উপজেলা নির্বাচনেও যাবে না বিএনপি। আসন্ন উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে বিএনপি যাবে কিনা জানতে চাইলে গত ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা বরাবরই বলেছি, শেখ হাসিনার অধিনে কোনো নির্বাচন কখনোই শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু হবে না। সুতরাং তার অধিনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। সেই সিদ্ধান্ত আমাদের আগেই নেয়া আছে। বিএনপি এখনও সেই সিদ্ধান্তেই অটুট রয়েছে।
গত ২২ জানুয়ারি সোমবার আওয়ামী লীগে জরুরি কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেসব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের ভোট হতে যাচ্ছে, তাতে দলীয় প্রতীক নৌকা না দেওয়ার। সেক্ষেত্রে প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হলে বিএনপি কি করবে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, দেখুন আমরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনই তো সুষ্ঠু হবে না বলছি। সেখানে....। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে সিদ্ধান্ত তা হচ্ছে- শেখ হাসিনার অধিনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাবো না। কারণ তার অধিনে কোনো নির্বাচন কখনো অবাধ সুষ্ঠু হয়না। সোমবার নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আমরা এখনও পর্যালোচনা করছি এবং দেখছি। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১২ মার্চে শেষ হবে। আবার ১০ বা ১১ মার্চ রোজা শুরু হবে। এসব বিষয় বিবেচনা করতে হচ্ছে।
প্রথম ধাপে ‘শ খানেক উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ ৩০ এপ্রিলের মধ্যে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “বাকিগুলো কয়েকটা ধাপে মে মাসে করা হবে। কারণ জুন মাসে আবার এইচএসসি পরীক্ষা। এজন্য আমরা এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চাই।”
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রকৃতি তুলে ধরে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার অধিনে আপনারা নির্বাচন দেখেছেন এবং সেই নির্বাচনের ফলাফল, সেই নির্বাচনের প্রকৃতি, সেই নির্বাচনের নানা ধরন-আঙ্গিক নিশ্চয়ই ধারণ করা আছে আপনাদের নিজস্ব মোবাইলে বা আপনাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে। এই বিষয়ে আমরা আগেও বলেছি... ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে তার প্রমাণ আছে। শেখ হাসিনা যতই কথা বলুক তিনি কোনোক্রমে গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না। জনগণের যে শক্তি, জনগণের ইচ্ছা এটাতে তিনি বিশ্বাস করেন না। করে না বলেই আজকে দেশ-বিদেশে থেকে একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের যে দাবি জানানো হয়েছে এটাতে তিনি কর্ণপাত না করে তিনি তার মাস্টার প্লান অনুযায়ী এবং তাদের প্রভুদের সমর্থন নিয়ে তিনি একটি অদ্ভুত তামাশার নির্বাচন করেছে। মানুষের কাছে সেটি হয়েছে বর্জনীয়, মানুষের কাছে সেটি হয়েছে ঘৃণ্য।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, তাহসিনা রশদীর লুনা, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম, আসাদুল করীম শাহিন, মনির হোসেন, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
