২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ৬:৪৩:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


দেশকে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি অনভিপ্রেত
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৮-২০২৩
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি অনভিপ্রেত সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম


মাঠের বিরোধী দল বিএনপি’সহ অন্যান্যা রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি দিচ্ছে তাদের দাবি আদায়ে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের এসব কর্মসূচির বিপরীতেও যে ধরনের পাল্টা সমাবেশ বা মিছিলের ডাক দিচ্ছে তাকে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম অনভিপ্রেত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এটাকে আমরা মনে করি অনভিপ্রেত। আনওয়েলকাম..স্বাগতম জানাতে পারলাম না।

আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে সাম্প্রতিক বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন। বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা  সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের এই অভিমতটি নিয়েছেন দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ

দেশ: রাজনৈতিক অঙ্গনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলছে। মাঠের বিরোধী দল বিএনপি’সহ অন্যান্যা রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি দিচ্ছে তাদের দাবি আদায়ে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের এসব কর্মসূচির বিপরীতেও পাল্টা সমাবেশ বা মিছিলের ডাক দিচ্ছে। এবিষয়টি কিভাবে দেখেন। 

মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম : এটাকে আমরা মনে করি অনভিপ্রেত। আনওয়েলকাম..স্বাগতম জানাতে পারলাম না। আওয়ামী লীগের যদি অনেক কর্মসূচি দেয়ার আগ্রহ থাকে তাহলেতো বিরোধী দলের নেয়ার আগের দিনটি ধার্য করতে পারে। অর্থ্যাৎ আওয়ামী লীগ হয় আগের দিন বা পরের দিন কর্মসূচি নিতে পারে। সুতরাং আমরা মনে করি এধরনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ে। উত্তেজনা বাড়লে সেক্ষেত্রে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। ভুলভ্রান্তি হলে সেক্ষেত্রে সংঘাত সৃষ্টি হয়। আমি তিনটা শব্দ বললাম। রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এরকম একিই দিনে দিনে আর এমনভাবে সিমিটিনিউয়াসলি (simultaneously) প্রোগ্রাম দিলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবেই। সেক্ষেত্রেতো সংঘাত হতে পারে।  

দেশ: কিন্তু আওয়ামী লীগ যে এটাকে উন্নয়ন শোভাযাত্রা বলছে। আওযামী লীগ দীর্ঘদিন যে উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাচ্ছে তার প্রচারে কি তারা শোভাযাত্রাভিত্তিক কর্মসূচি নিতে পারে না? কেনো এটাকে পাল্টাপাল্টি বলা হচ্ছে?

মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম : আ হা এতো কিছু ব্যাখাতো আমি দিতে পারবো না। উানারা কি বললো..আপনি একটা প্রশ্ন করেছেন আমি তার উত্তর দিলাম। আমি তো তার পক্ষে বা বিপক্ষে গিয়ে বলার জায়গা নাই রে ভাইয়া..

দেশ: কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে সে থেকে দেশবাসি কিভাবে রেহাই পাবে? পরামর্শটা কি?

মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম: আমাদের পরামর্শটা হলো যেহেতু বিএনপি বিরোধী দলে আছে সেহেতু তাদের নেয়া কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি নেয়া ঠিক হবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যেদিন প্রোগাম থাকে, সেদিন বিএনপি’র পক্ষ থেকেও কোনো ধনণের কর্মসূচি নেয়া ঠিক না। বিএনপি সাধারণত আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচি নিচ্ছে না বা দিচ্ছে না। 

দেশ: আমি আসলে বলতে চাচ্ছিলাম যে বর্তমানে যে সংকট চলছে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে জন্য আবার বিপরীতে আওয়ামী লীগ সরকার যে অনড় অবস্থায় আছে তা-র কি হবে? এভাবে মুখোমুখি অবস্থান থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনার পরামর্শটা জানতে চাইলাম। 

মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম : এটা হঠ্যাৎ করে বলা যাবে না সাংবদিক সাহেব। এভাবে চট করে প্রশ্ন করলেন, আর আমি উত্তর দিয়ে দেবো-তা হয় না। আমার অনেক বক্তব্য ফলো করতে হবে। তাহলে এর একটা সমাধোন পাবেন...

দেশ: আপনার তরফ থেকে একটা পরামর্শ চাচ্ছিলাম..

মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম : সরকার কর্তৃক যদি এক গুয়েমি বন্ধ করে দেয়। সরকার যদি জনগণের স্বার্থ চিন্তা করে..সরকার যদি দেশের  নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ..ভাবে তাহলো বিরোধী দলের দাবি মেনে নেবে। মেনে নেয়ার জন্য তারা একটা আলোচনার আয়োজন করবে। যে কি নিয়মে আমরা মেনে নিতে পারি।

শেয়ার করুন