২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০১:৪৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


কনক চাঁপার একক সংগীত সন্ধ্যায় মুগ্ধ সবাই
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৫-২০২২
কনক চাঁপার একক সংগীত সন্ধ্যায় মুগ্ধ সবাই কনক চাঁপাকে ক্রেস্ট প্রদান করছেন রানো নেওয়াজ


আমি সুরকে ভালোভাসি, আমি সংগীতকে ভালোবাসি, আমি ফুলকে ভালোবাসি, আমি আমার স্রষ্টাকে ভালোবাসি, আমি আসার দর্শকদের খুব বেশি ভালোবাসি। যেদিন দর্শক আমাকে ভুলে যাবে সেই দিন আমার অর্থাৎ একজন শিল্পীর মৃত্যু বলে আমি বিশ্বাস করি। এই কথাগুলো বলেছেন, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনক চাঁপা। শো-টাইম মিউজিকের আয়োজনে শিল্পী কনক চাঁপার একক সংগীতসন্ধ্যার আয়োজন করা হয় গত ২০ মে সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে। শো-টাইম মিউজিকের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং শিল্পী কনক চাঁপাকে উপস্থাপনা করেন। ২২ মে বিকেল থেকেই ছিলো বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শক উপস্থিত হয়েছিলেন অডিটোরিয়ামে। যারা উপস্থিত হয়েছিলেন তারা প্রাণভরে সংগীত উপভোগ করেছেন। কারণ শিল্পী কনক চাঁপা তার জনপ্রিয় এবং দর্শকদের অনুরোধের গানগুলো একের পর এক গেয়েছিলেন। তিনি শুধু গান করেননি, একজন শিল্পী বড় গুণ হচ্ছে গানটি শুরু করার আগে গানের সুরুকার এবং গীতিকারের নামটি সম্মানের সাথে উচ্চারণ করা। সেই সাথে গানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা। এই সবের পাশাপাশি তিনি তার জীবনের অনেক ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন। যার ফলে দর্শকরা ছিলেন বিমোহীত। শিল্পী কনক চাঁপার গানের প্রশংসা করে তো শেষ করা যাবে না, তার কথাগুলোরও প্রশংসা করেছেন উপস্থিত দর্শকরা। তিনি একাধিক বার উচ্চারণ করেছেন প্রয়াত শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের কথা। উল্লেখ করেছেন সাবিনা ইয়াসমীনের কথা, রুনা লায়লার কথা, রথীন্দ্রনাথ রায়ের কথা। বিশেষভাবে সম্মান জানান ফেরদৌসী রহমানের কথা। তিনি বলেন, একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও তিনি শুরু করেছিলেন সংগীত পরিবেশন। তখনকার সময়ে বাংলাদেশে নারীদের গান করা অনেকেই ভালো চোখে দেখতেন না। বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা। স্বৈরচারী এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ৮ বছর টিভি এবং রেডিওতে গান করতে দেয়া হয়। দুঃখের স্মৃতির পাশাপাশি হাসির স্মৃতিও তিনি তুলে ধরেন। জানালেন, তার শ্বশুরবাড়ি বগুড়ায়। সেখানেই একটি ভবন তৈরি করছিলেন। সেই সময় ভবনের কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। গিয়ে দেখেন একজন মিস্ত্রি তার গান শুনছেন। গান না শুনলে নাকি তার কাজে গতি আসে না। ওই সময় প্রধান মিস্ত্রি জানালেন, যে শিল্পীর গান আপনি শুনছেন, সেই শিল্পী আমাদের সামনে। তখন ওই মিস্ত্রি বললেন, রসিকতা করার আর জায়গা পান না। কনক চাঁপা এখানে আসবেন কেন। একজন বক্তার কথার উত্তরে তিনি বললেন, আমি কনক চাঁপা আপা হতে চাই না, আমি শিল্পী কনক চাঁপাই থাকতে চাই। আমরা কী কখনো বলি রবীন্দ্রনাথ ভাই, নজরুল ইসলাম দাদা? তারা রবীন্দ্রনাথ এবং কাজী নজরুল ইসলাম নামেই পরিচিত।

শো-টাইম মিউজিকের আলমগীর খান আলমের ওপর তার অগাধ বিশ্বাস। জানালেন, আমি জীবনের শেষ শোটি করতে চাই আলমগীর খান আলমের আয়োজনে। এরপর আমি গান করতে চাই না।

শিল্পী কনক চাঁপা একটানা প্রায় আড়াই ঘণ্টা গান করেন। নিউইয়র্কে এখন একক সংগীতসন্ধ্যা শুরু হয়েছে। তবে শিল্পী কনক চাঁপার একক সংগীতসন্ধ্যার সাথে কারো তুলনা চলে না। তিনি সত্যিই অতুলনীয়। আর যারা উপস্থিত ছিলেন তারা সংগীত সুধা মিটিয়েই বাড়ি ফিরেছেন। অনেক দিন তারা মনে রাখবেন কনক চাঁপার এই সংগীতসন্ধ্যা।

অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট প্রদান করা হয় শিল্পী কনক চাঁপাকে। শো-টাইমের পক্ষ থেকে তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন শিল্পী রানো নেওয়াজ। আবার শিল্পী কনক চাঁপা ক্রেস্ট তুলে দেন গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট এবং মূলধারার রাজনীতিবিদ শাহ নেওয়াজ, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নূরুল আজিম, ডা. চৌধুরী সরওয়ারুল হাসান, আব্দুল রশীদ বাবুকে। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কোর ক্রেডিট রিফেয়ারের প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, খায়রুল কবীর খোকন, রেদওয়ান।

শেয়ার করুন