২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৫:২৭:০৩ অপরাহ্ন


কানাডায় বিদেশিদের কাছে বাড়ি বিক্রি বন্ধ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৪-২০২২
কানাডায় বিদেশিদের কাছে বাড়ি বিক্রি বন্ধ বাড়ি বিক্রির নোটিশ


কানাডায় বিদেশিদের কাছে বাড়ি বিক্রি আগামী দু’বছরের জন্য বন্ধ থাকবে বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের বাজেট পরিকল্পনার মধ্যে রাখা হবে বলে জানাচ্ছে নিউইয়র্কভিত্তিক অর্থনৈতিক খবরের চ্যানেল বøুমবার্গ।

খবরে বলা হয়েছে, ক্যানাডার হাউজিং মার্কেট যেভাবে ফুলে ফেঁপে উঠছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার তাকে সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে। গত দু’বছরে কানাডায় বাড়ির দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ব্যাংক অব কানাডা সুদের হার বাড়ানোর আগে গত ফেব্রæয়ারি মাসে সে দেশের বিভিন্ন শহরে রেকর্ড সংখ্যক বাড়ি বিক্রি হয়েছে। আর বাড়ির দাম আকাশমুখী হওয়ার পেছনে একটি কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে পাচার হওয়া কালো টাকা। তবে কানাডায় পড়াশোনা করছেন এমন ছাত্র, কানাডিয়ান কোম্পানির বিদেশি কর্মী এবং সে দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারি বিদেশিদের ওপর বাড়ি কেনার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

হাউজিং খাতে বিনিয়োগ করে কালো টাকা এই বরফের মতো সাদা করা হয়, যাকে বলা হয় ‘স্নো ওয়াশিং’।

কালো টাকা সাদা

বøুমবার্গ জানাচ্ছে, কিন্তু এরপরও বাড়ির দাম কমবে বলে মনে হয় না। রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম আরইসি'র কর্মকর্তা সিমিয়ন ফিলিপস বলছেন, কানাডার হাউজিং খাতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা এখন চলছে। তাই, সরকারের এই পদেেপর পর সেই প্রতিযোগিতায় হয়তো কিছুটা ভাটা পড়বে, কিন্তু বাড়ির দাম কমবে বলে আমি মনে করি না।

কানাডা থেকে প্রকাশিত অর্থনীতি বিষয়ক সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল পোস্টের এক নিবন্ধে ডায়ান ফ্রান্সিস লিখেছেন, কালো টাকা সাদা করার জন্য ক্যানাডা এক নম্বর দেশে পরিণত হয়েছে। সে দেশে ‘স্নো ওয়াশিং’ শব্দ চালু হয়েছে যা দিয়ে কালোটাকা বরফের মতো সাদা করা। আর এর জন্য ব্যবহার করা হয় হাউজিং খাত।

এই কাজে জড়িত একশ্রেণির রিয়েলটর, হাউজিং ডেভেলপার, মর্টগেজ ব্রোকার এবং ঋতদানকারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান গেøাবাল ফিন্যান্সিয়ায়াল ইনটিগ্রিটি (জিএফআই) অটাওয়ার সরকারের সমালোচনাও করেছে।

বাংলাদেশিদের অবদান?

কানাডার হাউজিং খাতের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে একশ্রেণির বাংলাদেশির অবদান রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সে দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী প্রবাসীদের বাইরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি নগদ অর্থ দিয়ে বাড়ি কিনেছেন বলে এর আগে সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, এসব সম্পত্তির অনেকগুলোই কেনা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়ার দুর্নীতির অর্থ দিয়ে।


শেয়ার করুন