকে জয়ের পথে নিতে পারে। তার নামটা সবারই জানা, লিওনেল মেসি। দলটির এখানেই বড় অ্যাডভান্টেজ।
অন্যদিকে ব্যালন ডি’অর জেতা করিম বেনজামা, পল পগবা বিহীন ফ্রান্সকে অনুপ্রাণিত করার জন্য এমবাপ্পে ,জিরুদ, গ্রীজম্যানরা রয়েছেন। এর মধ্যে এমবাপ্পেও এক যাদুকর। ক্ষিপ্রগতি ও নিখুত নিশানায় বল রাখতে পারা ইতিমধ্যে বড় তারকা হয়ে ওঠার সবটুকু গুনই তার মধ্যে। যা প্রমান করেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপে এমনকি এবারও। আর্জেন্টাইন রক্ষনভাগের মাথা ব্যাথার অণ্যতম কারন এই এমবাপ্পে।
আর্জেন্টিনা শুরুতে সৌদি আরবের সঙ্গে হোঁচট খেয়ে দারুন ভাবে ফিরেছে যুদ্ধে। অন্যদিকে গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে প্রথম পছন্দের ৯ জনকে পাল্টে দল সাজিয়ে খেলে তিউনিসিয়ার সঙ্গে হেরে যায় ফ্রান্স। শোনা যাচ্ছে ক্যামেল ভাইরাস হুমকি হয়ে আঘাত হেনেছে উভয় ক্যাম্পে। আমার নিজের হর্স ফ্লুর অভিজ্ঞতা আছে। জানিনা কামেল ভাইরাস কতটা কঠিন। এবং ওই ভাইরাস মুক্ত হয়ে খেলতে পারেন।
ফাইনাল খেলা অনেকটা স্নায়ুর চাপের খেলা। ফ্রান্স আজ এগিয়ে আমার নিজের অনেক ভক্ত অনুরাগী আমাকে বলবে আমি নিজে ব্রাজিল সমর্থক বলে বলছি। আবার যদি আর্জেন্টিনার জয় চাই ফ্রান্স সর্মথকরা বলবে ফ্রান্স জয়ী হয়ে পর পর দুইবার বিশ্বকাপ জয়ের ব্রাজিল রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবে বলে বলছি। আসলে অনেকের মতোই আমিও সর্বযুগের অন্যতম সেরা লিওনেল মেসির হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চাই।
দেখুন সেমী ফাইনালে মেসি অনুপ্রাণিত আর্জেন্টিনা দারুন খেলে শক্তিশালী ক্রোয়েশিয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে এই বিশ্বকাপের চমক মরক্কোকে হারাতে ঘাম ঝড়াতে হয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে।
দুই দলই ভারসাম্যপূর্ণ। আবার দুই দলের কোনটি অজেয় নয়। চাপের মুখে রক্ষণ ভেঙে পড়ার উদাহরণ এই বিশ্ব কাপেই আছে। মেসি খেলবে কি খেলবে না, বেনজেমাকে খেলানো হবে কি হবে না, সেগুলো আলোচনার বাইরে রেখে বলছি খেলাটি কিন্তু উন্মুক্ত।
জয় পেতে পারে যে কোনো দল। তবে এ ফাইনালে আমার বাজির দল ফ্রান্স। আরেকটি বিষয় সর্বোচ্চ স্কোরার কে হবেন সেটাও এখণ দেখার বিষয়। তবে দুইজনই পাচ গোল নিয়ে একইস্থানে। এ দুই হলেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফাইনালে দলের যেমন তাদের গোল প্রয়োজন,আবার নিজের জন্যও গোল প্রয়োজন এ দুই তারকার।
লড়াই তো আরো একটা। সেটা ল্যাটিন আমেরিকা ও ইউরোপেরও। দুই মেরুর দুই দল। ফলে ফাইনালের সমার্থকরা ওই দুই ইস্যুতেও ভাগ হবে নিঃসন্দেহে। কারণ ইউরোপ চাইবে কাপটা যাতে ল্যাটিন আমেরিকাতে না যায়।
আজ একটি খেলা আছে মরক্কো আজ খেলবে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। জানিনা মরক্কো মোমেন্টাম ধরে রেখেছে কিনা। আজ মরক্কো জিতলে বিশ্ব ফুটবলও খুশী হবে নিঃসন্দেহে!
