২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ০৪:১৯:২৮ অপরাহ্ন


দেশকে বিদ্যা সিনহা মিম
এ বছরটা আমার জন্য লাকি
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১২-২০২২
এ বছরটা আমার জন্য লাকি বিদ্যা সিনহা মিম


বিদায় নিচ্ছে ২০২২। এই বছর বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত নায়িকা ছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। তার অভিনীত ‘পরাণ’ বছরের অন্যতম সেরা ব্যবসা সফল ছবি হওয়ায় এই খ্যাতি। সম্প্রতি তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের একটি সিনেমাতে। যেখানে তার বিপরীতে দেখা যাবে কলকাতার জিতকে। এসব নিয়ে তিতি কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন আলমগীর কবির

প্রশ্ন: ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সফলতম একটি বছর শেষ হওয়ার পথে। অনুভূতি কেমন?

বিদ্যা সিনহা মিম: অনুভূতি বলাটা আসলে মুশকিল। কারণ সবসময় আরো ভালো চাওয়ার একটা অভিপ্রায় থাকে। সব সময়ই ইচ্ছে করে বর্তমানকে ছাপিয়ে যেতে। তবে ২০২২ সালে এমন কিছু ঘটনা আছে যেগুলোর হয়ত কখনো ছাপিয়ে যাওয়া যাবে না। বছরের শুরুতে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলাম। মাঝামাঝিতে আমাদের ‘পরাণ’ ছবিটা দারুণ সাফল্য পেল। ‘দামাল’ও দর্শক নন্দিত হলো। আর বছরের শেষে এসে জিতদার সঙ্গে নতুন ছবিতে অভিনয় শুরু করলাম। বলতে পারেন এ বছরটা আমার জন্য লাকি বছর। সাফল্যের বছর। নতুন সব অভিজ্ঞতার বছর। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আরো সামনে যেতে পারবো আশা করি। 

প্রশ্ন: জিতের সঙ্গে সিনেমা করার সুযোগটা কিভাবে এলো? 

বিদ্যা সিনহা মিম: সুযোগটা এসেছে বর্তমান কাজ এবং পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে। জিতের সঙ্গে প্রথম জুটি হই ‘সুলতান-দ্য সেভিয়ার’ ছবিতে। ছবিটির সঙ্গে জাজ সম্পৃক্ত ছিলো। মুক্তি পায় ২০১৮ সালে জুনের দিকে। প্রথম ছবির প্রায় চার বছর পর দ্বিতীয় ছবি শুরু করলাম। এই ছবির নাম ‘মানুষ’। জিতের প্রডাকশন থেকে ছবিটি নির্মাণ হলেও নির্মাণ করছেন বাংলাদেশের নির্মাতা সঞ্জয় সমাদ্দার দাদা। ছবিটির ব্যাপারে আমাকে ফোন করেছিলেন জিতের ভাই গোপাল মাদনানি। জিতের পাশাপাশি তিনি সিনেমাটির আরেক প্রযোজক। পরে পরিচালক সঞ্জয় দাদা ফোন করে গল্প শোনান। ছবিটির গল্প, চরিত্র পছন্দ হয়। পরিচালক আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, ভালো কিছু হবে। তা ছাড়া এই পরিচালকের সঙ্গে আগে কাজের অভিজ্ঞতাও আমার আছে। সব মিলিয়েই কাজ শুরু করা।



প্রশ্ন: পর্দার জিত আর বাস্তব জিতের মধ্যে আপনি কি পার্থক্য পেয়েছেন?

বিদ্যা সিনহা মিম: নায়ক হিসেবে জিত দা কেমন সেটাই সবাই পর্দাতে দেখতেই পান। আর মানুষ হিসেবে জিত অসাধারণ। ছবির শুটিংয়ের আগে থেকেই তার সঙ্গে বেশ কয়েকবার বসা হয়েছে। আড্ডা হয়েছে। বাইরে থেকে জিত দাদাকে বেশ গাম্ভীর্যপূর্ণ দেখালেও আসলে সে খুবই মিশুক ও প্রাণবন্ত। আড্ডায় বেশ হাসিখুশি, চটপটে। এককথায় ব্যক্তি জিতও অসাধারণ। 

প্রশ্ন: আপনার অভিনীত ‘অন্তর্জাল’ ছবিটিও মুক্তির ঘোষণা এলো? 

বিদ্যা সিনহা মিম: ‘অন্তর্জাল’ ছবির মোশন পোস্টার প্রকাশের পরের দিনই তো কলকাতায় চলে এলাম। অন্তর্জাল ছবিটি দীপংকর দীপন দাদা নির্মাণ করেছেন। এই ছবিটিও আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি হবে বলতে পারবো। এমন গল্পের ছবি বাংলাদেশে মনে হয় আর হয়নি। এই ছবিতেও এক অন্য মিমকে পাবেন সবাই। ছবিটি আগামী ঈদে মুক্তি পাবে। 

প্রশ্ন: নতুন বছরে নতুন কি ধামাকা খবর দেবেন?

বিদ্যা সিনহা মিম: আমি তো অভিনেত্রী। অভিনয়ই আমার পেশা। নতুন বছরেও ভালো ভালো কিছু কাজের খবর আসবে। তবে আপাতত ‘মানুষ’ নিয়েই থাকতে চাই। নতুন কিছুর খবর এলে তো অবশ্যই সবাইকে জানাব।

প্রশ্ন: এক যুগের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে আপনার সেরা প্রাপ্তি কী?

বিদ্যা সিনহা মিম: এর মধ্যেই আমি অনেক কিছু পেয়েছি। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সিনেমায় কাজ করেছি। অল্প বয়সে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। স্কুলে পড়াশোনা করার সময় ‘চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। পরে বিজয়ীও হয়েছি। মিডিয়ায় জায়গা ধরে রাখাটা কঠিন। সেখানে ‘আমার আছে জল’, ‘জোনাকির আলো’, ‘সুলতান’, ‘পরাণ’–এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছি। দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছি, এগুলোই সেরা প্রাপ্তি।

প্রশ্ন: জীবন চালিয়ে নেওয়ায় আপনার কাছে বড় শক্তি কী?

বিদ্যা সিনহা মিম: নিজের মতো করে জীবন চালিয়ে নেওয়া। নিজেকে সব সময় বলি, তোমার যেটা ভালো লাগছে, সেটাই করে যাও। নিজের মতো করে জীবনটা উপভোগ করা।

শেয়ার করুন